শিরোনাম
◈ সিলেট লাগোয়া বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে রাত্রিকালীন কারফিউ জারি করল মেঘালয় ◈ ভারতের সেনানিবাসের কাছে বিস্ফোরণ-গোলাগুলি (ভিডিও) ◈ আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের প্রশ্নে আইনি প্রক্রিয়া কী? ◈ পারমাণবিক যুদ্ধ হলে ক্ষতি কল্পনাতীত, সংযত হওয়ার এখনই সময়: ডনের সম্পাদকীয় ◈ পাকিস্তানের আকাশসীমা পরিহার: বিমানের টরন্টো, লন্ডন ও রোম ফ্লাইটের সময়সূচি পরিবর্তন ◈ ভারতে ব্লকড বাংলাদেশি চারটি টিভির ইউটিউব চ্যানেল  ◈ আ.লীগ নিষিদ্ধ করা নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া রাজনৈতিক নেতাদের ◈ আবার ‘ব্ল্যাকআউট’ হলো জম্মু-কাশ্মীরের বিস্তীর্ণ অংশ: সন্ধ্যা হতেই পাকিস্তানের গোলাবর্ষণ শুরু ◈ আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি: শাহবাগে অবস্থান চলবে, শনিবার বিকেলে গণজমায়েত ◈ দ্রুত সিদ্ধান্ত না এলে ফের ‘মার্চ টু ঢাকা’: নাহিদ ইসলাম

প্রকাশিত : ১২ জানুয়ারী, ২০২৫, ০৯:৫৭ সকাল
আপডেট : ০৩ মে, ২০২৫, ০৭:০০ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

কোন নামাজে কোন সুরা তিলাওয়াত করা উত্তম

নামাজে পবিত্র কুরআন থেকে বড় এক আয়াত বা ছোট তিন আয়াত পরিমাণ তিলাওয়াত করা ফরজ। কুরআনের যেকোনো স্থান থেকে পড়লেই ফরজ আদায় হয়ে যাবে। তবে প্রতি রাকাতে সুরা ফাতিহা ও অন্য একটি সুরা মিলিয়ে পড়া ওয়াজিব। 

তবে নামাজের সুরা নির্বাচনের ক্ষেত্রে সাধারণত নবীজি (সা.) একটি নিয়ম অনুসরণ করতেন। সেই নিয়ম অনুযায়ী তিলাওয়াত করা সুন্নত। 

দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ নামাজে কিরাত পড়ার ক্ষেত্রে নবী (সা.)-এর সাধারণ অভ্যাস ছিল ফজর ও জোহরের নামাজে সুরা হুজুরাত (৪৯ নম্বর সুরা) থেকে সুরা বুরুজ (৮৫ নম্বর সুরা) পর্যন্ত সুরাগুলো থেকে তিলাওয়াত করা। 

আসর ও এশার নামাজে সুরা তারিক (৮৬ নম্বর সুরা) থেকে সুরা বায়্যিনাহ (৯৮ নম্বর সুরা) পর্যন্ত সুরাগুলো থেকে তিলাওয়াত করা। 

মাগরিবের নামাজে সুরা জিলজাল (৯৯ নম্বর সুরা) থেকে সুরা নাস (সর্বশেষ সুরা) পর্যন্ত সুরাগুলো থেকে তিলাওয়াত করা। এটি স্বাভাবিক সময়ের জন্য সুন্নত। সফরে থাকলে এটি অনুসরণ করার প্রয়োজন নেই।

এ ছাড়া জুমার নামাজে নবী (সা.) প্রায় সময় সুরা আলা ও সুরা গাশিয়া বা সুরা জুমুআ ও সুরা মুনাফিকুন তিলাওয়াত করতেন। 

আবার প্রায় সময় জুমার দিন ফজরের নামাজে সুরা সাজদা ও সুরা দাহর তিলাওয়াত করতেন। ফজরের আগের দুই রাকাত সুন্নত নামাজে সুরা কাফিরুন ও সুরা ইখলাস তিলাওয়াত করতেন। 

বিতরের নামাজে প্রথম রাকাতে সুরা দুহা, দ্বিতীয় রাকাতে সুরা কাফিরুন ও তৃতীয় রাকাতে সুরা ইখলাস তিলাওয়াত করার অভ্যাস ছিল। 

ফরজ নামাজে এক রাকাতে সুরা ফাতেহার পর একাধিক সুরা না পড়াই উত্তম। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, প্রত্যেক সুরার পর রুকু এবং সিজদা করে তার হক আদায় কর।  (মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদিস ৩৭৩০)

তবে এক রাকাতে একাধিক সুরা পড়াও জায়েয আছে। কোনো কোনো সাহাবি এবং তাবেয়ি থেকে ফরজ নামাজেও এক রাকাতে সুরা ফাতেহার পর একাধিক সুরা পড়ার কথা বর্ণিত আছে, যেমন আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রা.) থেকে বর্ণিত আছে, তিনি ফরজ নামাজের এক রাকাতে একত্রে দুটি সুরা পড়তেন। (মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদিস ৩৭১৪)

আতা (রহ.) বলেন, ফরজ নামাজে এক রাকাতে দুটি সুরা বা দুই রাকাতে একটি সুরা পড়লে অসুবিধা নেই। (মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদিস ৩৭১৫)

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়