শিরোনাম
◈ সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় অধ্যাদেশ: অধস্তন আদালতের বিচারকদের বদলি-পদোন্নতির ক্ষমতা পাচ্ছেন সুপ্রিম কোর্ট ◈ নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর পদত্যাগের গুঞ্জন, যা জানা গেল ◈ ‘সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণে হতে পারে ড্রোন ব্যবহার’ ◈ হাসিনা সরকারের কিছু প্রাথমিক ‘ভুল’ ছিল: সজীব ওয়াজেদ জয় ◈ এনসিপির কার্যালয়ের সামনে মধ্যরাতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ ◈ জোট বাড়ছে বিএনপির, এনসিপি ও গণঅধিকারের সঙ্গে চলছে সংলাপ ◈ শাশুড়ির ১২ লাখ টাকার কিলারে খুন হন সালমান শাহ! ◈ এক ম্যাচ হাতে রেখেই অস্ট্রেলিয়ার কা‌ছে সিরিজ হার‌লো ভারত ◈ শ্রম আইন সংশোধন ও গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ চূড়ান্ত অনুমোদন ◈ আমিরাতে আটক বাংলাদেশিদের মুক্তির অনুরোধে চিঠি পাঠাবেন ড. ইউনূস

প্রকাশিত : ২৩ অক্টোবর, ২০২৫, ০১:৩৬ দুপুর
আপডেট : ২৪ অক্টোবর, ২০২৫, ০২:৪৮ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

জুলাই গণহত্যা: শেখ হাসিনাসহ তিনজনের রায়ের তারিখ জানা যাবে ১৩ নভেম্বর

জুলাই-আগস্টে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় পতিত সরকারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনের বিচারকাজ শেষ হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ মামলায় যুক্তিতর্ক ও সমাপনী বক্তব্য দেন অ্যার্টনি জেনারেল আসাদুজ্জামান। এর মধ্যে দিয়ে মামলার বিচার কাজ শেষ হয়। আগামী ১৩ নভেম্বর রায়ের তারিখ জানাবেন ট্রাইব্যুনাল।

অ্যার্টনি জেনারেল বলেন, এ হত্যাযজ্ঞ হয়েছে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায়। শেখ হাসিনাসহ আসামিদের শাস্তি না হলে শহীদ আহতরা অবিচারের শিকার হবে।

 এর আগে বুধবার গতবছরের জুলাই-আগস্টে সংঘটিত গণহত্যার দায়ে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে হাসিনা-কামালের খালাসের প্রত্যাশা করেন রাষ্ট্রনিযুক্ত নিযুক্ত আইনজীবী। দায় থেকে বাঁচতেই সাবেক আইজিপি মামুন রাজসাক্ষী হয়েছেন বলেও দাবি তার।
 
ট্রাইব্যুনাল সূত্রে জানা যায়, গত ৩ আগস্ট জুলাই-আগস্টের হত্যাযজ্ঞের মামলায় বিচার শুরু হয় শেখ হাসিনা, আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনের। এরপর ২৮ কার্যদিবসে ৫৪ সাক্ষীর জবানবন্দি এবং ৬ কার্যদিবস যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করে প্রসিকিউশন। শেখ হাসিনা ও কামালের পক্ষে তিন দিনের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করা হয়, যা শেষ হয় বুধবার (২২ অক্টোবর)।
 
ওইদিন যুক্তিতর্কে সাবেক আইজিপি মামুনের রাজসাক্ষী হওয়া নিয়ে প্রশ্ন তোলেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন। বলেন, দায় থেকে বাঁচতেই এ পথ বেছে নিয়েছেন তিনি।
 
আন্দোলন দমনে শেখ হাসিনা মারণাস্ত্র ব্যবহারের নির্দেশ দেননি। হাসিনা-কামালের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ প্রসিকিউশন প্রমাণ করতে পারেনি বলেও দাবি করেন এ আইনজীবী।
 
অপরাধ প্রমাণিত হয়নি দাবি করে হাসিনা কামালের খালাস চেয়েছেন তিনি।
 
এছাড়াও যুক্তিতর্কে শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের সর্বোচ্চ শাস্তির আবেদন জানান চিফ প্রসিকিউটর। একই সঙ্গে আসামিদের সম্পত্তি বিক্রি করে শহীদ ও আহতদের ক্ষতিপূরণ দেয়ার আবেদন করা হয়। আর রাজসাক্ষী হওয়ায় সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনের কোন সাজার আবেদন করেনি প্রসিকিউশন।
 
শেখ হাসিনার এ মামলায় ৮৪ জনকে সাক্ষী করা হলেও ট্রাইব্যুনালে জবানবন্দি দিয়েছেন ৫৪ জন। তাদের সবাইকেই জেরা করেছেন আমির হোসেন।

গত ১০ জুলাই শেখ হাসিনা, কামাল ও মামুনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল।
 
এ মামলায় তাদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের পাঁচটি অভিযোগ আনে প্রসিকিউশন। আনুষ্ঠানিক অভিযোগ মোট আট হাজার ৭৪৭ পৃষ্ঠার। এর মধ্যে তথ্যসূত্র দুই হাজার ১৮ পৃষ্ঠার, জব্দতালিকা ও দালিলিক প্রমাণাদি চার হাজার পাঁচ পৃষ্ঠার ও শহীদদের তালিকার বিবরণ দুই হাজার ৭২৪ পৃষ্ঠার। সাক্ষী করা হয়েছে ৮১ জনকে। গত ১২ মে চিফ প্রসিকিউটরের কাছে এ মামলার প্রতিবেদন জমা দেয় ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়