সাদেক আলী: আমাদের প্রত্যেকের কাছেই নিজেদের নাম বিশেষ পছন্দের। কিন্তু অনেকেই হয় তো জানেন না যে আমাদের নামের প্রথম বর্ণের অন্য আরেকটি গুরুত্ব রয়েছে। জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, আমাদের নামের প্রথম বর্ণ আসলে আমাদের চরিত্রের বৈশিষ্ট্যকে তুলে ধরে। ইংরেজি বর্ণমালার ২৬টি অক্ষরের মধ্যে ‘A’, ‘J’, ‘O’ এবং 'S' এই ৪টি বর্ণ খুবই ক্ষমতাশালী।
সাধারণত 'S' দিয়ে যাঁদের নাম শুরু হয় তাঁরা চরিত্রগত ভাবে খুবই সৎ এবং বিনয়ী হন। এঁরা অন্যদের কাছে নিজের ভালবাসাকে খুব একটা প্রকাশ করতে পারেন না। লোক দেখানো বা দামি উপহার কিনে দেওয়া এসব এঁদের ততটা পছন্দ নয়।
জ্যোতিষশাস্ত্র বলছে, 'S' দিয়ে শুরু হওয়া নামের ব্যক্তিরা সহানুভূতিশীল হন। এঁরা অন্যদের দুঃখ-কষ্ট বুঝতে, সহানুভূতি জানাতে, সম্পর্কে ভাল বোঝাপোড়া রাখতে সচেষ্ট থাকেন। এঁরা যে কাউকে সমস্যায় পড়তে দেখলেই সাহায্যের জন্য ছুটে যান।
অনেকেই মনে করেন ‘S’ দিয়ে শুরু হওয়া নামের ব্যক্তিরা ঠিক সাধারণ মানুষের মতো নয়, এঁদের দুঃখ-কষ্ট হয় না। আসল কথা হল এঁরা নিজের মনের অনুভূতিকে ঠিক করে প্রকাশ করতে পারেন না।
জ্যোতিষশাস্ত্র বলছে, ‘S’ দিয়ে যাদের নাম শুরু হয় তাঁরা বেশ তরতাজা মনের মানুষ। সুখ-দুঃখ উভয়কেই এঁরা সমান গুরুত্ব দিয়ে উদযাপন করেন। এঁদের চরিত্রে একটা চার্মিং ব্যাপার রয়েছে যা আশপাশের সকলকেই আকর্ষণ করে।
আর কেরিয়ারের বিষয়েও এঁরা খুবই ভাগ্যবান। এঁরা সর্বদা অর্থমূল্যকে বেশি গুরুত্ব দেন। তাই আর্থিক ভাবে এঁরা স্বাধীন ও লাভবান হন। ‘S’ দিয়ে শুরু হওয়া নামের ব্যক্তিদের জন্য রাজনীতি, ব্যবসা বা অভিনেয় ইত্যাদি পেশা সবচেয়ে ভাল। আর্থিক ভাবে লাভবান হওয়ার মূল্য এঁদের কাছে অনেক বেশি।
যদিও এঁদের কাছে অর্থের মূল্য অনেক বেশি, তবে এঁরা কিন্তু সম্পর্ককেও সমান পরিমাণে গুরুত্ব দেন। এঁরা ব্যক্তিগত জীবন এবং প্রফেশনাল জীবন উভয় ক্ষেত্রেই সম্পর্ককে সমান গুরুত্ব দিয়ে ভালোবাসতে জানেন। এঁরা কোনও সম্পর্কে একবার কমিটেড হয়ে গেলে আর কোনও ভাবেই পার্টনারের সঙ্গ ছাড়েন না।