শিরোনাম
◈ কূটনৈতিক সংকট ছাপিয়ে বাণিজ্যে ভারত–বাংলাদেশের পারস্পরিক নির্ভরশীলতা বাড়ছে ◈ বিএনপিকে চাপে রাখতে জামায়াতের যুগপৎ আন্দোলন ◈ এই সরকারও পুরোনো পথে, প্রশাসনে পদ ছাড়াই পদোন্নতি ◈ এ‌শিয়া কাপ, রা‌তে আফগানিস্তা‌নের মু‌খোমু‌খি বাংলাদেশ ◈ ডাকসুর ভিপি সাদিক কায়েম: হিজাব–নন-হিজাব, সবার পোশাক ও পরিচয়ের সমান অধিকার নিশ্চিত হবে ◈ সঙ্কটে এশিয়া কাপ! দা‌বি না মান‌লে, প‌রের ম‌্যাচ আরব আ‌মিরা‌তের বিরু‌দ্ধে খেল‌বে না পাকিস্তান ◈ হ্যান্ডশেক বিতর্কে এবার মুখ খুললেন সৌরভ গাঙ্গু‌লি ◈ নেতানিয়াহুর পাশে আমেরিকা, লক্ষ্য হামাস ধ্বংস: রুবিও ◈ বিনা পাসপোর্টে ভারতে যাওয়া ১৫ বাংলাদেশিকে হস্তান্তর করল বিএসএফ ◈ ম‌তের মিল হ‌চ্ছে না,  জামায়াতের সাথে এনসিপির দূরত্ব তৈরি হয়েছে যে সব কারণে

প্রকাশিত : ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ০৯:৫৮ রাত
আপডেট : ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ০৪:৫২ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মক্কার আকাশে কোরআনের আয়াত

আয়াত

এ্যানি আক্তার : সৌদি আরবের পবিত্র নগরী মক্কাতে লেজার লাইট ডিসপ্লেতে মহানবী হযরত মোহাম্মদের (স.) কাছে নাজিলকৃত প্রথম কোরআনের আয়াত প্রদর্শন করা হয়েছে। ঐতিহাসিক জাবাল আল নূরে এ আয়োজন করা হয়। আরব নিউজ

মক্কার বায়তুল্লাহ শরিফ থেকে ৪ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে জাবাল আল নূরের অবস্থান। সেখানকার হেরা গুহা নামের একটি গুহাতে অবস্থানকালে মহানবীর কাছে সর্বপ্রথম কোরআনের আয়াত নিয়ে আসেন ফেরেশতা জিবরাইল (আ.)।

মক্কা ইতিহাস কেন্দ্রের পরিচালক ড. ফাওয়াজ আল-দাহাস বলেন, সাধারণভাবে মুসলমানদের কাছে জাবাল আল নূরের একটি ঐতিহাসিক মূল্য রয়েছে এবং এটি মক্কার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক ও প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান। ইতিহাসে এটি হেরা পর্বত নামেই বেশি পরিচিত। তবে পবিত্র কোরআনের প্রথম আয়াত নাজিলের পর পুরো পৃথিবীতে যে আলো বিচ্ছুরিত হয়েছিল তার পরিপ্রেক্ষিতে এই পাহাড়ের নামকরণ করা হয়েছে জাবাল আল-নূর (আলোর পর্বত)।

ড. ফাওয়াজ আল-হাদাস আরও বলেন, মক্কার যে বৈশিষ্ট্য বিশ্বের অন্যান্য শহর থেকে একে আলাদা করে সেটি হল এটি একটি উন্মুক্ত জাদুঘর। এর সমস্ত পর্বত, উপত্যকা, পাথর ও কবরস্থান এক-একটি অনন্য ইতিহাসের প্রতিনিধিত্ব করে। নবী এবং তার সম্মানিত সঙ্গীদের অমর কাহিনীগুলো জানায়।
জাবাল আল-নূরের বাসিন্দা আবদুল্লাহ আল-আজহারী বলেন, জাবাল আল-নূরে লেজারের আলোর মাধ্যমে পবিত্র কোরআনের প্রথম নাজিলকৃত আয়াতের উপস্থাপন জায়গাটিতে একটি আধ্যাত্মিক মাত্রা দিয়েছে। জায়গাটির প্রতি আরও শ্রদ্ধা-ভক্তি বেড়ে গেছে।

সৌদি আরবের ভিশন ২০৩০ এর অন্যতম লক্ষ্য হলো মুসলিমদের জন্য ঐতিহাসিক গুরুত্ব বহনকারী জায়গাগুলোতে দর্শনার্থীদের ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক অভিজ্ঞতাকে সমৃদ্ধ করা।

লেজারের মাধ্যমে আয়াতটি উপস্থাপন করেছিল সাময়া ইনভেস্টমেন্ট কোং, যেটি মক্কায় দুটি সাংস্কৃতিক প্রকল্পও তৈরি করছে। এগুলো হচ্ছে মিউজিয়াম অব রিভেলেশন এবং মিউজিয়াম অব মাইগ্রেশন। এগুলোর লক্ষ্য হচ্ছে, প্রাক-ইসলামী যুগ থেকে বর্তমান পর্যন্ত বিভিন্ন ধরনের উপস্থাপনার মাধ্যমে নবীর মিশনের ইতিহাস এবং উত্তরাধিকারের সাথে দর্শকদের পরিচিত করা।

রয়্যাল কমিশন ফর মক্কা সিটি অ্যান্ড হোলি সাইটস এবং অন্যান্য সংস্থার সরাসরি তত্ত্বাবধানে ৬৭ হাজার বর্গমিটারেরও বেশি এলাকায় হীরা সাংস্কৃতিক জেলা প্রতিষ্ঠার কাজও শুরু হয়েছে। অনেকগুলো সাংস্কৃতিক এবং পর্যটন স্পট যেমন রিভিলেশন গ্যালারি এবং পবিত্র কোরআন জাদুঘর নিয়ে এটি গঠিত হবে। গ্যালারিগুলোতে উন্নত প্রযুক্তিগত উপস্থাপনার মাধ্যমে নবীর ঘটনা এবং কোরআনের বিভিন্ন আয়াতের বিষয়বস্তু উপস্থাপন করবে।

স্থানীয় বাসিন্দা মোহাম্মদ আল-হুসাইনি মন্তব্য করেন, এই সাংস্কৃতিক প্রকল্পগুলোর মাধ্যমে ইসলামের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের যেসব বিষয় এখানে সেখানে ছড়ানো-ছিটানো ছিল, সেগুলো সুসংগঠিত রূপ লাভ করবে। আমরা পুরো প্রকল্পের সমাপ্তির জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি, যেটি আধ্যাত্মিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিকভাবে ইসলামের ইতিহাস-ঐতিহ্যকে প্রতিফলিত করবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়