ইমরুল শাহেদ: জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিল বৃহস্পতিবার জিনজিয়াংয়ের উইঘুর এবং অন্যান্য মুসলমানদের বিরুদ্ধে চীনের মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগের বিষয়ে বিতর্ক করার জন্য পশ্চিমা নেতৃত্বাধীন একটি প্রস্তাবকে প্রত্যাখ্যান করেছে। ১৯ ভোট পড়েছে প্রত্যাখানের পক্ষে এবং বিপক্ষে পড়েছে ১৭ ভোট। ১১টি দেশ ভোট দানে বিরত থাকে। বিতর্কের প্রস্তাবটি এনেছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং কানাডাসহ কয়েকটি দেশ। ইয়ন
ভারত ভোট দানে বিরত থাকে। ভোট দেয়নি ব্রাজিল, মেক্সিকো ও ইউক্রেন। এই কাউন্সিলের ১৬ বছরের ইতিহাসে এবারই দ্বিতীয় বারের মতো এমন প্রস্তাব প্রত্যাখ্যাত হলো।
বিশেষজ্ঞরা একে দায়বদ্ধতার প্রচেষ্টা, মানবাধিকারের উপর পশ্চিমাদের নৈতিক কর্তৃত্ব এবং জাতিসংঘের বিশ্বাসযোগ্যতা উভয়ের জন্য একটি ধাক্কা হিসেবে দেখছেন। ওয়ার্ল্ড উইঘোর কংগ্রেসের সভাপতি দুলকান ইশা বলেছেন, ‘এটা দুর্ভাগ্যজনক একটা বিষয়। হতাশাব্যঞ্জকও। এই সভাপতি মাকে হারিয়েছেন এবং তার দুই ভাই এখনো নিখোঁজ রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা থেমে থাকব না। কিন্তু অবাক হয়েছি মুসলিম দেশগুলোর আচরণে।’ যেসব মুসলিম দেশ প্রস্তাবটি প্রত্যাখান করেছে তার মধ্যে কাতার, ইন্দোনেশিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও পাকিস্তান রয়েছে। পাকিস্তান বলেছে, প্রস্তাবটিতে চীনকে একাকিত্বের দিকে ঠেলে দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। মানবাধিকার ইন্টারন্যাশনাল সার্ভিসের পরিচালক পিল লিঞ্চ টুইটারে লিখেছেন, ভোটের রেকর্ডটা লজ্জাজনক।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বৃহস্পতিবার বলা হয়েছে, ‘জিনজিয়ানের ইস্যুগুলো মানবাধিকারের মধ্যে পড়ে না। বরং ইস্যুগুলো হলো সন্ত্রাস ও উগ্রবাদ এবং বিচ্ছিন্নতাবাদ বিরোধী বিষয়।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, কতিপয় পশ্চিমা দেশসহ যুক্তরাষ্ট্র প্রস্তাবটি এনেছে জাতিসংঘ মানবাধিকারের মাধ্যমে চীনের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার জন্য।
ভোটের আগে চীনের রাষ্ট্রদূত সতর্ক করে দিয়েছিলেন, এই প্রস্তাব অন্যান্য দেশের মানবাধিকার রেকর্ড পরীক্ষা করার নজির তৈরি করবে।