মাজহারুল ইসলাম: ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারির পর আরাভ খান হঠাৎ তার সোনার দোকান ‘আরাভ জুয়েলার্স’ ফাঁকা করে ফেলেছেন। এমন কিছু ছবি প্রকাশিত হয়েছে গণমাধ্যমে। ছবিগুলোতে দেখা যাচ্ছে, তার সেই সোনার দোকানটি পুরোপুরি ফাঁকা। সেখানে নেই কোনো স্বর্ণালংকার। দোকানের সামনে পড়ে আছে কথিত ৬০ কেজি সোনা দিয়ে বানানো বাজপাখি ও বাঘের লোগো।
এর আগে অনুসন্ধানে পুলিশ নিশ্চিত হয় ‘আরাভ খান’ নাম ধারণ করে দুবাইয়ে পাড়ি জমানো এই ব্যক্তিই পুলিশ কর্মকর্তা মামুন ইমরান খান হত্যা মামলার আসামি রবিউল ইসলাম ওরফে আপন। এরপরই তার বিরুদ্ধে কীভাবে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া যায় তা নিয়ে তৎপর হয় পুলিশ। ইন্টারপোলের কাছে রেড নোটিশ জারির আবেদন করা হয়। যোগাযোগ করা হয় ভারত ও দুবাইয়ের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গেও। দ্রুত তাদের সাড়াও মেলে। এরপরই আলোচিত স্বর্ণ ব্যবসায়ী আরাভের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে বাংলাদেশ, ভারত ও দুবাইয়ের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ শুরু করেছে।
রেড এলার্ট জারির পর থেকে দুবাইয়ের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। তারা আরাভ খানের মামলার এজাহার, অভিযোগপত্র, আদালতে জমা দেওয়া আসামিদের ১৬৪ ধারার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি, আদালত থেকে জারি করা বিভিন্ন মামলার গ্রেফতারি পরোয়ানা ও জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নিয়েছেন।
আরাভ যে বাংলাদেশের নাগরিক, তা নিশ্চিত করতে তার বাবা ও মায়ের জাতীয় পরিচয়পত্রসহ সব কিছু বাংলা ভাষার পাশাপাশি ইংরেজিতে রূপান্তর করে পাঠানো হয়েছে। এসব নথিপত্র পাওয়ার পর তার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার কাজ শুরু করেছে দুবাইয়ের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। সম্পাদনা: রাশিদ
এমআই/এএ