শিরোনাম
◈ হাজারীবাগের আগুন: নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ১২ ইউনিট, উদ্ধারে সহায়তা করছে সেনাবাহিনী ও বিজিবি (ভিডিও) ◈ ভাতা পাবেন ইমাম-মুয়াজ্জিনরা, কে কত? পুরোহিতরাও আওতায় আসবেন  ◈ হোয়াইট হাউসে হামলার চেষ্টার দায়ে ভারতীয় নাগরিকের কারাদণ্ড ◈ নির্যাতন বন্ধে বাংলাদেশে স্থায়ী সংস্কার প্রয়োজন: এইচআরডব্লিউ ◈ মেডিকেল কলেজগুলোর সক্ষমতা বাড়াতে শিক্ষক নিয়োগ দেবে সরকার : স্বাস্থ্য উপদেষ্টা ◈ বিজ্ঞাপন ঘিরে ব্যাপক বিতর্কের মুখে পাকিস্তানি এয়ারলাইন্স! ◈ দিয়ালোর হ্যাটট্রিকে সাউদাম্পটনকে সহজে হারালো ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ◈ সেল্টা ভিগোকে ৫-২ গোলে হারালো রিয়াল মাদিদ ◈ যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগ সকারের ৩ ক্লাব নেইমারকে পেতে দৌঁড়ঝাপ ◈ গাবির কাছে মেসির পর বিশ্বসেরা লামিনে ইয়ামাল

প্রকাশিত : ২৬ নভেম্বর, ২০২৩, ০৬:০৬ বিকাল
আপডেট : ২৬ নভেম্বর, ২০২৩, ০৬:০৬ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

রসেভরা খেজুর গাছ এখন ঐতিহ্যের প্রতীক

শাহাদাত হোসেন, রাউজান (চট্টগ্রাম): [২] শীতের সকালে এক দশক আগেও চোখে পড়তো রসের হাড়ি ও খেজুর গাছ কাটার সরঞ্জামসহ গাছির ব্যস্ততার দৃশ্য। সাত সকালে খেজুরের রস নিয়ে গাছিরা বাড়ি বাড়ি হাকডাক দিতেন। শীতের মৌসুম শুরু হতে না হতেই বাড়ি বাড়ি চলতো খেজুরের রস কিংবা রসের পাটালি গুড় দিয়ে মজাদার পিঠাপুলির আয়োজন। গ্রামের মানুষ শীত মৌসুমে খেজুর রসের উপর নির্ভরশীল ছিল। গ্রামের প্রতিটি পরিবারের মধ্যে শীতের মৌসুমে খেজুর রসের চাহিদা ছিল প্রচুর। রস দিয়ে শীতকালে পিঠা খাওয়ার মজাই আলাদা ছিল গ্রামের মানুষের কাছে। গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য ডুই পিঠা (ভাপা পিঠা), চিতল পিঠা, পাটিসাপটা, হাতজারা পিঠা খেজুর রস দিয়ে খেতে মজা হতো। দেওয়া হতো আত্নীয় স্বজনদের বাড়ীতে রসের পিঠাও। 

[৩] তবে গ্রামবাংলার এ দৃশ্য এখন আর তেমন চোখে পড়ে না। বিভিন্ন কারনে খেজুর গাছ নিধন করায় দিনে দিনে কমছে খেজুরের গাছ। দুষ্প্রাপ্য হয়ে উঠেছে খেজুরের রসও। চিকদাইর ইউনিয়নের বাসিন্দা আনোয়ার জানান, সে ছোটবেলা থেকেই খেজুররস সংগ্রহ করতেন। তখন খেজুর গাছ থেকে প্রচুর রস সংগ্রহ করে নিয়ে যেতেন বাড়িতে। কিন্তু বর্তমানে গাছের সংখ্যা একেবারেই কমে যাওয়া তেমন একটা রস পায় না। আগে ৪-৫টি খেজুর গাছ থেকে রস সংগ্রহ হতো প্রায় ১০-২০ কেজি। বর্তমানে রস সংগ্রহ হচ্ছে ৪-৫ কেজি। এক সময় প্রতি কেজি খেজুর রস বিক্রি হতো ১০-২০ টাকায়। বর্তমানে সে খেজুরের রস বিক্রি হচ্ছে ১০০-১৫০টাকা। অন্যান্য জায়গায় ২০০টাকাও বিক্রি হচ্ছে। 

[৪] স্থানীয়রা জানান, আগে শীতের মৌসুম আসলে মিষ্টি রোদে বসে খেজুরের রস খেতাম। এখন সারা গ্রাম খুঁজেও পাওয়া যায় না রস। তাই সকলেরই প্রতি দাবী খেজুর গাছ লাগানোর দিকে মনোযোগ দেওয়ার জন্য। তা না হলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম খেজুরের রসের কথা শুধু বই পুস্তকে পড়বে। কিন্তু বাস্তবে তা পাবে না। তবে চট্টগ্রাম রাঙামাটি মহাসড়ক রাউজানের অংশে সড়কের দু'পার্শ্বে এক হাজার বিদেশি খেজুর গাছের চারা লাগিয়েছে সংসদ সদস্য এবি এম ফজলে করিম চৌধুরী। 

[৫] নোয়াপাড়া ইউনিয়নের গাছি কবির আহাম্মদ জানান, রাউজানে খেজুর গাছ আর আগের মত নেই। রাস্তার ধারে কিংবা বিলের আলে প্রাকৃতিক বেড়ে উঠা কিছু খেজুর গাছ রয়েছে। সেগুলো থেকে রস সংগ্রহ করছি। এখন আগের মতো বাণিজ্যিকভাবে খেজুর রস সংগ্রহ করা যায় না। বাজারে প্রচুর চাহিদা থাকলেও গাছের অভাবে রস সংগ্রহ করা যাচ্ছেনা। খেজুর গাছের পরিমাণ অনেক কমে গেছ। নির্বিচারে এসব খেজুর গাছ কেটে সাবার করা হচ্ছে। মূলত নতুন ভাবে রোপন না করার কারণেই খেজুর গাছ বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। সম্পাদনা: এ আর শাকিল

প্রতিনিধি/এআরএস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়