আখিরুজ্জামান সোহান: নারীরা যে পুরুষদের তুলনায় বাকপটু হয়, এই কথা স্বয়ং নারীরাও বিশ্বাস করে। শারীরিকভাবে শক্তি সামর্থে পুরুষদের থেকে নারীরা একটু দুর্বল হলেও মুখের জোরে কিন্তু নারীরাই এগিয়ে। এমনকি ভুমিষ্ট হওয়ার পর ছেলেদের আগে কথা বলতে শেখে মেয়ে শিশুরা। চলনে বলনে-কথাবার্তা-উপস্থিত বুদ্ধিকে তুলনা করলে ছেলে শিশুটিকে মনে হয় একটু পিছিয়ে আছে। আবার ভিন্ন চিত্র দেখা যায়, মেয়ে শিশুর ক্ষেত্রে। মেয়েটিকে লাগে একটু পাকা, তীক্ষ্ণ, চপল। সম্প্রতি এক পরিসংখ্যানে জানা গেছে, একজন পুরুষ কথা বলতে দৈনিক ১৩ হাজার শব্দ ব্যবহার সেখানে একজন নারী ব্যবহার করেন ২০ হাজার শব্দ। প্রায় ৭ হাজার শব্দ বেশি। এর কারণ খুঁজতে গেলে যেতে হবে অনেক গভীরে। সূত্র: দ্য সান
শিশু অবস্থায় মেয়েদের ব্রেইনের কিছু কিছু অংশ ছেলেদের তুলনায় দ্রুত ও নিখুঁতভাবে কর্মক্ষম হয়ে যায়, ফলে এমনটি হয়। এমনকি পরিণত বয়সেও নারীদের ব্রেইনের কিছু কিছু অংশ (এরিয়া) ছেলেদের তুলনায় থাকে সুগঠিত।
এছাড়া নারী ব্রেইনের হিপোক্যাম্পাস এরিয়ার 'ঘনত্ব, পুরুত্ব এবং ব্রেইনের অন্যান্য এরিয়াগুলোর সঙ্গে এর সংযোগগুলো ছেলেদের তুলনায় থাকে দৃঢ়। ফলে মেয়েরা পারিপার্শ্বিক পরিবেশ থেকে তুলনামূলক দ্রুত 'ইনফরমেশন কালেকশন ও ইন্টারপ্রেটেশন' করতে পারে (তথ্যগ্রহণ ও বিশ্লেষণ)। যে কোনো সমস্যা মোকাবেলায় তাদের গৃহীত সিদ্ধান্ত অনেক সময় সঠিক হয়।
ব্রেইনের কথা বলার এরিয়া বা ল্যাংগুয়েজ এরিয়া নারীদের বেশি একটিভ, তাই তারা অনর্গল, ক্লান্তিহীন কথা বলতে পারেন। তাদের ব্রেইনে 'ফক্স-পি-২' (FoxP-2) প্রোটিন বেশি থাকে তাই তারা ভীষণ বাকপটু হয়।
এমএএস