শিরোনাম
◈ রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্পে শুরু হচ্ছে উচ্চচাপ বাষ্প নির্গমন পরীক্ষা—বিকট শব্দ হলেও জনসাধারণের জন্য ঝুঁকি নেই ◈ রোবট-ড্রোনে মেট্রোরেল নিরাপত্তা: চীনের আধুনিক রক্ষণাবেক্ষণ প্রযুক্তি থেকে শিখতে পারে বাংলাদেশ (ভিডিও) ◈ এবার আরব সাগরে কৃত্রিম দ্বীপ নির্মাণ করবে পাকিস্তান, তেল অনুসন্ধান জোরদার ◈ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফিরিয়ে আনা ‘মানুষের ঈদের দিন’: আপিল বিভাগের রায়ে জয়নুল আবেদীনের প্রতিক্রিয়া ◈ তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহাল নিয়ে যা বললেন আমীর খসরু ◈ পা‌কিস্তান ক্রিকেট বোর্ড থে‌কে স‌রে দাঁড়া‌লে আজহার আলি ◈ ‘শিবির’ মন্তব্য ভাইরাল: ধানমন্ডি ৩২-এর ঘটনার ব্যাখ্যায় সমালোচনার মুখে এডিসি মাসুদ আলম ◈ ‘অরাজকতা সৃষ্টির চেষ্টা করলে ক্ষতি সবার’, ককটেল হামলার পর কঠোর বার্তা ডিএমপি কমিশনারের ◈ কুমিল্লায় টাউন হল মাঠে বিএনপির দুই পক্ষের সমাবেশ ডাকায় উত্তেজনা, প্রশাসনের নির্দেশ—না সরালে ১৪৪ ধারা ◈ ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনে দায়িত্বে সৎ ও নিরপেক্ষ ওসি খুঁজছে পুলিশ সদর দপ্তর

প্রকাশিত : ২০ নভেম্বর, ২০২৫, ১২:৩৫ দুপুর
আপডেট : ২০ নভেম্বর, ২০২৫, ০২:৩৬ দুপুর

প্রতিবেদক : আশ্রাফুর রহমান রাসেল

‘শিবির’ মন্তব্য ভাইরাল: ধানমন্ডি ৩২-এর ঘটনার ব্যাখ্যায় সমালোচনার মুখে এডিসি মাসুদ আলম

ধানমন্ডি ৩২ নম্বর এলাকায় সাম্প্রতিক ঘটনার পর রমনা জোনের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (এডিসি) মাসুদ আলমকে কেন্দ্র করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক সমালোচনা তৈরি হয়েছে।

মঙ্গলবার ( ১৮ নভেম্বর) একটি গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকারে তিনি পুরো ঘটনা বিস্তারিতভাবে তুলে ধরে ‘শিবির’শব্দ ব্যবহার নিয়ে ব্যাখ্যা দেন।

এডিসি মাসুদ জানান, ১৮ নভেম্বর সকাল সাড়ে ১১টার দিকে প্রায় ৫০ জন যুবক বুলডোজার নিয়ে ধানমন্ডি ৩২ নম্বর এলাকায় প্রবেশের চেষ্টা করলে তিনি দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছান। প্রথমে তিনি পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করেন। অল্প সময়ের মধ্যে সেনাবাহিনীর সদস্যরাও সেখানে উপস্থিত হন। কিন্তু তাদের বোঝানোর চেষ্টা ব্যর্থ হলে বুলডোজার দিয়ে ব্যারিকেড ভেঙে ভেতরে ঢোকার চেষ্টা শুরু করে দলটি। পুলিশ ও সেনাবাহিনী যৌথভাবে তাদের সরিয়ে দেয় এবং তারা বুলডোজার রেখে সরে যায়।

কিন্তু অর্ধঘণ্টার মাথায় একই দল আবার সংগঠিত হয়ে ধীরে ধীরে এগিয়ে আসতে শুরু করে। সিনিয়র কর্মকর্তাকে এই পরিস্থিতি জানাতে গিয়ে মাসুদ আলম বলেন,‘স্যার, এরা তো শিবির’ এই মন্তব্যটিই পরে কেটে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে এবং বিতর্কের সৃষ্টি হয়।

মাসুদ আলম দাবি করেন, কথাটি তিনি কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে নয়, বরং ঘটনাস্থলের পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করার সময় বলেন, যাতে সিনিয়র কর্মকর্তারা সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। তার ভাষায়, আমি কোনো মিডিয়াকে বলিনি, স্টেটমেন্ট দেইনি। কথোপকথনের মাঝখানে সিনিয়র স্যারকে বোঝানোর জন্য বলেছিলাম। কেউ হয়তো উদ্দেশ্যমূলকভাবে ওই অংশটুকু কেটে ছড়িয়েছে। অনেক সময় তাড়াহুড়োয় স্লিপ অব টাং হতে পারে।

সাক্ষাৎকারে তিনি আহত এক তরুণকে রিকশায় তুলে বাসায় পাঠানোর ঘটনাটিও ব্যাখ্যা করেন। রাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের সময় ভুলবশত পুলিশ সদস্যরা একজন নিরীহ ছেলেকে পিটিয়ে ফেললে তিনি ছুটে গিয়ে তাকে উদ্ধার করেন। ছেলেটি নিজেকে ঢাকা কলেজের ছাত্র পরিচয় দিলে তিনি তাকে রিকশায় তুলে দেন এবং ভাড়াও দিয়ে দেন। “আমি কাউকে মারতে দেইনি। দায়িত্বশীলভাবে কাজ করেছি।

সোশ্যাল মিডিয়ার সমালোচনা নিয়ে তিনি জানান, তিনি সাধারণ মানুষ এবং আন্তরিকভাবে দায়িত্ব পালন করেন। ভুল হলে সংশোধনযোগ্য, আমি ফেরেশতা নই। কেউ ভুল বুঝে থাকলে আমি দুঃখিত ।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়