বলিউডের নব্বই দশকের জনপ্রিয় অভিনেত্রী রাবিনা ট্যান্ডন। ১৯৭২ সালে মুম্বাইতে চলচ্চিত্র নির্মাতা রবি ট্যান্ডন ও বীণা ট্যান্ডনের ঘরে জন্ম হয় তার।
রাবিনা অভিনয়ে আসার আগে একটি জনসংযোগ ও বিজ্ঞাপন সংস্থায় বিখ্যাত বিজ্ঞাপন নির্মাতা প্রহ্লাদ কাকারের সহকারী হিসেবে কাজ করতেন। এ সময়েই ফটোগ্রাফার-পরিচালক শান্তনু শেওরে তার মধ্যে অভিনয়ের সম্ভাবনা আবিষ্কার করেন। এভাবেই হিন্দি সিনেমায় তার দুয়ার খুলে যায়।
সিনেমা জগৎ নিয়ে তিনি একটি তিক্ত অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেছেন। কোনো প্রযোজক যাতে রুমে এসে সমস্যা তৈরি করতে না পারে সেজন্য আউটডোর শুটিং গিয়ে বার বার হোটেলের রুম পরিবর্তন করতেন তিনি।
আনন্দবাজার অনলাইনের খবরে বলা হয়েছে, ছোটপর্দার অভিনেত্রী রেণুকা শহানে জানান- বিবাহিত প্রযোজকের সঙ্গে থাকতে হবে। তার সঙ্গে সময় কাটাতে হবে। বিনিময়ে হাতখরচ দেওয়া হবে।
অভিনয় সফরের শুরুর দিকে প্রযোজকদের থেকে একের পর এক কুপ্রস্তাব পেয়েছিলেন রেণুকা। তিনি একা নন। বলিউড অভিনেত্রী রাবিনা ট্যান্ডন প্রযোজকদের কুপ্রস্তাব থেকে কীভাবে বাঁচতেন, তা-ও জানিয়েছেন রেণুকা।
প্রথমে নিজের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে রেণুকা বলেন, আমার বাড়িতে এক প্রযোজক এসেছিলেন। তার একটি প্রস্তাব ছিল। তিনি বিবাহিত ছিলেন। তার শাড়ির সংস্থার ‘ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর’ হওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। সেই সঙ্গে বলেছিলেন, আমাকে তার সঙ্গে থাকতে হবে। উনি আমাকে হাতখরচ দেবেন। এই শুনে আমি ও আমার মা স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছিলাম।
প্রযোজকের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিলেন রেণুকা। এ ধরনের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিলে অভিনয়জগতে টিকে থাকা আরও কঠিন হয়ে ওঠে বলে জানান তিনি। তার কারণ, প্রস্তাব ফেরালে সেই প্রযোজকেরা অন্য জায়গায় কাজ পাওয়ার ক্ষেত্রেও বাধা তৈরি করেন। তবে সৌভাগ্যবশত তার সঙ্গে এমন কিছু ঘটেনি বলে জানান রেণুকা।
রাবিনা ট্যান্ডনের একটি অভিজ্ঞতাও সাক্ষাৎকারে তুলে ধরেন রেণুকা। তিনি জানান, কুপ্রস্তাব নিয়ে খুব সতর্ক থাকতেন অভিনেত্রী। রেণুকা বলেন, রাবিনা সেই সময়ের বড় অভিনেত্রী। আউটডোর শুটিং চলছিল। হোটেলে থাকছিলাম আমরা। প্রতিদিন নিজেদের মধ্যে হোটেলের ঘর অদলবদল করার পরামর্শ দিয়েছিলেন রাবিনা। কে কোন ঘরে থাকছেন, তা যাতে কেউ জানতে না পারে, সেই জন্য প্রতিদিন হোটেলের ঘর বদলাতেন রাবিনা। কোনো প্রযোজক যাতে ঘরে এসে সমস্যা তৈরি না করেন, তাই এই সতর্কতা বজায় রাখতেন অভিনেত্রী। বাইরে শুটিং হলে রাতে অভিনেত্রীদের ঘরে প্রায়ই প্রযোজক ও অভিনেতারা এসে কড়া নাড়েন, এমন ঘটনা নাকি ঘটেই থাকে, অভিযোগ রেণুকার।