ইমরুল শাহেদ: সোমবার চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়, সৌদি আরবের সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করতে চায় চীন। দেশটির নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিন গাং শিগগিরই ‘চায়না-গালফ ফ্রি ট্রেড জোন’ প্রতিষ্ঠা করতে আগ্রহী। রয়টার্স
আরব নিউজ জানিয়েছে, সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান আল-সৌদের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছেন চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এক ফোনালাপে তিনি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে চীনের প্রতি সৌদি আরবের অব্যাহত সমর্থনের প্রশংসা করেন। এখন চীন চায় অর্থনীতি, বাণিজ্য, জ্বালানি, অবকাঠামো, বিনিয়োগ এবং উচ্চ প্রযুক্তির মতো ক্ষেত্রগুলোতে সৌদি আরবের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করতে।
ফোনালাপে প্রিন্স ফয়সাল চীনের নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে অভিন্দন জানিয়ে তারা দুই দেশের মধ্যেকার সম্পর্কের নানা দিক নিয়ে পর্যালোচনা করেন। প্রিন্স ফয়সাল বলেন, সৌদি আরব চীনের সঙ্গে সম্পর্ককে বৈদেশিক সম্পর্কের একটি গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি হিসাবে বিবেচনা করে এবং সৌদি আরব সম্পূর্ণরূপে ‘এক-চীন নীতি’ মেনে চলে। ফোনালাপে দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা, নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা ইস্যুর মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়েও আলোচনা করেন।
চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিন সম্প্রতি আফ্রিকার বেশ কয়েকটি দেশে সফর শেষ করেছেন। এরপরই সৌদি আরবসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং উপ-প্রধানমন্ত্রীদের সঙ্গে ফোনালাপ করেছেন তিনি।
এদের মধ্যে আছেন, ডাচ উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াপকে হোয়েকস্ট্রা এবং আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সান্তিয়াগো ক্যাফিয়েরো।
রয়টার্সের হিসাবে, ২০২২ সালে চীনের কাছে সবথেকে বেশি অপরিশোধিত তেল বিক্রি করেছে সৌদি আরব। গত বছর চীনে মোট ৮৮ মিলিয়ন টন অপরিশোধিত তেল রপ্তানি করেছে রিয়াদ। চীনের রাষ্ট্রীয় তেল শোধনাগারগুলো অভ্যন্তরীণ চাহিদা কম থাকা সত্তে¡ও ২০২২ সালে সৌদি আরব থেকে তেল আমদানি হ্রাস পায়নি। ডিসেম্বরে রিয়াদ সফর করেন প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। চীন এখন ডলারের পরিবর্তে চীনা ইউয়ানে তেল কিনতে চায় মধ্যপ্রাচ্য থেকে।
আইএম/এসএ
আপনার মতামত লিখুন :