অলক কুমার, টাঙ্গাইল: [২] জেলার ভূঞাপুরে চুরি করতে গিয়ে চিনে ফেলায় বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড পত্রিকার বার্তা সম্পাদক আবু সায়েমের বৃদ্ধ মাকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই)।
[৩] বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকালে পিবিআই টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সিরাজ আমীন তার নিজস্ব কার্যালয়ে প্রেস বিফিংয়ের মাধ্যমে এই তথ্য জানান। এর আগে মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাতে জড়িত দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
[৪] গ্রেপ্তাররা হলেন- টাঙ্গাইল জেলার সদর উপজেলার চরপৌলীর মো. শাহজাহান এর ছেলে মো. লাবু (২৯) ও ভূঞাপুর উপজেলার পশ্চিম ভূঞাপুর এলাকার মো. সিরাজ আকন্দের ছেলে আল আমিন আকন্দ (২২)।
[৫] পুলিশ সুপার জানান, সুলতানা সুরাইয়া ওই বাড়িতে একাই থাকতেন। তার ছেলে ঢাকায় থাকেন। দুই মেয়ে স্বামীর বাড়িতে থাকেন। আসামি আল আমিন আকন্দ সুলতানা সুরাইয়ার সম্পর্কে নাতি হয়। অনেক সময় টাকার বিনিময়ে ওই বৃদ্ধার সাংসারিক কাজ করে দিতেন। সেই সুবাদে আসামিরা জানতে পারেন সুলতানা সুরাইয়ার কাছে টাকা আছে। সেই টাকা চুরি করতে ১৩ সেপ্টেম্বর রাতে তারা ওই বাড়িতে যান। রাতে তারা বাড়ির গ্রিল বেয়ে টিনের বেড়ার ভিতরে প্রবেশ করে ও ঘাপটি মেরে বসে থাকে। রাত আনুমানিক রাত ১২টার দিকে আসামিরা ঘরে প্রবেশ করলে সুলতানা সুরাইয়া তাদের দেখে চিনে ফেলেন। সে সময় তিনি চিৎকার করলে আসামিরা তাকে ধাক্কা দিয়ে মেঝেতে ফেলে গলায় ছুড়িকাঘাতে হত্যা করে। পরে তারা টাকা ও মোবাইল নিয়ে পালিয়ে যায়।
[৬] তিনি জানান, লুট করা টাকা তারা ভাগাভাগি করে নেন। যিনি মুঠোফোন নেন, তিনি ওই ফোনের সীম যমুনা নদীতে ফেলে মুঠোফোনটি দেড় হাজার টাকায় বিক্রি করেন। অপরজন যার বাড়ি সুলতানা সুরাইয়ার বাড়ির পাশে, তিনি নগদ টাকাগুলো নিয়ে নিজ বাড়িতে ঘুমিয়ে পড়েন। সুলতানা সুরাইয়ার মরদেহ উদ্ধারের পর সবার সাথে তিনিও মরদেহেও দেখতে আসেন। পরদিন জানাযাতেও অংশ নেন।
[৬] পুলিশ সুপার জানান, তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে লুট করা মুঠোফোনের মাধ্যমে আসামিদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করা হয়।
[৭] এর আগে গত ১৫ সেপ্টেম্বর পশ্চিম ভূঞাপুর এলাকা থেকে সুলতানা সুরাইয়া নামের এক নারীর গলা কাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
প্রতিনিধি/একে