ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। আক্রান্ত হওয়ার পর থেমে থাকবে না ইরানও। কিন্তু তেহরানের সামনে পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে কী কী বিকল্প আছে? এসব প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেষ্টা করছেন আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা।
তারা বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের হামলার প্রতিশোধে কঠোর কোনো পদক্ষেপ নিতে গেলে ওয়াশিংটনের পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় ইরানের টিকে থাকা প্রায় অসম্ভব হয়ে উঠতে পারে। সমকালীন যুদ্ধনীতি ও আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ জ্যাঁ-মার্ক রিকলি বলেন, ইরানের সামনে সম্ভাব্য ‘প্রতিক্রিয়ার একটি বিস্তৃত পরিসর’ আছে।
তিনি বলেন, প্রথম বিকল্প হলো কোনো প্রতিক্রিয়া না দেখানো। তবে ইরানের ভাবমূর্তি ও অভ্যন্তরীণ অবস্থানের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর হবে এটি। দ্বিতীয় বিকল্প হতে পারে, যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ বা সম্পদের ওপর পাল্টা আঘাত হানা।
আল-জাজিরাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রিকলি বলেন, সম্ভবত এমন কিছু প্রতিক্রিয়া দেখা যাবে, যা এই দুই চরম অবস্থার মাঝামাঝি কিছু হবে। তবে সমস্যা হচ্ছে—ইরানকে এমন পথ খুঁজতে হবে, যাতে আমেরিকা সামরিকভাবে পুরোপুরি জড়িয়ে না পড়ে। কারণ, যদি যুক্তরাষ্ট্র তার পুরো সামরিক শক্তি ব্যবহার করে, তাহলে ইরানের পক্ষে টিকে থাকা অসম্ভব।
জেনেভা সেন্টার ফর সিকিউরিটি পলিসির বৈশ্বিক ঝুঁকিবিষয়ক এই প্রধান বলেন, ২০২০ সালে ইরান যেভাবে জেনারেল কাসেম সোলাইমানিকে হত্যার প্রতিশোধ নিতে আগে থেকেই সতর্ক করে দিয়ে ইরাকে একটি মার্কিন ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছিল, সেই উদাহরণও সামনে রাখা যেতে পারে। তারা কি আবার তেমন কিছু করবে? সেটা সম্ভব। তবে এখনই নিশ্চিতভাবে কিছু বলা কঠিন।
এদিকে প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া হিসেবে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হরমুজ প্রণালি বন্ধের অনুমোদন দিয়েছে ইরানের পার্লামেন্ট। স্থানীয় সময় আজ রোববার দেশটির পার্লামেন্টে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এখন এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে ইরানের সর্বোচ্চ জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ।