শিরোনাম
◈ ভালোবাসার শহর প্যারিসে বৃষ্টিভেজা রাতে শুরু হলো অলিম্পিকস ২০২৪ ◈ সজীব ওয়াজেদ জয়ের ৫৩তম জন্মবার্ষিকী আজ ◈ কারফিউ আরো শিথিলের সিদ্ধান্ত হবে আজ, জানালেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ একদফা দাবিতে জাতীয় ঐক্যের ডাক বিএনপির ◈ শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে পাকিস্তানকে হারিয়ে ফাইনালে শ্রীলঙ্কা  ◈ ডিবি হেফাজতে কোটা আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ◈ কোটা আন্দোলন: ঢামেকে চিকিৎসাধীন শিক্ষার্থীসহ তিন জনের মৃত্যু ◈ হেলিকপ্টার দিয়ে মানুষ হত্যার জবাব জনগণ একদিন আদায় করে নেবে: মির্জা ফখরুল ◈ প্রতিটি হামলার ঘটনার বিচার হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ সাম্প্রতিক সহিংসতায় আহতদের চিকিৎসার দায়িত্ব নেবে সরকার: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত : ১১ ডিসেম্বর, ২০২৩, ০৭:১৪ বিকাল
আপডেট : ১১ ডিসেম্বর, ২০২৩, ০৭:৪৭ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

জীবাশ্ম জ্বালানি ফেজ-আউটের মধ্যে কপের সাফল্য নির্ভর করছে: জাতিসংঘ মহাসচিব

আসাদুজ্জামান সম্রাট, (এক্সপোসিটি) দুবাই থেকে: [২] জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস পরিষ্কারভাবে বলেছেনে, জীবাশ্ম জ্বালানি ফেজ-আউটের বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারলে কপ-২৮ সম্মেলন সফল হবে। জীবাশ্ম জ্বালানি উৎপাদনকারী দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতে চলমান কপ-২৮ সম্মেলনে এ বিষয়ে সমঝোতা হওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ।

[৩] এরপরেও জাতিসংঘের মহাসচিব আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেছেন, আমাদের একটি উচ্চাভিলাষী ফলাফল দরকার যা জলবায়ু সংক্রান্ত সিদ্ধান্তমূলক পদক্ষেপগুলো বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সহায়তা করবে।

[৪] তিনি বলেন, এবারের সম্মেলনে অনেক দিক কাভার করা সম্ভব হয়েছে। যাতে একটি বিশ্বব্যাপী ভারসাম্য সৃষ্টিতে সহায়তা করবে। তিনি বলেন, আমাদের মূল লক্ষ্য হচ্ছে বৈশ্বিক উষ্ণতা দেড় ডিগ্রির মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা। এই লক্ষ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ একটি সময় কাঠামোর সাথে সামঞ্জস্য রেখে জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহার পর্যায়ক্রমে শেষ করার প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছাতে হবে।

[৫] মহাসচিব বলেন, এর মানে এই নয় যে সব দেশকে অবিলম্বে জীবাশ্ম জ্বালানি বন্ধ করতে হবে। মঙ্গলবার ২৮তম বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনের সমাপ্ত হওয়ার দিন নির্ধারিত রয়েছে। এখনও নানা ইস্যুতে বিভিন্ন দেশ ঐক্যমতে পৌঁছাতে পারেনি। তিনি অংশগ্রহণকারীদের নিজ নিজ অবস্থান থেকে সরে আসার আহ্বান জানিয়েছেন।

[৬] তিনি বলেন, জীবাশ্ম জ্বালানী হ্রাসের জন্য পর্যায়ক্রমিক পদ্ধতিতে ২০৫০ সালের মধ্যে কার্বন নি:সরন শূন্যে নামিয়ে আনার লক্ষ্য অর্জন করতে হবে। একই সঙ্গে তাপমাত্রা বৃদ্ধির সীমা ১ দশমিক পাঁচ শূন্য ডিগ্রীর মধ্যে রাখতে বিশ্বকে এক সারিতে আসতে হবে। তিনি বলেন, এখানে ‘সাধারণ কিন্তু ডিফারেনসিয়েটেড রেসপনসিবিলিটিস (সিবিডিআর) নীতি প্রয়োগ করতে হবে।’

[৭] মহাসচিব বলেন, আমরা যখন সম্মেলনের সমাপ্তি সীমার কাছে যাচ্ছি, আমার মূল বার্তাটি পরিষ্কার-আমাদের অবশ্যই একটি উচ্চাকক্সক্ষী ফলাফলের সাথে সম্মেলনটি শেষ করতে চাই। যা ১ দশমিক পাঁচ শূন্য ডিগ্রির লক্ষ্যমাত্রাকে জীবিত রাখতে এবং জলবায়ু সংকটের প্রথম সারিতে থাকা ব্যক্তিদের রক্ষা করার জন্য একটি নির্ভরযোগ্য পরিকল্পনা প্রদর্শন করতে হবে।

[৮] জাতিসংঘ মহাসচিবের মতে, সমঝোতার বিষয়ে এখনও অনেক বড় ফাঁক রয়েছে যা পূরণ করা দরকার। এখন সর্বোচ্চ উচ্চাকাক্সক্ষা এবং সর্বাধিক নমনীয়তার সময়। 

[৯] জাতিসংঘের প্রধান বলেন, মন্ত্রী ও আলোচকদের অবশ্যই নিজ নিজ রেড লাইন থেকে সরে আসতে হবে। এটাই সময় ওভারড্রাইভে যাওয়ার জন্য সরল বিশ্বাসে আলোচনা করার এবং কপ প্রেসিডেন্ট ডঃ সুলতান আহমেদ আল জাবের সেটা চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিবেন বলে আশা করছি। তিনি বলেন, বিজ্ঞানের সাথে আপস না করে বা সর্বোচ্চ উচ্চাকাক্সক্ষার প্রয়োজনের সাথে আপস না করে সমাধানের জন্য আপস করার সময় এসেছে। সম্পাদনা: সমর চক্রবর্তী

এএস/এসসি/এনএইচ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়