শিরোনাম
◈ বাংলাদেশের দুটি 'চিকেন নেক' কেটে দেব: আসাম রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর হুঁশিয়ারি ◈ হাজার হাজার ‘বাংলাদেশিকে’ ফেরত পাঠাতে চায় ভারত ◈ পররাষ্ট্র সচিব জসীমের বিদায়, রুটিন দায়িত্বে রুহুল আলম ◈ আসিফ-মাহফুজকে নিয়ে যা বললেন নুর ◈ তোমরা সংযত হও, নাহলে আমি পদত্যাগ করবো, বলেছেন প্রফেসর ইউনূস ইতিমধ্যেই ◈ জুলাই অভ্যুত্থানের পর সেনানিবাসে আশ্রয় ৬২৬ জনের তালিকা দিল সেনাবাহিনী, যাদের নাম আছে ◈ প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে নাহিদের সাক্ষাৎ, পদত্যাগ না করার অনুরোধ ◈ ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন না হলে সরকারকে আর সহযোগিতা নয়: হুঁশিয়ারি বিএনপির ◈ উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে ৫ সিদ্ধান্ত ◈ ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে গরু মোটা-তাজা করতে ব্যস্ত সময় পাড় করছেন মালিকরা

প্রকাশিত : ০৮ মে, ২০২৫, ১১:৩১ রাত
আপডেট : ২২ মে, ২০২৫, ০১:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

যে দুই কারণে জাহান্নামে যাবে অধিকাংশ মানুষ

প্রত্যেক মানুষ তার কৃতকর্মের ফল ভোগ করবে। আমল ভালো হলে সে হবে জান্নাতের মেহমান। আর আমল মন্দ হলে হতে হবে জাহান্নামে কয়েদি। পাপ মানুষকে জাহান্নামি বানায়। কিন্তু ইবাদত-বন্দেগি তথা নামাজ, রোজা ইত্যাদি না করার কারণে যে পরিমাণে মানুষ জাহান্নামে যাবে, তার চেয়ে বেশি মানুষ জাহান্নামে যাবে দুটি পাপের শাস্তিস্বরূপ। হাদিসে এসেছে, রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে জিজ্ঞেস করা হলো, ‘কোন আমলের কারণে মানুষ বেশি জান্নাতে প্রবেশ করবে?’ তিনি বললেন, ‘আল্লাহর ভয় ও উত্তম আখলাক।’ আবার জিজ্ঞেস করা হলো, ‘কোন কাজের ফলে মানুষ বেশি জাহান্নামে যাবে?’ তিনি বললেন, ‘মুখ ও লজ্জাস্থানের গুনাহের কারণে।’ (সুনানে তিরমিজি: ২০০৪)

মুখ ও লজ্জাস্থান মারাত্মক দুই অঙ্গ। এ দুই অঙ্গ এমন, যা মারাত্মক ক্ষতি ডেকে আনে। সমাজে নানা অপরাধের জন্ম হয় এ দুটির কারণে। এর অপরাধ কতটা মারাত্মক তা নবীজি (সা.)-এর বর্ণিত বাণী থেকে সুস্পষ্ট বোঝা যায়। যদি অস্বাভাবিক ক্ষতির কারণ না হতো, স্বাভাবিক গুনাহের মতোই হতো, তাহলে নবীজি (সা.) এত গুরুত্ব দিয়ে সতর্ক করতেন! ইমাম কুরতুবি (রহ.) তাঁর তাফসিরে লেখেন, দুটি অভ্যাস থেকে যে ব্যক্তি বেঁচে থাকবে প্রিয় নবী (সা.) তার জান্নাতে যাওয়ার দায়িত্ব নিয়েছেন। এ সম্পর্কে নবীজি (সা.) নিজেই বলেন, ‘যে ব্যক্তি তার দুই চোয়ালের মধ্যবর্তী (জিহ্বা) এবং দুই রানের মাঝখানের (লজ্জাস্থান) হেফাজত করার জিম্মাদারি নেবে, আমি তার জান্নাতের দায়িত্ব নেব।’ (সহিহ্ বুখারি: ৬০৩০; তাফসিরে কুরতুবি: ৯ / ৩২৭)

হাদিসে রাসুল (সা.) বিশেষ গুরুত্বের সঙ্গে এই দুই অঙ্গের গুনাহ থেকে বেঁচে থাকার কথা বলেছেন এবং যে ব্যক্তি এই গুনাহ থেকে নিজেকে বিরত রাখবে, তার জান্নাতের দায়িত্বও গ্রহণ করেছেন। তাই আমাদের এখন থেকেই সতর্ক হয়ে এই দুই অঙ্গের যাবতীয় গুনাহ থেকে দূরে থাকা উচিত। সূত্র: আজকের পত্রিকা

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়