শিরোনাম
◈ নুরুল হুদার পর এবার সাবেক সিইসি হাবিবুল আউয়াল গ্রেপ্তার ◈ আইন নিজের হাতে তুলে না নেওয়ার অনুরোধ অন্তর্বর্তী সরকারের, মব সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে ◈ ১৬ জনের স্ক্রিনশট ‘ফাঁস’ করে যা বললেন নিলা ইসরাফিল ◈ মিরপুরে পিৎজা ক্লাব ভবনে আগুন ◈ ঢাকার একাংশে ভয়াবহ লোডশেডিং, অন্ধকারে রামপুরা-হাতিরঝিল-ফার্মগেট ◈ পঞ্চগড়ে নির্মাণাধীন স্কাউট ভবনের বীম ধসে পড়ায় মান নিয়ে প্রশ্ন ◈ রাতের আঁধারে বিদ্যুৎহীন রাজধানী, রামপুরা সাবস্টেশনে যান্ত্রিক সমস্যা ◈ ঢাকা-১৫ ছাড়াও যে আসনে প্রার্থী হতে পারেন জামায়াত আমির ◈ তিন পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা: ইরানের জবাব কেমন হতে পারে? ◈ ইরানে ৪ দিনের ইন্টারনেট ব্ল্যাকআউট: ক্লাবহাউজে ভরসা রেখে বিশ্বের সঙ্গে যোগাযোগে ইরানিরা

প্রকাশিত : ২২ জুন, ২০২৫, ০২:৪৩ দুপুর
আপডেট : ২৩ জুন, ২০২৫, ০১:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

“আমি মডেল নই, আমাকে অপহরণ করা হয়েছিল”—আদালতে মেঘনা আলম, জব্দ মোবাইল ও পাসপোর্ট ফেরতের আবেদন

আদালতে মেঘনা আলম

রাজধানীর ধানমন্ডি থানার প্রতারণা ও চাঁদাবাজির অভিযোগে করা মামলায় জব্দ থাকা মোবাইল ফোন, আইপ্যাড ও পাসপোর্ট নিজের জিম্মায় চেয়ে আবেদন করেছেন মেঘনা আলম। এসময় তিনি আদালতে এসে বলেন, আমি মডেল নই, পলিটিক্যাল লিডারশিপ ট্রেইনার। আমাকে গ্রেপ্তার নয়, বাসা থেকে অপহরণ করা হয়েছিল।

রোববার (২২ জুন) সকালে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এম এ আজহারুল ইসলামের আদালতে হাজির হন মেঘনা আলম। এরপর তার আইনজীবী মহসিন রেজা পলাশ ও মহিমা ইসলাম বাঁধন জব্দ থাকা মোবাইল, আইপ্যাড ও পাসপোর্ট নিজ জিম্মায় চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক পরে আদেশ দেবেন বলে জানান।

শুনানি শেষে মেঘনা আলম বলেন, গত ৯ এপ্রিল আমাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলা ভুল হবে। আমাকে অপহরণ করা হয়েছিল। কারণ গ্রেপ্তার করার একটি আইনি প্রক্রিয়া থাকে, সেটা মানা হয়নি। আমার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ, মামলা বা ওয়ারেন্ট ছিল না। আইনের লোক হোক বা না হোক, আমার বাসায় এসে তাৎক্ষণিকভাবে হামলা চালিয়ে জোর করে নিয়ে যায়। এটাকে আইনি ভাষায় অপহরণ বলে, গ্রেপ্তার বলে না।

এর আগে গত ২৮ এপ্রিল ডিটেনশন আইনে মেঘনা আলমের ৩০ দিনের আটকাদেশ বাতিল করা হয়। ওইদিনই কারামুক্ত হন তিনি। এর পর থেকে তিনি জামিনে আছেন।

গত ৯ এপ্রিল বাসা থেকে আটক হন মেঘনা আলম। পরদিন ১০ এপ্রিল বিশেষ ক্ষমতা আইনে ৩০ দিনের আটকাদেশ দিয়ে মডেল মেঘনা কারাগারে পাঠানো হয়। এ ছাড়া গ্রেপ্তারের পর গত ১২ এপ্রিল ভাটারা থানার প্রতারণা মামলায় দেওয়ান সমিরের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। গত ১৭ এপ্রিল রাজধানীর ধানমন্ডি থানার প্রতারণা ও চাঁদাবাজির অভিযোগে করা মামলায় তার পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। গত ২২ এপ্রিল এ মামলায় তার আরও ৪ দিনের রিমান্ড দেওয়া হয়। রিমান্ড শেষে গত ২৭ এপ্রিল তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

এদিকে চাঁদাবাজি মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, মেঘনা আলম, দেওয়ান সমিরসহ অজ্ঞাতনামা ২-৩ জন একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সক্রিয় সদস্য। তারা বিভিন্ন সুন্দরী মেয়েকে দিয়ে বাংলাদেশে কর্মরত বিভিন্ন বিদেশি রাষ্ট্রের কূটনীতিক বা প্রতিনিধি ও দেশীয় ধনাঢ্য ব্যবসায়ীদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে অবৈধ সম্পর্ক স্থাপন করিয়ে কৌশলে বিভিন্ন উপায়ে অবৈধ পন্থা অবলম্বনের মাধ্যমে তাদের সম্মানহানির ভয় দেখিয়ে অর্থ আদায় করে আসছে।

সম্প্রতি সৌদি রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে মেঘনা আলমের সম্পর্কের বিষয়টি বিভিন্ন গণমাধ্যমে উঠে আসে। সূত্র: কালবেলা

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়