ইলন মাস্ক কি হতে যাচ্ছেন বিশ্বের প্রথম ট্রিলিয়ন ডলারের মালিক? টেসলার শেয়ারহোল্ডাররা স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) যে ভোটে অংশ নেবেন, তাতে অনুমোদন মিললে এই রেকর্ড গড়তে পারেন তিনি। টেসলা প্রধান নির্বাহী মাস্কের বেতন–প্যাকেজের মূল্য আনুমানিক এক ট্রিলিয়ন ডলার। যা বিশ্বের ১৭০টির বেশি দেশের বার্ষিক জিডিপির চেয়েও বেশি। বর্তমানে টেসলায় তার মালিকানা প্রায় ১৩ শতাংশ; নতুন চুক্তি কার্যকর হলে তা দ্বিগুণের কাছাকাছি পৌঁছাতে পারে।
এদিকে সম্পদের এমন অস্বাভাবিক কেন্দ্রীকরণ নিয়ে সমালোচনা বাড়ছে। বৈষম্যবিরোধীরা বলছেন, বিশ্বজুড়ে যুদ্ধ, ক্ষুধা, খরা এবং মানবিক সংকটের সময়ে ‘ট্রিলিয়ন ডলারের বেতন’ ঘৃণ্য উদাহরণ। জাতিসংঘের হিসেবে ক্ষুধামুক্ত বিশ্ব গড়তে বছরে দরকার ৪০ বিলিয়ন ডলার যা মাস্কের সম্ভাব্য আয় তার অংশবিশেষ ব্যবহার করে দূর করা সম্ভব। খবর সিএনএনের।
ফোর্বস সাময়িকী জানায়, ইতোমধ্যেই মাস্কের সম্পদ প্রায় ৫০০ বিলিয়ন ডলার। বিশ্বের শীর্ষ ১০ ধনীর (মাস্ক বাদে) সম্মিলিত সম্পদই যেখানে ১ দশমিক ৭ ট্রিলিয়ন ডলার-এটি বৈষম্যের গভীরতা স্পষ্ট করে।
এদিকে কিছু বড় শেয়ারহোল্ডার ও বিশ্লেষক প্যাকেজটির বিরোধিতা করছেন। নরওয়ের সার্বভৌম তহবিলসহ বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ‘না’ ভোট দিতে বলেছে। তাদের মতে, এটি করপোরেট সংস্কৃতিতে ভুল নজির স্থাপন করবে।
টেসলা পাল্টা বলছে-এটি কর্মদক্ষতাভিত্তিক দীর্ঘমেয়াদি ইনসেনটিভ। রোবোটিক্স, স্বয়ংক্রিয় গাড়ি ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা মিলিয়ে যে বিশাল প্রবৃদ্ধি লক্ষ্য ঠিক করা হয়েছে, তা বাস্তবায়নে মাস্ক অপরিহার্য।
মাস্ক নিজেও দাবি করছেন, তিনি অর্থের জন্য নন, বরং ব্যবস্থাপনার জন্য এই প্যাকেজ চান। তার ভাষায়, ‘অপটিমাস’ রোবট ও ভবিষ্যৎ প্রযুক্তির ওপর তার দৃঢ় প্রভাব থাকতে হবে।
এখন তাকিয়ে আছে পুরো বিশ্বের নজর শেষ ধাপ-শেয়ারহোল্ডারদের ভোটে কী ঘটবে, মাস্ক কি সত্যিই ইতিহাসের প্রথম ট্রিলিয়নিয়ার হবেন?