শিরোনাম
◈ আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি কি সত্যিই রাসূল (সা.)-এর বংশধর? ◈ রাজধানীতে দুই ঘণ্টা পর স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে লোডশেডিং পরিস্থিতি ◈ ইরানে যুক্তরাষ্ট্রের গোপন হামলা ‘অপারেশন মিডনাইট হ্যামার’: পেন্টাগনের বিস্তারিত প্রকাশ ◈ নারী আসনে সরাসরি নির্বাচন কত দূর? ◈ নুরুল হুদার পর এবার সাবেক সিইসি হাবিবুল আউয়াল গ্রেপ্তার ◈ আইন নিজের হাতে তুলে না নেওয়ার অনুরোধ অন্তর্বর্তী সরকারের, মব সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে ◈ ১৬ জনের স্ক্রিনশট ‘ফাঁস’ করে যা বললেন নিলা ইসরাফিল ◈ মিরপুরে পিৎজা ক্লাব ভবনে আগুন ◈ ইসলামী ব্যাংকের সাবেক এমডি মনিরুল মাওলা গ্রেপ্তার ◈ পঞ্চগড়ে নির্মাণাধীন স্কাউট ভবনের বীম ধসে পড়ায় মান নিয়ে প্রশ্ন

প্রকাশিত : ২৩ জুন, ২০২৫, ০৩:৫৯ রাত
আপডেট : ২৩ জুন, ২০২৫, ০৭:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি কি সত্যিই রাসূল (সা.)-এর বংশধর?

বর্তমান বিশ্বে ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে শুধু একজন রাজনীতিক বা আলেম নয়, বরং মুসলিম বিশ্বের অন্যতম প্রভাবশালী নেতা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। বিশেষ করে ইসরায়েলের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে তার একক অবস্থান এবং মুসলিম ঐক্যের পক্ষে জোরালো আহ্বান তাকে একটি অনন্য অবস্থানে নিয়ে গেছে।

আয়াতুল্লাহ খামেনি ১৯৩৯ সালের ১৭ জুলাই ইরানের পবিত্র শহর মাশহাদে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা ছিলেন খ্যাতিমান শিয়া আলেম আয়াতুল্লাহ সৈয়েদ জাওয়াদ খামেনি। বহু সূত্র অনুযায়ী, খামেনি নিজেকে হোসাইনী সাইয়েদ বলে দাবি করেছেন, যার অর্থ—তিনি মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর দৌহিত্র ইমাম হোসাইন (রাঃ)-এর বংশধর।

ইরানের রাষ্ট্রীয় প্রকাশনা "Supreme Leader Ayatollah Khamenei Biography"-তেও এ দাবির সমর্থন পাওয়া যায়। যদিও আধুনিক ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে এর প্রমাণ এখনও পাওয়া যায়নি, তথাপি ইসলামী ঐতিহ্য ও বংশতালিকার ভিত্তিতে এই পরিচয় মুসলিম বিশ্বে তার ধর্মীয় গ্রহণযোগ্যতা ও মর্যাদা আরও বৃদ্ধি করেছে।

খামেনির রাজনৈতিক উত্থান শুরু হয় ১৯৭৯ সালের ইসলামি বিপ্লবের মাধ্যমে। তিনি ছিলেন ইমাম খোমেনির ঘনিষ্ঠ সহচর ও বিপ্লবের অন্যতম মুখ। বিপ্লবের পর তিনি ইরানের প্রথম আলেম রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। পরে ১৯৮৯ সালে ইমাম খোমেনির মৃত্যুর পর ইরানের সর্বোচ্চ নেতা হিসেবে দায়িত্ব নেন, এবং আজও সেই পদে অধিষ্ঠিত আছেন।

যদিও তিনি শিয়া আলেম, তবুও খামেনির ভাষণ ও দৃষ্টিভঙ্গিতে মুসলিম উম্মাহর ঐক্যের প্রতি গুরুত্ব বারবার উঠে এসেছে। তিনি স্পষ্টভাবে বলেন, “শিয়া-সুন্নি বিভেদ ইসলামবিরোধী ষড়যন্ত্র।” ২০১০ সালে ইসলামী ঐক্য সম্মেলনে তিনি বলেন,
“আমাদের মধ্যে মিল বেশি, ফারাক নয়। শত্রুরা চায় বিভাজন।”

তিনি প্রায়শই সূরা আল ইমরান-এর ১০৩ নম্বর আয়াত উদ্ধৃত করেন: "তোমরা সবাই আল্লাহর রজ্জু দৃঢ়ভাবে ধারণ করো এবং বিভক্ত হয়ো না।”

খামেনি বহুবার সৌদি আরব, মিশর, পাকিস্তানসহ বিভিন্ন সুন্নি দেশের আলেমদের সঙ্গে সংলাপের আহ্বান জানিয়েছেন। আল-আলম, প্রেস টিভি এবং তেহরান টাইমসের তথ্য অনুযায়ী, তিনি ফিলিস্তিনি প্রতিরোধকে সমর্থন জানিয়ে বলেন—
“আজ ফিলিস্তিনকে রক্ষা মানে ইসলামকে রক্ষা করা।”

২০১৪ সালে গাজার ওপর ইসরায়েলি আগ্রাসনের সময় তিনি প্রকাশ্যে হামাসসহ প্রতিরোধ যোদ্ধাদের প্রতি সমর্থন জানিয়েছিলেন।

তবে খামেনির নেতৃত্ব সবসময় প্রশংসিত হয়নি। সৌদি আরব ও বাহরাইনের মতো সুন্নি নেতৃত্বাধীন দেশগুলো তাকে “শিয়া সম্প্রসারণবাদের” অভিযোগে অভিযুক্ত করে আসছে। পাশাপাশি ইরানের অভ্যন্তরে বিরোধীদের দমন, বাকস্বাধীনতা হরণ ও একক কর্তৃত্বের অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

তবুও খামেনি বারবার জোর দিয়ে বলেছেন—“আমার লক্ষ্য শিয়া আধিপত্য নয়, বরং মুসলিম বিশ্বকে একত্রিত করা।”

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়