ওয়ালিউল্লাহ সিরাজ: এই তরুণ প্রজন্ম তাদের পছন্দ, ফ্যাশন, খাদ্যাভ্যাস, ব্যাংকিং সেক্টর ও অনলাইন ব্যবহারের ক্ষেত্রে এমনকি শিক্ষা ও ভ্রমণ ইত্যাদির ক্ষেত্রেও দক্ষিণ এশিয়ার মুসলিমরা প্রতি তিনজনের একজন পিতা-মাতার চেয়ে বেশি ধার্মিক। আল-জাজিরা
বুধবার প্রকাশিত নিউ মুসলিম কনজ্যুমার রিপোর্ট দেখা যায়, এই অঞ্চলের ২৫০ মিলিয়ন মুসলমানের মাত্র ২১ শতাংশ বলেছেন, তারা পিতা-মাতার চেয়ে কম ধার্মিক। আর ৪৫ শতাংশ বলেছেন, তারা পিতা-মাতার চেয়ে বেশি ধার্মিক।
গবেষণায় দেখা গেছে, এই প্রজন্মের তরুণরা বাজারে কিছু কিনতে গেলেও হালাল হারামের বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন। তরুণরা হালালকে প্রধান্য দেওয়ায় বিভিন্ন ক্ষেত্রে গড়ে উঠছে হালাল ম্যারেজ মিডিয়া, হালাল ভ্রমণবিষয়ক গাইডলাইন ও হালাল খাবার হোটেল। গবেষণায় আরো দেখা গেছে মুসলিম ভোক্তাদের ৪৫ শতাংশই কেনাকাটার ক্ষেত্রে ধর্মকে প্রাধান্য দিচ্ছেন।
ইন্দোনেশিয়া এবং মালয়েশিয়ার ১ হাজার ভোক্তার সাক্ষাৎকারের উপর ভিত্তি করে রিপোর্ট অনুসারে বলা হয়েছে, মুসলিমদের মধ্যে ৩৪ শতাংশ সম্পদকে খুব গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন। ২৮ শতাংশ তাদের আবেগকে অগ্রাধিকার দেয়। আর মাত্র ১২ শতাংশ খ্যাতিকে অগ্রাধিকার দেয়।
গবেষণায় আরো দেখা গেছে, ৬০ শতাংশ মুসলিমরা সবসময় ব্যাংকিং ক্ষেত্রে বিনিয়োগে ইসলামী শরীয়া অনুযায়ী হালাল হচ্ছে কিনা সে বিষয়ে গুরুত্ব দিয়ে থাকেন। অন্যদিকে ভ্রমণের ক্ষেত্রে ৭০ শতাংশ মুসলিম হালাল খাদ্য পাওয়া যাবে কিনা সে বিষয়ে খোঁজ-খবর নিয়ে থাকে।
ওয়ান্ডারম্যান থম্পসন ইন্টেলিজেন্সের তথ্যে দেখা গেছে, ৯১ শতাংশ দক্ষিণ এশিয়ার মুসলিমরা মনে করেন আল্লাহর সাথে একটা গভীর সম্পর্ক নিজেদের জীবনের অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। একটি পণ্য কিনতে গেলে পন্যের মূল্যের চেয়ে পণ্যটির গুণগতমান তথা একটি ধর্মীয় ভাবে হালাল কিনা এ বিষয়ে বেশি চিন্তিত থাকে প্রায় ৯১ শতাংশ মুসলিম ভোক্তা। পশ্চিমা ভোগবাদী মানসিকতায় মানুষকে ধর্মের দিকে আকৃষ্ট করছে। যার ফলে তারা হালাল ডেটিং অ্যাপ, ইসলামী রীতি অনুযায়ী পোশাক -পরিচ্ছদ, হালাল ভ্রমণবিষয়ক অ্যাপ পর্যন্ত খুঁজছে। বিশেষ করে নতুন কোনো প্রযুক্তি বাজারে আসার পর বেশি প্রশ্ন উত্থাপিত হয়, এটা কি হালাল? সম্পাদনা: রাশিদ