শিরোনাম
◈ দুই বাংলার সিনেমা অঙ্গনে বাড়ছে ‘দুরত্ব’ ◈ ‘বিড়াল ধরে খাওয়ার অপরাধে’ হাইতির অভিবাসীদের তাড়াতে চান ট্রাম্প ◈ বাংলাদেশের উন্নয়নে ২০০ মিলিয়ন ডলারের সহায়তা যুক্তরাষ্ট্রের ◈ বাংলাদেশ ও ভারতের তিনজন করে ক্রিকেটার রেকর্ডের সামনে দাঁড়িয়ে  ◈ ধর্ষণ মামলা নিতে দেরি করায় ওসি গ্রেপ্তার! ◈ সাবেক মন্ত্রী-এমপি ও তাদের পরিবারের সদস্যসহ ৫৮৯ জনের পাসপোর্ট বাতিল ◈ রাত বাড়তেই ঢাকায় বাড়ছে সংঘাত, নিষ্ক্রিয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ◈ ত্রাণের টাকা কোথায় রাখা হয়েছে, জানালেন হাসনাত আব্দুল্লাহ ◈ বিপাকে আওয়ামী লীগের পলাতক নেতাদের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ◈ এভাবে মার খেয়ে আমরা কারখানায় যাব না : এ কে আজাদ

প্রকাশিত : ১০ জুলাই, ২০২৩, ১০:৫২ দুপুর
আপডেট : ১০ জুলাই, ২০২৩, ১১:৫১ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বিদেশের ৫০ লাখ বা ১ কোটি টাকার চিকিৎসাসেবা দেশে মিলবে ২ লাখ টাকায়, সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালে: ডা. রসুল আমিন শিপন

ভূঁইয়া আশিক রহমান: [২] আমাদেরসময় ডটকম ও আমাদের অর্থনীতি : হাসপাতালের আন্তঃবিভাগ চালু হলো আনুষ্ঠানিকভাবে। শুরুর দিন কী পরিমাণ, কোন ধরনের কাজ সম্পন্ন হলো?

সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. রসুল আমিন শিপন, অতিরিক্ত পরিচালক, বিএসএমএমইউ সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল: বিএসএমএমইউ সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের আউট পেশেন্ট ডিপার্টমেন্ট ও ইনভেস্টিগেশন (ওপিডিই) চালু হয়েছিলো গত বছরের ২৭ ডিসেম্বর। ৫ জুলাই আমাদের আন্তঃবিভাগের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এই হাসপাতালটিতে ৫টি সেন্টার আমরা করেছি। এর মধ্যে মা ও শিশু বিভাগ আছে। মা ও শিশু বিভাগে গাইনি বিভাগের অধ্যাপক তৃপ্তি ম্যাডামের আন্ডারে প্রথমদিন পাঁচটি অপারেশন হয়েছে। একটি নবজাতকের জন্ম হয়েছে। সার্জারিতে ৪টি অপারেশন হয়েছে। কার্ডিও ভাসকুলার সেন্টার, অত্যাধুনিক সুবিধা নিয়ে এই স্ট্রোক সেন্টারটি চালু হয়েছে। একজন হার্ট অ্যাটাকের রোগী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এলে রিং পড়াতে হয়, এটা ওয়ার্ল্ড স্ট্যান্ডার্ড ট্রিটমেন্ট। দেশের অনেক হাসপাতালেই রাত বারোটার পর এলে এই চিকিৎসা সেবা দিতে পারে না রোগীকে। আমাদের স্বপ্ন ২৪ ঘণ্টার যেকোনো সময় হার্টের রোগী এলে এনজিওগ্রাম করে এনজিও প্লাস্টিক করার সুযোগ থাকবে। 

[৩] একইসঙ্গে এখানে একটা স্ট্রোক সেন্টার আছে, যা বাংলাদেশের প্রথম সরকারি লেভেলের স্ট্রোক সেন্টার। এখানে স্ট্রোক নিউরোলজিস্ট প্রফেসর শহিদুল্লাহ সবুজ আছেন। আগে মানুষ স্ট্রোকের চিকিৎসা সম্পর্কে জানতো না। স্ট্রোক মানেই মানুষ প্যারালাইজড হয়ে যেতো। কিন্তু স্ট্রোক হওয়ার চার ঘণ্টার মধ্যে হাসপাতালে এলে আমরা যদি রোগীকে সঙ্গে সঙ্গে আই ভি থ্রম্বোলাইসিস দিই, তাহলে রোগীর প্যারালাইসিসটা রিকেভারি হয়ে যায়। অথবা আমরা যদি কোনো ব্লক পাই তখন সঙ্গে সঙ্গে আমরা ব্রেনে এনজিওগ্রাম করে থ্রোম্বোলাইসিসটা বের করে নিয়ে আসতে পারি, তাহলেও রোগী রিকেভারি করতে পারে। কিন্তু এই ধারণাগুলো বাংলাদেশে প্রচলিত নয়। একজন রোগী এসেছিলেন, যার ১০০ ভাগই ব্লক এবং আমরা তাকে ১০০ ভাগই সারাতে সক্ষম হয়েছি অত্যাধুনিক ফ্যাসিলিটির মাধ্যমে। যে চিকিৎসার জন্য মানুষ বিদেশ যায়, সেই চিকিৎসা এখন আমরা দেশে দিতে সক্ষম হচ্ছি। 

[৪] একটি ব্রেস্টের অপারেশনও হয়েছে। একজনের হাঁটুর অপারেশন হয়েছে। একজনের লিভারের অপারেশনও আমরা প্রথম দিন সম্পন্ন করেছি। আমাদের কার্ডিওলজি ডিপার্টমেন্ট চালু হয়েছে; এতে বাংলাদেশের সবচেয়ে অত্যাধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা রয়েছে এবং আমরা এখানে ২৪ ঘণ্টা রোগীদের সেবা দেবো। হার্টের রোগীদের জন্য ২৪ ঘণ্টা সেবা চালু থাকাটা খুব জরুরি। 

[৫] জনআকাক্সক্ষা বাড়ছে সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালকে কেন্দ্র করে? এটা কি চাপ, নাকি চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিচ্ছেন?

ডা. মো. রসুল আমিন শিপন : আমাদের মধ্যে যারা সরকারি চাকরি করেন, তারা করপোরেট সার্ভিসে অভ্যস্ত নন। কিন্তু সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালটি সরকারি পর্যায়ে করপোরেট সার্ভিস দেওয়ার জন্যই চালু কাজ করা হয়েছে। সে কারণে এই হাসপাতালের ম্যানপাওয়ার আমরা আলাদাভাবে নিয়োগ দিচ্ছি এবং এর কাজ এখনো প্রক্রিয়াধীন আছে এবং যথাযথ ম্যানপাওয়ার যদি আমরা পাই, সব নিয়োগ প্রক্রিয়া যদি সম্পন্ন হয় এবং সকল ধরনের মেশিন যদি পাই, তাহলে আমরা আশা করি জনগণের আশা-আকাক্সক্ষা আমরা পূরণ করতে পারবো। রোগীদের বিদেশমুখিতাও আমরা রোধ করতে পারবো। বাইরে কোথাও লিভার বা কিডনি ট্রান্সফার করতে ২০, ৩০, ৫০ লাখ কিংবা ১ কোটি টাকাও লাগে, আমাদের এখানে খরচ হবে মাত্র ২ লাখ টাকা। আমরা আশা করি আমরা যদি রোগীদের সব সুযোগ-সুবিধা দিতে পারি, তাহলে আমাদের রোগীরা অবশ্যই দেশেই তাদের চিকিৎসা করাবেন। 

রোগীদের প্রত্যাশা বৃদ্ধি আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জ। কারণ আমাদের উপর ভরসা করছেন। বিশ্বাস করছেন। আস্থা দেখাতে শুরু করেছেন। রোগীদের এই আস্থা, বিশ্বাস, ভরসা, নির্ভরতা আমাদের অনেক বেশি দায়িত্ব করে তুলবে। অনেক বেশি সেবা দেওয়ার জন্য উজ্জীবিত করবে। আমরা সবসময় তাদের প্রত্যাশা মেটাতে পারার চেষ্টা করবো। তারা যাতে কখনো নিরাশ না হন, বিশ্বাস ও ভরসা ধরে রাখার চেষ্টা আমরা সর্বাত্মকভাবে করবো। রোগীদের আস্থা ধরে রাখা নিশ্চয়ই অনেক বড় চ্যালেঞ্জ। তাদের এই প্রত্যাশার চ্যালেঞ্জ আমরা নিয়েছি। সেই চ্যালেঞ্জে আমরা উতরে যাবো বলেই বিশ্বাস করি। তবে আপনাদের (গণমাধ্যম) সহযোগিতা সবসময়ই প্রত্যাশা করি আমরা। এছাড়াও আমাদের দক্ষ জনবল দরকার আছে। আমরা যদি দক্ষ জনবল পেয়ে যাই তাহলে সকল চ্যালেঞ্জই আমরা মোকাবেলা করতে পারবো ইনশাআল্লাহ।

[৬] হাসপাতাল কার্যক্রম কবে থেকে পুরোদমে চালু হবে?

ডা. মো. রসুল আমিন শিপন: হাসপাতাল নতুন। নতুন আদলে তৈরি আধুনিক একটি হাসপাতাল। এ কারণে হাসপাতালে জন্য একটি আলাদা সংবিধান তৈরি হয়েছে। যা পরিচালনার জন্য আলাদা কমিটি গঠন করা হয়েছে। আমাদের নির্বাচন বোর্ড গঠন করা হয়েছে। সার্কুলার দেওয়া হয়েছে। ৫৪৬ জনের জন্য সার্কুলার দেওয়া হয়েছে। আমরা আশা করি ১ বছরের মধ্যে সকল নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়ে পুরো দমে আমরা কাজ শুরু করতে পারবো। বর্তমানে স্বল্পসংখ্যক হলেও প্রতিটা বিভাগে রোগী ভর্তির বিধান চালু হয়েছে। 

[৭] আমাদের এখন ২৫-৩০ শতাংশ জনবল আছে। এই লোকবল নিয়ে তো আমরা ৭৫০ বেড চালু করতে পারবো না। ফলে আমাদের এখন যে জনবল আছে, তা দিয়ে যতোটুকু ফ্যাসিলিটি দেওয়া সম্ভব আমরা দিয়ে যাবো। তবে রোগী এসে ফেরত গেলে রেপুটেশনের সংকট হতে পারে। তবে হাসপাতাল তো চালু করতে হবে। বসে থাকা তো যাবে না। আমাদের ধাপে ধাপে এগোতে হবে। প্রথম দিন ১০ জন রোগীর অপারেশন হয়েছে। অন্য হাসপাতাল থেকে এই হাসপাতালের খরচ আলাদা। সবাই সব ফ্যাসিলিটি এখানে এফোর্ড করতে পারবেন, তাও তো নয়। যে রোগীরা এই হাসপাতালের খরচ এফোর্ড করতে পারবেন, আমরা চেষ্টা করবো তাদের সর্বোচ্চ চিকিৎসা সেবা দেওয়ার। আমরা যদি এখন সব রোগীর সেবা সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালে দিতে না পারি, তাহলে আমাদের বিএসএমএমইউতে রেফার করে দেবো। এটা আপাতত। আমরা যখন সব জনবল নিয়োগ সম্পন্ন করতে পারবো, তখন আর কাউকে ফিরে যেতে হবে না। সব সেবা, সব রোগীকেই আমরা সেবা দিতে পারবো। এখন সেদিনের অপেক্ষায় আছি। সেভাবেই আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি। 

[৮] সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের সুপার সেবা কার্যক্রম সম্পর্কে জনগণকে অবহিত করার কোনো প্ল্যান আছে কি? মানে প্রচার-প্রচারণা করে রোগীদের জানানো আপনাদের সেবা কার্যক্রম সম্পর্কে। 

ডা. মো. রসুল আমিন শিপন: আমরা বিভিন্ন সময় মিডিয়ার মাধ্যমে আমাদের সেবা কার্যক্রম জানাচ্ছি। এখন প্রতিনিয়ত রোগী আসছেন, তাদের মাধ্যমেও সারাদেশের রোগীরা সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল সম্পর্কে বিস্তারিত জানবেন। এর বাইরে নানা ভাবে মানুষকে জানানোর চেষ্টা করছি। আপনাদের (সাংবাদিক) সহযোগিতায় সেটা আমরা করছি। গণমাধ্যম আমাদের সর্বাত্মক সহযোগিতা করছে, আমরা আশা করবো ভবিষ্যতেও আপনাদের এই সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। তাহলে বিশ^মানের সেবা দেওয়ার চেষ্টা, উদ্যোগ সেটা আমরা বাস্তবায়ন করতে পারবোই, পারবো। 

[৯] চিকিৎসা খরচ কেমন হবে সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের, অন্যদের তুলনায়?
ডা. মো. রসুল আমিন শিপন : দেশের প্রাইভেট হাসপাতালের চেয়ে কম খরচে চিকিৎসেবা এই হাসপাতাল থেকে পাবেন রোগীরা। বেসরকারি হাসপাতাল থেকে অলমোস্ট ৫০ শতাংশ কম খরচে চিকিৎসা পাবেন রোগীরা এখানে। বিএসএমএমইউ থেকে ৪০ শতাংশ কম খরচে এখন সুপার হাসপাতাল থেকে রোগীরা সেবা পাচ্ছেন। বেসরকারি হাসপাতালের খরচের সঙ্গে তুলনা করলে ৫০ শতাংশেরও কম খরচে এখন সুপার হাসপাতাল সেবা দিতে পারছেন। 

[১০] নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে নানা প্রশ্ন। এ ব্যাপারে কী বলবেন?

ডা. মো. রসুল আমিন শিপন : আমি একজন নিয়োগকৃত চিকিৎসক। দায়িত্বপ্রাপ্ত মানুষ। নিয়োগ প্রক্রিয়া দেখে প্রশাসন। তারা এ ব্যাপারে সঠিক ব্যাখ্যা দিতে পারবেন। এ বিষয়ে আমি কোনো মন্তব্য করবো না। কারণ নিয়োগ প্রক্রিয়ার সঙ্গে আমি কোনোভাবে জড়িত নই। 

[১১] বিদেশ থেকেও কি কনসালট্যান্ট থাকবেন?

ডা. মো. রসুল আমিন শিপন : সুপার হাসপাতালে এখন বিএসএমএমইউর অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক কিংবা সহকারী অধ্যাপকরাই অতিরিক্ত দায়িত্বরত হিসেবে কাজ করছেন। নিয়োগ প্রক্রিয়া যখন সম্পন্ন হয়ে যাবে, তখন এই হাসপাতাল স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়ে যাবে। তখন এখানকার নিয়োগকৃত চিকিৎসকরাই চিকিৎসা দেবেন। আর কোরিয়া থেকে কিছু ডাক্তার আসার কথা আছে, ট্রেনিং পারপাসে। তারা প্রশিক্ষণ দেবেন, এখানে থাকবেন। এরকম কথা আছে। কিন্তু এই প্রজেক্টের সর্বশেষ কি অবস্থা, তা আমি জানি না। এ বিষয়ে প্রজেক্ট ডিরেক্টর ও প্রজেক্ট ডেপুটি ডিরেক্টররাই বলতে পারবেন। বিদেশি কনসালট্যান্ট নিয়োগের ব্যাপারে কখনোই কোনো কথা হয়নি। বলা হয়েছিলো, কোরিয়ান যে কনসালট্যান্টরা আছেন, তারা এখানে থেকে আমাদের সহযোগিতা করবেন। বিদেশি চিকিৎসক নিয়োগের কোনো পরিকল্পনা আছে কি নেই তা প্রজেক্ট ডিরেক্টর কিংবা ডেপটিু প্রজেক্ট ডিরেক্টরই কেবল বলতে পারবেন। 

[১২] সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের সেবা কার্যক্রম নিয়ে এখন পর্যন্ত আপনারা কি সন্তুষ্ট? 
ডা. মো. রসুল আমিন শিপন : আলহামদুলিল্লাহ, আমরা আমাদের ইনডোর কার্যক্রম শুরু করতে পেরেছি। প্রথম দিনই এখানে স্ট্রোক পেশেন্টের অপারেশন হয়েছে, দুজন রোগীকে রিং পরানো হয়েছে, ব্রেস্টের, ব্রেনের, লিভারের এবং হাঁটুর অপারেশন হয়েছে এবং এতে আমরা সবাই খুবই সন্তুষ্ট। প্রথম দিনই আমরা এতো জটিল কিছু অপারেশন করতে সক্ষম হয়েছি, এটা আমাদের জন্য আনন্দের। গত ৬ মাস ধরে বর্হিবিভাগ চালু হয়েছে। এখানে প্রফেসর, অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর কিংবা অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর ছাড়া রোগী দেখছে না। রোগী এসেই একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারছেন। এটা তো একটা বিশাল ব্যাপার। 

[১৩] এর মধ্যে রোগীদের কিছু কিছু অভিযোগ আসছে। এ ব্যাপারে কী বলবেন।
ডা. মো. রসুল আমিন শিপন : রোগীদের প্রত্যাশা বেশি থাকবে। তারা চাইবেন, সবসময়ই একজন প্রফেসর থাকবেন। কিন্তু আমাদের একজন প্রফেসর তো বিএসএমএমইতে কাজ করেন। তিনি তো সবসময় এখানে থাকতে পারবেন না। ২৪ ঘণ্টা বসে থাকা তো তার পক্ষে সম্ভবও নয়। আমাদের যখন এখানকার নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়ে যাবে, তখন এখনকার চেয়ে অনেক বেটার সার্ভিস পাবেন রোগীরা। একশজনের মধ্যে ১ জন অভিযোগ করেন, তা নিয়ে যদি আপনারা কথা বলেন, ৯৯ জন যে ভালো কথা বলছেন, সে কথা তো আসছে না। 

[১৪] সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালে বহির্বিভাগ চালু হয়েছে গত বছরের ডিসেম্বরের শেষের দিকে। এ পর্যন্ত কী পরিমাণ রোগী এসেছেন চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে।

ডা. মো. রসুল আমিন শিপন : গত ২৭ ডিসেম্বর থেকে এখন পর্যন্ত বর্হিবিভাগে ২০ হাজারের বেশি রোগীকে আমরা দেখেছি। চিকিৎসা পরামর্শ দিয়েছি। ৪০ হাজারেরও বেশি ইনভেস্টিগেশন হয়েছে। এটা অনেক বড় একটা সংখ্যা। বর্তমানে আমাদের জনবল বেশি নেই এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে মেশিন নেই, তাই আমাদের প্রচার-প্রচারণা কম। কিন্তু যখন নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়ে যাবে এবং সকল মেশিনও চলে আসবে, তখন আমাদের প্রচার-প্রচারণা বাড়বে।    

[১৬] মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার স্বপ্নপূরণে আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ। আমরা একটি বিশ্বমানের চিকিৎসাসেবা কেন্দ্র হিসেবে সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালকে প্রতিষ্ঠা করবো। মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ স্যারের নেতৃত্বে বিদেশমুখি রোগীদের আস্থায় এনে দেশেই চিকিৎসা নিশ্চিত করতে পারবো ইনশা আল্লাহ। এই আত্মবিশ্বাস আমাদের আছে। আমাদের বিশ্বাসের জয় হবে বলেই বিশ্বাস করি। শ্রুতিলিখন : জান্নাতুল ফেরদৌস

সম্পাদনা : ডা. গুলজার হোসেন উজ্জ্বল

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়