ইমরুল শাহেদ: [২] সোমবার বিকেলে এই সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে ট্যাংনুপাল জেলার লেইথু গ্রামে। গ্রামটিতে দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলির ফলে এই প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মকর্তারাও এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বলে জানিয়েছে হিন্দুস্তান টাইমস।
[৩] পিটিআইয়ের প্রতিবেদনে মণিপুরের এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, ‘সহিংসতাপ্রবণ এলাকাটিতে একদল সশস্ত্র বিদ্রোহী মিয়ানমারগামী অপর একদল সশস্ত্র বিদ্রোহীকে ফাঁদে ফেললে উভয় পক্ষের মধ্যে গোলাগুলি হয়।’ ওই কর্মকর্তা জানান, খবর পেয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছালে ১৩ জনের মরদেহ দেখতে পায়।
[৪] হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অকুস্থল থেকে নিরাপত্তা বাহিনীর অবস্থান ১০ কিলোমিটার দূরে। একজন কর্মকর্তা বলেন, খবর পেয়ে নিরাপত্তা বাহিনী স্থানটিতে পৌঁছে ১৩ জনের মরদেহ দেখতে পায়। মরদেহের আশপাশে কোনো অস্ত্র খুঁজে পায়নি নিরাপত্তা বাহিনী।
[৫] উল্লেখ করার বিষয় হলো, ট্যাংনুপাল জেলার সঙ্গে মিয়ানমারের সরাসরি সীমান্ত রয়েছে। বেশ কিছু দিন ধরেই, মণিপুর সরকার জানাচ্ছিল মিয়ানমার সীমান্তে নাশকতাকারীরা সমবেত হয়ে মণিপুরে নাশকতা চালানোর চেষ্টা করে আসছে।
[৬] মণিপুরজুড়ে ইন্টারনেট সেবা আবারও সক্রিয় হয়েছে। মণিপুর সরকার গত রোববার জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে আগামী ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত রাজ্যের কিছু এলাকা বাদে সর্বত্র মোবাইল ইন্টারনেট সেবা চালু করা হয়েছে। মণিপুর সরকার এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘আইন-শৃঙ্খলার উন্নতি ও মোবাইল ইন্টারনেট নিষেধাজ্ঞার কারণে জনগণের অসুবিধার কথা বিবেচনা করে রাজ্য সরকার স্থগিতাদেশ শিথিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
আইএস/একে
আপনার মতামত লিখুন :