রাশিদুল ইসলাম: ক্রেমলিনের ফেডারেল প্রোটেক্টিভ সার্ভিস থেকে ফাঁস হয়ে যাওয়া তথ্যে এর প্রমাণ মেলেছে। রুশ নাগরিকদের অর্ধেকেরই বেশি চান ইউক্রেনের সঙ্গে শান্তি আলোচনা। এর আগে রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের প্রতি তার দেশের নাগরিকদের ইউক্রেন যুদ্ধে সমর্থনের হার ছিল বেশি। এখন রাশিয়ার এক চতুর্থাংশ জনগণ ইউক্রেনে পুতিনের বিশেষ সামরিক অভিযানকে সমর্থন করছে। ডেইলি মেইল
ইউক্রেনে সামকির অভিযান চালানোর কারণে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেমস ক্লেভারলি রুশ প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ এনে তার বিচার দাবি করেছেন। ক্রেমলিনের তথ্য বলছে ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে আলোচনার পক্ষে রয়েছেন ৫৫ শতাংশ রুশ নাগরিক। অথচ গত জুলাই মাসে এ সংখ্যা ছিল ৩২ শতাংশ। রুশ সরকার বিরোধী নিউজ আউটলেট মেদুজা এক প্রতিবেদনে এ কথা বলেছে।
ইউক্রেনের পক্ষ থেকে রুশ সেনাদের বিরুদ্ধে পাল্টা হামলা ও তাদের হটিয়ে দেওয়ার বিষয়টি রাশিয়ার উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিব্রতকর করে তুলছে। এর পাশাপাশি রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলা থেকে ইউক্রেনের শহরগুলিকে রক্ষা করার জন্য বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আলোচনা করতে ন্যাটো সদস্য দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা বুখারেস্টে বৈঠক করেছেন। এ বৈঠক শেষে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের ব্যাপারে দায়বদ্ধতা থাকা দরকার, কেবলমাত্র ফ্রন্টলাইনে থাকা লোকদের জন্যই নয় যারা সরাসরি এই জিনিসগুলি ঘটিয়েছে, সঠিকভাবে ভ্লাদিমির পুতিনের কাছে কমান্ডের শৃঙ্খল পর্যন্ত। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ইতিমধ্যেই রুশ অপরাধীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন।
এদিকে ইউক্রেন জুড়ে জ্বালানি উৎপাদন কেন্দ্রগুলোতে রুশ বোমাবর্ষণ বিদ্যুৎ ও পানি সংকট সৃষ্টি করেছে। ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবা সিরিয়ায় সশস্ত্র গোষ্ঠীর আক্রমণ থেকে দেশকে রক্ষা করতে তুরস্কের সীমান্তে মোতায়েন করা ওয়েস্টার্ন প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্রের জন্য আবেদন জানিয়েছেন। এ আবেদনে সাড়া দেয়নি জার্মানি। তবে ন্যাটো প্রধান জেনস স্টলটেনবার্গ বলেছেন, অনুরোধ মঞ্জুর করা হবে কিনা তা নিয়ে আলোচনা চলছে।
আপনার মতামত লিখুন :