সাজ্জাদুল ইসলাম: গত দেড় বছর ধরে আফগানিস্তান মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিক ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষা কার্যক্রমে নারীদের অংশগ্রহণ বন্ধ আছে। পাশাপাশি, সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন দপ্তর থেকেই চাকরিচ্যুত করা হয়েছে নারীদের। এএনআই নিউজ
নারীশিক্ষা ফের চালু করতে তাই দেশটিতে আলেমদের বিশেষ প্রতিনিধি দল পাঠাচ্ছে মুসলিম দেশগুলোর জোট অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কান্ট্রিজ (ওআইসি)। আফগানিস্তানের সংবাদমাধ্যম তোলো নিউজের বরাত দিয়ে শনিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ভারতভিত্তিক সংবাদমাধ্যম এএনআই।
উত্তর আফ্রিকার দেশ মৌরিতানিয়ায় গত ১৬ ও ১৭ মার্চ অনুষ্ঠিত হয়েছে ওআইসির ৪৯তম সম্মেলন। সম্মেলনের প্রথমদিন এই জোটের মহাসচিব হিসেইন ব্রাহিম তাহা এক ঘোষণায় বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে আফগানিস্তানে নারী শিক্ষা কার্যক্রম স্থবির অবস্থায় আছে। এ ব্যাপারটিতে ওআইসি খুবই উদ্বিগ্ন।’ তিনি বলেন, ‘ইসলামের সঙ্গে নারীদের শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের কোনো বিরোধ নেই। ওআইসি সিদ্ধান্ত নিয়েছে, কয়েকজন আলেমের সমন্বয়ে গঠিত একটি উচ্চপর্যায়ের কূটনৈতিক দল দেশটিতে যাবে এবং আফগানিস্তানে নারীশিক্ষা ফের চালু করতে দেশটির সরকারের সঙ্গে আলোচনা করবে।’
ব্রাহিম তাহা আরা বলেন যে, এ আলোচনা ও বৈঠকের ব্যাপারটি এখানেই শেষ হবে না, ওআইসির প্রতিনিধি দল ফিরে আসার পর তালেবান সরকারের একটি প্রতিনিধি দলও ওআইসি নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করতে আসবেন।
২০২১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট আফগানিস্তান থেকে মার্কিন ও ন্যাটো সদস্যদের প্রত্যাহার করে নেয়ার ঘোষণার তিন মাসের মধ্যে, ১৫ আগস্ট দ্বিতীয়বারের মতো দেশটির জাতীয় ক্ষমতা দখল করে তালেবান। ইসলামপন্থী দলটির ক্ষমতা দখলের পরপরই দেশজুড়ে সহশিক্ষা (কো-এডুকেশন) স্কুলগুলো নিষিদ্ধ করে; পাশপাশি বন্ধ করে দেয় মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের সব গার্লস স্কুল।
এসআই/এসবি