ইন্টারনেট ব্ল্যাকআউটের কারণে ৪ দিন ইরানিরা বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন ছিল। শুক্রবার রাতে হঠাৎ ইন্টারনেট ব্ল্যাকআউট প্রত্যাহার করা হয়। ফলে অনেক ইরানি বিভিন্ন সার্ভারের মাধ্যমে অনেকটা ভাগ্যের জোরে দুর্বল ইন্টারনেট ব্যবহার করার সুযোগ পেয়েছেন।
তবে তীব্র ব্ল্যাকআউটের সময়ও প্রযুক্তিজ্ঞানসম্পন্ন ইরানিরা ক্লাবহাউজ নামের একটি বিশেষ অ্যাপের মাধ্যমে দেশের বাইরে যোগাযোগ রক্ষা করতে সক্ষম হয়েছেন।
শুক্রবার ইন্টারনেট চালুর পর অনেকেই বলেছেন, তারা মনে করেন ইন্টারনেট সংযোগগুলো অস্থায়ী বা নিরাপদ নয়। কেননা সরকার এখনো কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে যা এড়ানো কঠিন।
অনেক ইরানি ইন্টারনেটে সরকারি বিধিনিষেধ এড়াতে ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক বা ভিপিএনের ওপর নির্ভর করেছেন। কিন্তু ইসরাইলের হামলা শুরু হওয়ার পর থেকে ভিপিএন দিয়েও যোগাযোগ করা যাচ্ছিল না।
শনিবার কিছু ইন্টারনেট সংযোগ ফিরে এলেও সেবাদানকারীরা ব্যবহারকারীদের সতর্কতার সঙ্গে ইন্টারনেট ব্যবহার করার পরামর্শ দিয়েছেন।
ইরান সরকার বুধবার থেকে দেশজুড়ে ইন্টারনেট সেবা উলেখযোগ্যভাবে সীমিত করেছে।
সরকারি মুখপাত্র ফাতেমেহ মোহাজেরানি শুক্রবার বলেছেন যে, সাইবার হামলা এবং নিরাপত্তার কারণে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ইরানে আসা আন্তর্জাতিক কলও ব্লক করা হয়েছিল, এর ফলে ইরানের জনগণ তাদের পরিবার এবং বন্ধুদের সরাসরি বিদেশে কল করতে বাধ্য হচ্ছে। কিন্তু ইরান থেকে আন্তর্জাতিক কল করার অর্থ খুব বেশি ফি, যা দেশের অনেকেই বহন করতে পারে না।
তবুও, ইরানিরা এই নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে সৃজনশীল উপায় বের করেছে। বৃহস্পতিবার চরম ব্ল্যাকআউটের মধ্যে ইরানের কিছু তরুণ ক্লাবহাউজ নামে একটি জনপ্রিয় অডিও অ্যাপের মাধ্যমে অনলাইনে দেশের বাইরের লোকদের সঙ্গে কথা বলতে সক্ষম হন। একপর্যায়ে, প্রায় ১৭০০ ইরানি তাদের প্রিয়জনদের কাছে পৌঁছানোর জন্য সাহায্যের আশায় এই অ্যাপের মাধ্যমে যোগাযোগ করেছেন।
ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিদেশে থাকা ইরানিরা তাদের বন্ধুবান্ধব এবং আত্মীয়দের নাম এবং নম্বর ব্যবহার করে ইরানের ভেতরের লোকজনের সঙ্গে ক্লাবহাউজের মাধ্যমে যোগাযোগ করতে সক্ষম হয়েছেন।