শিরোনাম
◈ সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় অধ্যাদেশ: অধস্তন আদালতের বিচারকদের বদলি-পদোন্নতির ক্ষমতা পাচ্ছেন সুপ্রিম কোর্ট ◈ নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর পদত্যাগের গুঞ্জন, যা জানা গেল ◈ ‘সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণে হতে পারে ড্রোন ব্যবহার’ ◈ হাসিনা সরকারের কিছু প্রাথমিক ‘ভুল’ ছিল: সজীব ওয়াজেদ জয় ◈ এনসিপির কার্যালয়ের সামনে মধ্যরাতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ ◈ জোট বাড়ছে বিএনপির, এনসিপি ও গণঅধিকারের সঙ্গে চলছে সংলাপ ◈ শাশুড়ির ১২ লাখ টাকার কিলারে খুন হন সালমান শাহ! ◈ এক ম্যাচ হাতে রেখেই অস্ট্রেলিয়ার কা‌ছে সিরিজ হার‌লো ভারত ◈ শ্রম আইন সংশোধন ও গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ চূড়ান্ত অনুমোদন ◈ আমিরাতে আটক বাংলাদেশিদের মুক্তির অনুরোধে চিঠি পাঠাবেন ড. ইউনূস

প্রকাশিত : ২৩ অক্টোবর, ২০২৫, ০৯:০০ রাত
আপডেট : ২৪ অক্টোবর, ২০২৫, ০৬:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ডিভি লটারি নিয়ে বিভ্রান্তির ব্যাখ্যা

ডাইভারসিটি ভিসা (ডিভি) লটারিতে বাংলাদেশের নাম না থাকা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভ্রান্তি ছড়ানোর অপচেষ্টা শনাক্ত করেছে প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি)-এর ফ্যাক্টচেক ও মিডিয়া রিসার্চ টিম ‘বাংলাফ্যাক্ট’।

বাংলাফ্যাক্ট জানায়, ২০২৬ সালের ডিভি লটারির তালিকায় বাংলাদেশের নাম না থাকার বিষয়টি নিয়ে ‘নতুন দুঃসংবাদ’ শিরোনামে খবর প্রকাশ করেছে দৈনিক জনকণ্ঠ ও আজকের কণ্ঠ নামের দুটি ফেসবুক পেজ। এছাড়া একই ধরনের বিভ্রান্তিকর তথ্য বিভিন্ন প্রোপাগান্ডা পেজ থেকেও ফটোকার্ড আকারে প্রচার করা হচ্ছে।

তবে যাচাই করে বাংলাফ্যাক্ট জানিয়েছে, ২০১২ সাল থেকেই বাংলাদেশের নাম ডিভি লটারির তালিকায় নেই। ফলে ২০২৬ সালের তালিকায় নাম না থাকা কোনো নতুন ঘটনা নয়, বরং এটি গত ১৩ বছরের ধারাবাহিকতা।

বাংলাফ্যাক্টের বিশ্লেষণে বলা হয়, ২০০৭ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে ৫০ হাজারেরও বেশি বাংলাদেশি নাগরিক ডিভি ভিসার আওতায় যুক্তরাষ্ট্রে গেছেন। এর পর যুক্তরাষ্ট্র সরকার নির্ধারিত অভিবাসন কোটা পূর্ণ হওয়ায় সেই বছর থেকেই বাংলাদেশকে কর্মসূচির বাইরে রাখা হয়।

উল্লেখ্য, ডাইভারসিটি ভিসা (ডিভি) লটারি হলো যুক্তরাষ্ট্র সরকারের একটি অভিবাসন কর্মসূচি, যার মাধ্যমে প্রতি বছর নির্দিষ্ট সংখ্যক মানুষকে স্থায়ীভাবে দেশটিতে বসবাসের সুযোগ দেওয়া হয়। যেসব দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসীর সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কম তারাই এতে অংশ নিতে পারে। লটারির মাধ্যমে নির্বাচিত ব্যক্তিরা ‘গ্রিন কার্ড’ পেয়ে যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ী নাগরিকত্বের পথে এগোতে পারেন।

বাংলাফ্যাক্টের তথ্যমতে, গত এক বছর ধরে ভারতীয় গণমাধ্যম এবং দেশটি থেকে পরিচালিত কিছু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং দেশের বিভিন্ন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে বাংলাদেশকে জড়িয়ে গুজব, ভুয়া খবর ও অপতথ্য ছড়ানোর প্রবণতা বেড়েছে। এসব ভুয়া তথ্যের মধ্যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, চব্বিশের আন্দোলনে অংশ নেওয়া দল ও সংগঠনগুলোকে লক্ষ্য করে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।

ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়া শত শত ভুল তথ্য ইতোমধ্যে শনাক্ত করেছে বাংলাফ্যাক্ট। প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশে গুজব, ভুয়া খবর ও অপতথ্য প্রতিরোধে কাজ করছে এবং জনগণের কাছে সঠিক তথ্য পৌঁছে দিতে সচেষ্ট রয়েছে। সূত্র: বাসস

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়