ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর গণহত্যা যুদ্ধে ৭ কোটি টন ধ্বংসাবশেষ এবং ক্ষেপণাস্ত্রসহ প্রায় ২০ হাজার অবিস্ফোরিত বোমার উপস্থিতির ইঙ্গিত পাওয়া গেছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) গাজার সরকারি মিডিয়া অফিসের বরাতে আল জাজিরা এ খবর জানিয়েছে।
অফিসের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, 'এই ধ্বংসস্তূপের মধ্যে রয়েছে হাজার হাজার বাড়িঘর, সেবা প্রতিষ্ঠান এবং গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো। এগুলো দখলদার বাহিনী ইচ্ছাকৃতভাবে ধ্বংস করেছে। এটি গাজাকে পরিবেশগত ও কাঠামোগতভাবে বিধ্বস্ত এলাকায় পরিণত করেছে এবং মানবিক সাহায্য ও ত্রাণ প্রচেষ্টা সরবরাহে বাধা সৃষ্টি করছে।'
বিবৃতিতে বলা হয়, বিশাল ধ্বংসস্তূপ অপসারণের প্রক্রিয়া গুরুতর বাধার সম্মুখীন হচ্ছে। বিশেষ করে ইসরায়েলের প্রবেশ নিষেধাজ্ঞার কারণে ভারী সরঞ্জাম ও যন্ত্রপাতির অভাব দেখা দিয়েছে। সীমান্ত ক্রসিং সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেওয়া এবং নিহতদের মৃতদেহ উদ্ধারের জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ ও যন্ত্রপাতি আনতে ইচ্ছাকৃতভাবে বাধা দেওয়া হয়েছে।
গাজার মিডিয়া অফিস ইসরায়েলকে ক্রসিংগুলো খুলে দেওয়ার এবং ধ্বংসস্তূপ অপসারণ প্রক্রিয়া শুরু করার আহ্বান জানিয়েছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, এই ধ্বংসস্তূপ অপসারণ বা পুনর্গঠন কাজ শুরু করার বিশেষায়িত প্রকৌশল সুরক্ষা ব্যবস্থাপনার প্রয়োজন।
প্রসঙ্গত, গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যা যুদ্ধে নিহতের সংখ্যা ৬৭ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। একই সময়ে ১ লাখ ৭০ হাজারের বেশি বেশি মানুষ আহত হয়েছে। অনেকেই ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছেন।
অঞ্চলটিতে দুর্ভিক্ষে আরও শত শত মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। ইসরায়েলি বাহিনী খাদ্য বিতরণ কেন্দ্রের কাছে জড়ো হওয়া ফিলিস্তিনিদের ওপরও গুলি চালিছে। এর ফলে শত শত মানুষ নিহত হয়।
গত বছরের নভেম্বরে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত গাজায় যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য নেতানিয়াহু ও তার প্রাক্তন প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। উপত্যকাজুড়ে যুদ্ধের জন্য ইসরায়েল আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার মামলার মুখোমুখি।