শিরোনাম
◈ ইতালিতে কড়া অভিবাসন নীতি, টার্গেটে বাংলাদেশিরা! ◈ তরুণী মা'রধরের নেপথ্যে লঞ্চের ভেতরে সেদিন কী ঘটেছিল? ভিডিও প্রকাশ্যে ◈ সারা দেশে এনআইডি সেবা কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ ◈ রমনা বটমূলে বোমা হামলা: দুজনের যাবজ্জীবন, ৯ জনের ১০ বছর কারাদণ্ড ◈ সঞ্চয়পত্র কেনার নতুন নিয়ম ◈ মানবিক করিডর নিয়ে সরকার সবাইকে অন্ধকারে রেখেছে : মেজর হাফিজ ◈ ব্যাংক থেকে ধার করে, টাকা ছাপিয়ে বাজেট বাস্তবায়ন করব না: অর্থ উপদেষ্টা ◈ আন্দালিব রহমান পার্থের স্ত্রীকে বিদেশ যাত্রায় বাধা ◈ যেভাবে আটক হন সাবেক এমপি কণ্ঠশিল্পী মমতাজ (ভিডিও) ◈ ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় সেনাবাহিনী ক্যাম্পের সহায়তা পেতে যোগাযোগের নাম্বার দেয়া হল

প্রকাশিত : ০২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ০৬:৪০ বিকাল
আপডেট : ০২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ০৭:০৪ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ফিলিপাইনে সামরিক শক্তিবৃদ্ধিতে মার্কিন ঘাটি সম্প্রসারনে দুই দেশ একমত

ফিলিপাইন

জাফর খান:  ফিলিপাইনে সামরিক শক্তি বৃদ্ধিতে এবার আরও চারটি সামরিক ঘাটি স্থাপনে একমত হয়েছে দুই দেশ। মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড অস্টিন গতকাল বৃহষ্পতিবার ম্যানিলা সফরের সময় এ তথ্য জানিয়েছেন। এর আগে ২০১৪ সাল থেকে ৫টি ঘাটি স্থাপন করা হয় এনহান্সড ডিফেন্স কো অপেরশন (ইডিসিএ) চুক্তির আওতায়।

দুই মিত্র দেশ এক জয়েন্ট ব্রিফিংয়ে জানায়, এ চুক্তির ফলে দুই দেশের বাহিনী যৌথভাবে আরও অনুশীলনের মধ্য দিয়ে সামরিক ভাবে নিজেদের কে যুগপোযুগী করে তলার পাশাপাশি শক্তিশালী অবস্তাহ্নে পৌঁছাবে। তবে ঘাটি স্থাপনের স্থানের বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি। এর আগে দেশটিতে স্থাপিত ঘাটি পাচটি হল- সিজার ইয়ার বেইজ, ফোর্ট ম্যাগসেসে মিলিটারি রিজার্ভেশন, লুম্বিয়া এয়ার বেইজ, এন্টনিও বতিস্তা এয়ার বেইজ ও মেক্টান বেনিতো এয়ার বেইজ।

মার্কিন সামরিক কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে সিএনএন জানিয়েছে, চীনার কাছাকাছি ইন্দো-প্যাসিফিক বরাবর ফিলিপাইনে এই সামরিক ঘাটি সম্প্রসারনের লক্ষ্যে ওয়াশিংটন সপ্তাহের শুরুতে ঘোষণা দেয়। এদিকে ভারতের সাথে প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি বিষয়ক খাতে কাজ করার প্রক্রিয়া রয়েছে বলেও জানায় ওয়াশিংটন। এর পাশাপাশি জাপান দ্বীপে মেরিন সেনা মোতায়েনের পরিকল্পনাও রয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

এর আগে গত সপ্তাহে গত ৭০ বছরের মধ্যে এই প্রথম ফিলিপাইনের পুর্ব উপকূলে গুয়ামে ‘ক্যাম্প ব্লেজ’ নামের একটি ঘাটি স্থাপন করে মেরিন সেনা। এই ঘাটিতে আগামীতে ৫০০০ সেনা নিয়োগের প্রত্যাশাও রয়েছে মার্কিন প্রশাসনের।

তাইওয়ান থেকে মাত্র ২০০ মাইল দূরে অবস্থিত ফিলিপাইনে নতুন করে মার্কিন সামরিক শক্তি বৃদ্ধির এই প্রক্রিয়াকে অনেকটাই সামরিক কৌশল হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষোকরা।

অন্যদিকে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং মার্কিনি এই উদ্যোগে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, তাইওয়ান কে নিয়ন্ত্রনে সামরিক শক্তি প্রয়োগে চীনা বিরত থাকলেও বাইডেন প্রশাসনের এমন পদক্ষেপ প্রশ্নবিদ্ধ।এর আগে ২০১৬ সালে চীনের দায়েরকৃত দক্ষিন চীনা সাগরের মালিকানা বিষয়ক আবেদনটি আন্তর্জাতিক আদালত খারিজ করে দেয়। 

সে সময় বলা হয়, বেইজিংয়ের জোরপূর্বক ফিলিপাইনের এক্সক্লুসিভ ইকোনোমিক জোন ঘেষে দেয়াল নির্মান করাকে দেশটির সার্বভৌমত্বে হস্তক্ষেপ করার সাথে তুলনা করে। এর আগে গত বছর নভেম্বরে দেশটিতে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের সফরের সময়  সামরিক ঘাটি সম্প্রসারন ইস্যুতে আলোচনা হয়।

এদিকে ফিলিপিনিজ সংবাদ মাধ্যমের বরাত দিয়ে সরকার জানিয়েছে, চলতি বছরের ২৪ এপ্রিল থেকে ২৭ এপ্রিল ১৬০০ ফিলিপিনিজ ও মার্কিন বাহিনী  বার্ষিক বালিকাতান অনুশীলনে যৌথভাবে অংশ নিবে। এর আগে ১৯৪৬ সালের ৪ জুলাই পর্যন্ত ফিলিপাইন মার্কিনিদের অধীনে ছিল।

এসআই/এনএইচ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়