শিরোনাম
◈ জুলাই অভ্যুত্থানের সেই ঐক্য কোথায়? ◈ ব্রিটিশদের ‘নাকানিচুবানি’ দিতে ইরানের এক দশকের ‘ছায়া যুদ্ধ’: যেভাবে চলছে যুক্তরাজ্যের ভেতরে গোপন তৎপরতা ◈ চট্টগ্রাম কাস্টমস কমিশনার জাকির হোসেন বরখাস্ত, আরও কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা ◈ এবার অঝোরে কাঁদলেন মিসাইল ম্যান কিম জং উন (ভিডিও) ◈ জুলাই নিয়ে ‘আপত্তিকর’ ফেসবুক পোস্ট: পুলিশের বিরুদ্ধে ছাত্রদের অবরোধ-বিক্ষোভ ◈ নতুন উচ্চতায় রেমিট্যান্স: ২০২৪-২৫ অর্থবছরে প্রবাসী আয়ের সর্বোচ্চ প্রবাহ ◈ ডলারের দরপতনে রেকর্ড, ১৯৭৩ সালের পর সবচেয়ে বড় পতনে বিশ্ববাজারে আস্থার সংকট ◈ “৭১-এর মুক্তিযোদ্ধাদের মতোই চব্বিশের যোদ্ধাদেরও জাতি ভুলবে না” — তারেক রহমান ◈ গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে ঐক্য বজায় রাখার আহ্বান খালেদা জিয়ার ◈ শ্রীলঙ্কার বিরু‌দ্ধে বুধবার  সি‌রি‌জের প্রথম ওয়ানডে ম‌্যা‌চে  মু‌খোমু‌খি  বাংলাদেশ

প্রকাশিত : ২৯ নভেম্বর, ২০২৩, ১১:১৭ দুপুর
আপডেট : ৩০ নভেম্বর, ২০২৩, ০১:১৪ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

পাকিস্তানে পারভেজ মোশাররফের সামরিক শাসনকে বৈধতা দেওয়া বিচারকদের বিচার দাবি

রাশিদুল ইসলাম: [২] পাকিস্তানের সাবেক সেনাপ্রধান ও প্রেসিডেন্ট জেনারেল পারভেজ মোশাররফ গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফকে ১৯৯৯ সালে ক্ষমতাচ্যুত করে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে তিনি ক্ষমতা দখল করেছিলেন। কিন্তু জেনারেল মোশাররফের সেই সামরিক শাসনকে যেসব বিচারকরা বৈধতা দিয়েছিলেন তাদের এখন বিচারের দাবি উঠেছে দেশটিতে। ডন

[৩] এমন দাবি কোনো রাজনীতিবিদ করেননি, করেছেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারক আতহার মিনাল্লাহ। মঙ্গলবার তিনি বলেন, যেসব বিচারক সাবেক সামরিক স্বৈরাচার জেনারেল পারভেজ মোশাররফের শাসনের বৈধতা দিয়েছিলেন তাদের এখন আদালতে বিচার হওয়া উচিত।

[৪] ২০১৯ সালের ১৭ই ডিসেম্বর উচ্চ পর্যায়ের রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলায় পারভেজ মোশাররফকে তার অনুপস্থিতিতে মৃত্যুদণ্ড দেয় লাহোর হাইকোর্টের স্পেশাল কোর্ট। ওই রায়কে অসাংবিধানিক ঘোষণার দাবি জানিয়ে ২০২০ সালের ১৩ই জানুয়ারি আপিল আবেদন করা হয় মোশাররফের পক্ষে।

[৫] পাকিস্তানে মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে এই আপিলের শুনানি হয়। বেঞ্চের অন্য বিচারকরা হলেন প্রধান বিচারপতি কাজী ফয়েজ ইসা, সৈয়দ মনসুর আলি শাহ, আমিনুদ্দিন খান। আপিলের শুনানিতে পারভেজ মোশাররফের সামরিক শাসনের কথা আদালতের সামনে তুলে ধরেন সিন্ধু হাইকোর্ট বার-এর আইনজীবী রশিদ এ. রিজভী। জবাবে বিচারক মিনাল্লাহ অতীত নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান। এ সময় প্রধান বিচারপতি কাজী ফয়েজ ইসা বলেন, তিনি তার সহকর্মী বিচারকদের সম্মান করেন। কিন্তু ‘এখনই অতীতকে সামনে আনার সময়’ বলে মন্তব্য করেন তিনি।

[৬] যখন পারভেজ মোশাররফ জাতীয় পরিষদ বিলুপ্ত করেছিলেন সেদিনই তিনি সংবিধান লঙ্ঘন করেছিলেন, এ কথা উল্লেখ করে বিচারক মিনাল্লাহ প্রধান বিচারপতির সঙ্গে একমত পোষণ করেন এবং বলেন, পারভেজ মোশাররফকে তখন ওই ব্যবস্থা নিতে অনুমোদন দিয়েছিল আদালত। এর ফলে এটা বলা যায় যে, যেসব বিচারপতি পারভেজ মোশাররফের সামরিক শাসনকে বৈধতা দিয়েছিলেন, তাদের বিচার হওয়া উচিত। তিনি প্রশ্ন তোলেন যখন সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের গ্রেপ্তার করেছিল সেনাবাহিনী কেবল তখন ২০০৭ সালের ৩রা নভেম্বরেই কেন জরুরি ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া শুরু হয়েছিল। তিনি বলেন, যদি শুধু ৩রা নভেম্বর বিচারকদের ওপর হামলার বিষয়টিই আমলে নেয়া হয়, তাহলে সুষ্ঠু বিচার নিয়েও প্রশ্ন ওঠে।

[৭] রিজভীকে বিচারক মিনাল্লাহ বলেন, সময়ই সব সত্য বলে দেবে। যদি সেই সিদ্ধান্তকে উল্টে দিতে হয়, তাহলে সামরিক শাসনের বিষয়কে সামনে আনতে হবে। ওই বিচারকদের জবাবদিহিতায় আনা উচিত। জবাবে প্রধান বিচারপতি বলেন, অতীতে যা ঘটে গেছে তাকে তিনি আর আগের অবস্থায় নিতে পারেন না। তিনি বলেন, যদি আমরা একটি জাতি হতে চাই, আমাদেরকে অতীতের দিকে তাকিয়ে ভবিষ্যতকে নির্মাণ করতে হবে। 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়