প্রস্টেটে কোনো সমস্যা দেখা না দেওয়া পর্যন্ত অধিকাংশ পুরুষই এই গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গটির দিকে বিশেষ নজর দেন না। অথচ পুরুষদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি যে ক্যানসার দেখা যায়, তার তালিকার শীর্ষেই রয়েছে প্রস্টেট ক্যানসার।
বিশ্বজুড়ে প্রায় ৬ শতাংশ পুরুষ জীবনের কোনো না কোনো পর্যায়ে প্রস্টেট ক্যানসারে আক্রান্ত হন। সবচেয়ে উদ্বেগজনক বিষয় হলো— এই রোগটি অনেক সময় নীরবে শরীরে বাসা বাঁধে। তাই ৫০ বছর বয়সে পৌঁছার আগেই প্রস্টেটের স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন হওয়া অত্যন্ত জরুরি।
শুধু ক্যান্সার নয়, এই বয়সের পর প্রস্টেটসংক্রান্ত আরও নানা জটিলতা দেখা দিতে পারে। তবে সচেতন জীবনযাপন ও সঠিক খাদ্যাভ্যাস মেনে চললে এসব ঝুঁকি অনেকটাই কমানো সম্ভব। প্রস্টেটের সুস্থতায় বিশেষভাবে কার্যকর একটি খাবার হলো কুমড়োর দানা।
প্রস্টেট সমস্যার কথা উঠলেই অনেকে কেবল ক্যানসারের দিকেই নজর দেন। অথচ এই ছোট্ট গ্রন্থিটি পুরুষদের প্রজনন স্বাস্থ্য বজায় রাখতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। প্রস্টেট সেমিনাল ফ্লুয়েড তৈরি করতে সাহায্য করে, যা বীর্য গঠনে এবং শুক্রাণুর গুণগতমান বজায় রাখতে প্রয়োজনীয় ভূমিকা পালন করে। ফলে এই অঙ্গটির যত্নে অবহেলা করলে ভবিষ্যতে বড় ধরনের শারীরিক জটিলতায় পড়ার আশঙ্কা থাকে।
পরিসংখ্যান বলছে, ৫০ বছরের পর প্রায় ৫০ শতাংশ পুরুষের মধ্যেই বিনাইন প্রোস্ট্যাটিক হাইপারপ্লাসিয়া (বিপিএইচ) কিংবা প্রোস্টাটাইটিসের ঝুঁকি বেড়ে যায়। বিনাইন প্রোস্ট্যাটিক হাইপারপ্লাসিয়ায় প্রস্টেট গ্রন্থির আকার অস্বাভাবিকভাবে বড় হয়ে যায়, আর প্রোস্টাটাইটিসে প্রস্টেটে তীব্র প্রদাহ সৃষ্টি হয়। এই দুই সমস্যার ঝুঁকি কমাতে কুমড়োর দানা অত্যন্ত উপকারী বলে মনে করা হয়।
কুমড়োর দানায় রয়েছে ম্যাগনেশিয়াম, জিঙ্ক ও আয়রনের মতো গুরুত্বপূর্ণ খনিজ উপাদান, যা প্রস্টেট গ্রন্থির স্বাভাবিক কার্যকারিতা বজায় রাখতে সহায়তা করে। পাশাপাশি এতে থাকা ওমেগা-৩ ও ওমেগা-৬ ফ্যাটি অ্যাসিড প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। শুধু তাই নয়, নিয়মিত কুমড়োর দানা খেলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং হৃদ্রোগের ঝুঁকিও কমে।
কুমড়োর দানা খেলে পুরুষেরা যেসব উপকার পেতে পারেন—
সূত্র: যুগান্তর