রাশিদুল ইসলাম: [২] ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, তিনি ফিলিস্তিনি মসজিদ এবং স্কুল থেকে ‘বিষাক্ত’ মতাদর্শের মূলোৎপাটন করতে চান। হামাসের সাথে যুদ্ধ শেষ হলে ইসরায়েল গাজার মসজিদ এবং স্কুলগুলিকে তাদের ‘বিষাক্ত’ আদর্শ থেকে শুদ্ধ করবে, নেতানিয়াহু এক সাক্ষাৎকারে এক্স (ওরফে টুইটার) মালিক ইলন মাস্ককে জানান। আরটি
[৩] নেতানিয়াহু ধনী উপসাগরীয় রাষ্ট্রগুলোর দিকে ইঙ্গিত করে মুসলিম দেশগুলোর উদাহরণ হিসেবে চিহ্নিত করেন। তিনি এসব দেশগুলোকে ‘উগ্রবাদী’ হিসেবে অভিহিত করেন। নেতানিয়াহু বলেন, হামাসের ধ্বংস গাজায় আরও পদ্ধতিগত পরিবর্তনের একটি ‘পূর্বসূরী’ হবে।
[৫] ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বলেন, হামাস ধ্বংসের পর আমাদের গাজাকে সামরিক মুক্ত করতে হবে। আমাদের গাজাকে র্যাডিক্যালাইজ করতে হবে এবং তাতে কিছুটা সময় লাগবে। বিশেষ করে মসজিদ এবং স্কুলে কাজ করুন, যেখানে শিশুরা তাদের মূল্যবোধকে আত্মস্থ করে। এবং তারপর আমাদের গাজা পুনর্নির্মাণ করতে হবে।
[৬] ইলন মাস্ককে নেতানিয়াহু বলেন আপনাকে প্রথমে বিষাক্ত শাসন থেকে পরিত্রাণ পেতে হবে, যেমন জার্মানিতে করা হয়েছিল, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জাপানে করা হয়েছিল।
[৭] নেতানিয়াহু সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং বাহরাইনের মত আরব রাষ্ট্রগুলির উদাহরণ টেনে বলেন, এসব দেশে এধরনের প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যাওয়ার পর সম্ভবত ২০২০ সালে তাদের ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেওয়ার কথা উল্লেখ করেছিল। নেতানিয়াহু আরো বলেন, একই জিনিস সৌদি আরবে যথেষ্ট পরিমাণে ঘটছে।
[৮] নেতানিয়াহু পরামর্শ দিয়ে বলেন, ইসরায়েলের ‘আরব বন্ধু’ দেশগুলো গাজা পুননির্মাণে সহায়তা করতে পারে। তবে জর্ডানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আয়মান সাফাদি বলেছেন আরব দেশগুলি গাজায় সংঘাত-পরবর্তী কোনো সম্ভাব্য শান্তিরক্ষায় অংশ নেবে না এবং তারা ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর ফেলে যাওয়া জঞ্জাল পরিষ্কার করবে না।