গাজার জন্য আন্তর্জাতিক বাহিনীতে যোগ দিতে ইয়েমেনকে আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ইয়েমেন সরকারের পাঁচজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বার্তাসংস্থা এএফপিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তাদের মধ্যে এক শীর্ষ কূটনীতিক, সামরিক কর্মকর্তা এবং প্রেসিডেন্সিয়াল লিডারশিপ কাউন্সিলের সদস্য রয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) ডেইলি সাবাহর এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যাবিলাইজেশন ফোর্স (আইএসএফ) মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য শান্তি পরিকল্পনার অংশ। জাতিসংঘ ইতোমধ্যে পরিকল্পনাটির অনুমোদন দিয়েছে। তবে আরব ও মুসলিম দেশগুলোর অনীহার কারণে এর বাস্তবায়নে বড় বাধা তৈরি হয়েছে, কারণ বাহিনীটি ফিলিস্তিনি অস্ত্রধারীদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জড়িয়ে পড়তে পারে।
ডেইলি সাবাহ জানিয়েছে, ইয়েমেন এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, যদি অংশগ্রহণ হয়ও, তা হবে প্রধানত প্রতীকী।
এক কূটনীতিক বলেন, যদি আমরা অংশ নিই, তা হবে কয়েকজন কর্মকর্তা বা সৈন্যকে অপারেশন রুমে পাঠানোর মাধ্যমে—শুধু লজিস্টিক সহায়তার জন্য। যুদ্ধ-অভিযানে তারা অংশ নেবে না।
ইয়েমেনি সামরিক কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মার্কিনপক্ষের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হলেও এখনো আনুষ্ঠানিক অনুরোধ মেলেনি।
এক কূটনীতিক বলেন, সমস্যা হলো—আমরা সরাসরি ‘না’ বলতে পারি না। কারণ আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ইয়েমেন সরকার সৌদি আরবের সমর্থনের ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল, যেটি ২০১৫ সাল থেকে হুথি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে নেতৃত্ব দিচ্ছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষক অ্যাডাম ব্যারনের মতে, আন্তর্জাতিক সমর্থক হিসেবে নিজেদের তুলে ধরার যে কোনো সুযোগই কাজে লাগাতে চাইবে ইয়েমেন সরকার, বিশেষত যুক্তরাষ্ট্র ও ট্রাম্প প্রশাসনের কাছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আইএসএফ গাজায় বেসরকারি সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর নিরস্ত্রীকরণ, বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষা এবং মানবিক সহায়তা করিডোর নিশ্চিত করবে। তবে হামাস এর বিরোধিতা করছে। তাদের মিত্র হুথি জঙ্গিরাও ইয়েমেনের অংশগ্রহণে ক্ষুব্ধ হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় সংঘাত শুরুর পর হুথিরা ইসরায়েলমুখী লক্ষ্যবস্তুতে একাধিক আক্রমণ চালালেও সাম্প্রতিক যুদ্ধবিরতিতে তারা কার্যক্রম স্থগিত রেখেছে।
সূত্র: কালবেলা