দক্ষিণ এশিয়া জুড়ে একের পর এক ভয়াবহ বিস্ফোরণ ও অগ্নিসংযোগে নিহত হয়েছেন কয়েক ডজন মানুষ, আহত হয়েছেন বহুজন। পরপর এমন সহিংস ঘটনা এই অঞ্চলের সার্বিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে নতুন উদ্বেগ তৈরি করেছে।
ঢাকায় একদিনে ১১ স্থানে বিস্ফোরণ
রাজধানী ঢাকায় সোমবার (১০ নভেম্বর) দিনভর অন্তত ১১টি স্থানে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। পাশাপাশি তিনটি যাত্রীবাহী বাসে আগুন দেওয়া হয়। এসব ঘটনায় হতাহতের খবর না পাওয়া গেলেও নগরজুড়ে চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনার পর রাজধানীজুড়ে নিরাপত্তা জোরদার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল থেকে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দায়ের করা এক মামলার রায় ঘোষণার তারিখ নির্ধারণকে সামনে রেখে এই উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। এজন্য আগামী ১৩ নভেম্বরের আগে রাজধানীর সব থানা টহল ও নজরদারি বাড়াতে নির্দেশনা দিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর।
ভারতের দিল্লিতে প্রাণ গেল ১৩ জনের
ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির ঐতিহাসিক লালকেল্লার কাছে সোমবার (১০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় একটি যাত্রীবাহী গাড়িতে ভয়াবহ বিস্ফোরণে নিহত হয়েছেন অন্তত ১৩ জন, আহত আরও ২৪ জন।
ঘটনাস্থলে তল্লাশি ও প্রমাণ সংগ্রহে ইতোমধ্যে ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এনআইএ) এবং ন্যাশনাল সিকিউরিটি গার্ড (এনএসজি) তদন্ত শুরু করেছে।
বিস্ফোরণের পর মুম্বাই, উত্তরপ্রদেশ, জয়পুর ও উত্তরাখণ্ডে উচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
ইসলামাবাদ বিস্ফোরণে নিহত ১২
এদিকে মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) স্থানীয় সময় দুপুর পৌনে ১টার দিকে পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে আদালতের বাইরে পার্ক করা গাড়িতে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে ১২ জন নিহত এবং অন্তত ২০ জন আহত হন।
কর্তৃপক্ষ সম্ভাব্য আন্তর্জাতিক কোনো যুগসূত্র রয়েছে কি-না তা তদন্ত করছে এবং অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
পাকিস্তান পুলিশের একজন মুখপাত্র বলেছেন, ‘আমরা তদন্ত করছি এটি কী ধরনের বিস্ফোরণ ছিল। এটি এখনও স্পষ্ট নয়। আমাদের ফরেনসিক দলের কাছ থেকে রিপোর্ট পাওয়ার পরে আমরা আরও বিস্তারিত জানাতে পারব।’
সূত্র: ইত্তেফাক