মুসবা তিন্নি: [২] হিজাজি আরবী হরফে লেখা ৩২ পৃষ্ঠার এক জিলদ কোরআনের পুণরুদ্ধার করা হয়েছে। এ প্রাচীন কোরআন মজিদ এখন মিসরের জাতীয় লাইব্রেরিতে সুরক্ষিত রয়েছে। সূত্র : রয়টার্স
[৩] পর্যটন ও প্রত্নতত্ত্ব মন্ত্রণালয়ের পরিদর্শক মালাক নশি মালাক জানান, হাদিদি কালি ব্যবহারে অনেক পুরোনো হিজাজি আরবি হরফে লেখা হয় এ কোরআনে। এগুলো ছিল রাসূল সাল্লাহু আলাহি ওয়া সাল্লামের ইসলাম প্রচারের পর একদম শুরুর দিকের হরফ। মূলত পশুর প্রক্রিয়াজাত চামড়ার ওপর এ কোরআন লিপিবদ্ধ করা হয়। এমন চামড়া ‘রিক’ হিসেবে পরিচিত।
[৪] মালাক আরও জানান, খ্রিস্টীয় ৭ম শতাব্দীতে এটি লেখা হয়েছিল। অর্থাৎ, হিজরি সাল গণনা শুরুর একেবারে প্রথম দিকে লেখা একটি কোরআনের পাণ্ডুলিপি হল এটি। আধুনিক ক্যালেন্ডারের হিসেবে পাণ্ডুলিপিটির বয়স দাঁড়ায় প্রায় ১৪শ বছর। কেবল মিসর নয়, মধ্যপ্রাচ্য কিংবা হয়তো পুরো বিশ্বেরই সবচেয়ে পুরোনো কোরআনের কপিগুলোর একটি হবে এই পাণ্ডুলিপি।
[৫] উল্লেখ্য, বার্মিংহাম, তিউনিসিয়া, তুরস্ক, উজবেকিস্তান, ইয়েমেন, জার্মানি ও যুক্তরাজ্যেও সংরক্ষিত আছে বিভিন্ন সময়ে আবিষ্কৃত কোরআনের সবচেয়ে প্রাচীন ৭টি কপি। সম্পাদনা: সাজ্জাদুল ইসলাম
এমটি/এসআই/এইচএ