সালেহ্ বিপ্লব: ঝামেলা যেনো তার পিছুই ছাড়ছে না! একের পর এক বাধাবিপত্তি ও আইনি প্রক্রিয়ায় যখন টালমাটাল তার ব্যক্তি জীবন, তখন সরকারিভাবে প্রকাশ করা হলো মাদক কাহিনী। গত ৯ মে কাদির ট্রাস্ট মামলায় গ্রেপ্তার হওয়ার পর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ইমরানকে নেওয়া হয় পিআইএমএস হাসপাতালে। সেখানকার ৫ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক প্যানেল যে রিপোর্ট দিয়েছেন, সেটি সম্পর্কে জানাতে শুক্রবার করাচীতে সংবাদ সম্মেলন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী আব্দুল কাদির প্যাটেল । ইন্ডিয়া টুডে
মন্ত্রী বলেন, পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান অনেক বেশি মদ পান করেন। তার মানসিক অবস্থা স্থিতিশীল নয়। তার প্রস্রাবের নমুনা নেওয়া হয়েছিল। প্রাথমিক রিপোর্টে এতে বিষাক্ত উপাদান পাওয়া গেছে। পাশাপাশি তিনি যে অতিরিক্ত মদ্যপান করেন এবং কোকেন নেন, তারও প্রমাণ পাওয়া গেছে। জিওটিভি
সংবাদ সম্মেলনের শুরুতেই স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, এটি একটি সরকারি নথি। সাবেক প্রধানমন্ত্রী পাঁচ-ছয় মাস ধরে পায়ে প্লাস্টার করে রেখেছিলেন। কিন্তু রিপোর্টে তার পায়ের হাড়ে কোনো ফাটল পাওয়া যায়নি। এবিপি লাইভ
উল্লেখ্য, ইমরান খান দাবি করেছেন, গত ৩ নভেম্বর পাঞ্জাবের ওয়াজিরাবাদে লংমার্চ চলাকালে তাকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছে সন্ত্রাসীরা। এ সময় তার পায়ে বেশ কয়েকটি গুলি লেগেছে।
মন্ত্রী জানান, রিপোর্টে বলা হয়েছে, তার কর্মকাণ্ড ও শারীরিক অঙ্গভঙ্গি সুস্থ মানুষের মতো নয়। তিনি যেসব অঙ্গভঙ্গি করেন, মানসিকভাবে সুস্থ মানুষ কখনো তা করেন না। রাজনীতিতে শালীনতা, সহনশীলতা এবং অন্যের প্রতি সম্মান দেখানোর বিষয়টি ইমরান খান ভুলে গেছেন। প্যাটেল বলেন, রিপোর্টের বিস্তারিত এলে তা পুলিশের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। ইমরান যা করছেন, তা কেবল একজন পাগলই করতে পারে। বিজনেস টুডে
এদিকে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বিস্ফোরক মন্তব্যের পর পিটিআই সিদ্ধান্ত নিয়েছে, স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দলের এক বিবৃতিতে বলা হয়, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান জাতীয় জবাবদিহি ব্যুরো (এনএবি), স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং পিআইএমএস চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেওয়ার অনুমোদন দিয়েছেন। ইতিমধ্যে প্রস্তুতিও শুরু করেছেন পিটিআইর আইনজীবীরা। স্বাস্থ্যমন্ত্রী প্যাটেলের বিরুদ্ধে মানহানিসহ বিভিন্ন ধারায় মামলা করা হবে।
আপনার মতামত লিখুন :