নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরের সামনে আওয়ামী লীগ ও নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের দুই নেতাকে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। আহত আওয়ামী লীগ নেতার নাম জেড আই রাসেল ও আরেকজনের নাম হৃদয় খান। এ ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির এক কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তার নাম রিয়াজ রহমান।
স্থানীয় সময় শুক্রবার বেলা আড়াইটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। মারধরের শিকার রাসেল ভার্জিনিয়া আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং হৃদয় মিয়া যুক্তরাষ্ট্র শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি প্রার্থী।
প্রকাশিত এক ভিডিওতে রাসেলকে বলতে শোনা যায়, জামায়াত-শিবির ও বিএনপির নেতাকর্মীরা আমাকে আক্রমণ করেছেন। বিপর্রীত পাশ থেকে বলতে শোনা যায়, আওয়ামী লীগের সন্ত্রাস যেভাবে হোক মোকাবিলা করতে হবে।
এদিকে ছাত্রলীগ নেতা হৃদয় মিয়াকে শারীরিক আঘাতের কারণে রিয়াজকে গ্রেফতার করে নিউইয়র্ক সিটি পুলিশ ডিপার্টমেন্ট (এনওয়াইপিডি)। আহত ছাত্রলীগ নেতাকে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নেওয়া হয়।
ঘটনার বিবরণে গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘আমাদের বিক্ষোভ শেষে বাসায় যাওয়ার জন্য হাঁটছিলাম, এমন সময় এক যুবক এসে আমাকে এবং আওয়ামী লীগকে গালাগালি করে। আমি বললাম, আমি আপনাকে চিনি না জানি না, আমাকে কেন গালিগালাজ করছেন? এ কথা বলতেই অতর্কিতে আমার মাথায়, ঘাড়ে ও মুখে ঘুষি মারে।’
হৃদয় বলেন, ‘আমি মাটিতে পড়ে গেলে পাশে থাকা পুলিশ এসে আমাদের দুজনকেই ধরে। পরে অন্য আরেকজন পুলিশ এসে বলে, রিয়াজ প্রথম আঘাত করেছে। পরে পুলিশ আমাকে ছেড়ে দিয়ে তাদের গাড়িতে করে হাসপাতালে দিয়ে যায়।’
এদিন নিউইয়র্কে আরও এক আওয়ামী নেতার ওপর চড়াও হতে দেখা যায় বিএনপি নেতাকর্মীদের। হঠাৎ সমাবেশের মাঝে আওয়ামী ওই নেতা প্রবেশ করলে চড়াও হয় বিএনপি কর্মী সমর্থকরা। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।