ভারত হটাও দেশ বাচাও শ্লোগানে গোটা জাতি এখন এক কাতারে। অন্য যে কোন সময়ের চেয়ে ভারত বিরোধি আন্দলন বাংলাদেশে এখন তুঙ্গে। মানুষের এমন শক্তিশালী মনভাবের কারনে ভয়ে যুবুথুবু অবস্থা ভারতের। তারা ভয় পাচ্ছে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কোন সামরিক পদক্ষেপে চুপ থাকবেনা পাকিস্তান। এছাড়াও মুখিয়ে আছে চিন। বিতর্কিত সিমান্ত ইসুতে কদিন পর পরই বিরোধে জড়ায় চীন-ভারত। উত্তেজনা লেগেই থাকে এই দুইদেশের মাঝে। বাংলাদেশের সাথে যুদ্ধে জড়ালে চিন ও পাকিস্তান সুযোগ নেবে। তখন চারদিক থেকে আক্রান্ত হবে দিল্লি। পালাবার পথ পাবে না শত্রু বেষ্টিত রাষ্ট্র ভারত। সূত্র : জিটিভি
উপায় অন্তর না পেয়ে উগ্রবাদি রাষ্ট্র ভারত এখন তাদের গণমাধ্যমকে গুজবের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার শুরু করেছে। বাংলাদেশ নিয়ে তাদের মিডিয়ায় প্রতিনিয়ত ছড়ানো হচ্ছে গুজব যা বিশ্ব দরবারে হাস্যরসের খোরাক হয়েছে। ভারতের পালিত সরকার শেখ হাসিনার পতনের পরই দিল্লির পাগলামির মাত্রা বেড়ে গেছে। চোখে অন্ধকার দেখছে মদি সরকার। তারা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে বাংলাদেশের নেতৃত্ব এখন বিশখ্যাত ব্যাক্তিত্ব নোবেল জয়ী ড.ইউনুসের হাতে।
ভারতের ভয়ের মূল কারণগুলোর অন্যতম একটি কারণ হলো বাংলাদেশ ইস্যুতে পাকিস্তান নাক গলাতে পারে।ইতোমধ্যে বাংলাদেশ ভারত ইস্যুর পরপরই দীর্ঘ কয়েক দশক পর বাংলাদেশ পাকিস্তান আবারো খুলতে যাচ্ছে দুই দেশের অবাধ বাণিজ্যের দ্বার।ইতোমধ্যে পাকিস্তান থেকে ২৫ হাজার টন চিনি জানুয়ারীর মধ্যে করাচী বন্দর হয়ে দেশে আসার কথা রয়েছে।
তাছাড়া অন্যদিকে লাদাখ ইস্যুকে কেন্দ্র করে ভারতের সাথে চীনের রয়েছে চরম বৈরীতামূলক সম্পর্ক।
কয়েকদিন আগেই চীনকে বন্ধু হিসাবে আখ্যা দিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, চীন আমাদের বন্ধু।রাস্তা ও বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ থেকে শুরু করে সমুদ্রবন্দর পর্যন্ত, তারা বিভিন্নভাবে আমাদের সহায়তা করছে।
তাছাড়া ইউনূস আরো বলেন, বাংলাদেশ বেইজিংয়ের সঙ্গে সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে।
বাংলাদেশের সাথে যুদ্ধে জড়ালে তখন চীন ও পাকিস্তান সে সুযোগ নিবে। তখন চারদিক থেকেই আক্রান্ত হবে দিল্লী।সর্বশেষ উপায়ন্তর না পেয়ে ভারত এখন তাদের গণমাধ্যমকে তাদের অন্যতম হাতিয়ার হিসাবে কাজে লাগাতে চাচ্ছে। ভারতের পালিত শেখ হাসিনা সরকার দিল্লীতে পালিয়ে যাওয়ার পরই কার্যত চাপে রয়েছে ভারত সরকার।
সর্বশেষ আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলার ঘটনার পর সরকার থেকে পাল্টা বিবৃতি প্রদান করে বাংলাদেশ।যা আগের শেখ হাসিনা সরকার কখনো করতে পারে নি।আর ভারতের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে স্পষ্টভাবে পাল্ট প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে পারায় ইউনূস এখন বাংলাদেশসহ সারাবিশ্বে পাচ্ছেন প্রশংসা।
আপনার মতামত লিখুন :