এল আর বাদল : বাংলাদেশে বর্তমানে প্রভাবশালী রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনের কয়েক মাস আগে অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে গুরুতর কিছু অভিযোগ সামনে এনেছে।
সরকারের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিএনপি। এমনকি 'ষড়যন্ত্র তত্ত্ব' হাজির করেছে জামায়াতে ইসলামী এবং তারা সরকারের কিছু উপদেষ্টার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ করেছে।
সেফ এক্সিটের প্রশ্নও উঠেছে- এই প্রশ্ন তুলেছে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ছাত্র নেতৃত্বের দল জাতীয় নাগরিক পার্টি বা এনসিপি। ------- বিবিসি বাংলা
এই তিনটি দলেরই অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর প্রভাব রয়েছে বলে ধারণা করা হয়। দলগুলোও শুরু থেকে সরকারকে সহযোগিতা করার কথা বলে আসছে।
প্রশ্ন উঠছে, দলগুলো কোন পথে হাঁটতে চাইছে? জাতীয় নির্বাচন যখন এগিয়ে আসছে, তখন সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলো কি মুখোমুখি অবস্থানে দাঁড়াচ্ছে কি না এ প্রশ্নেও চলছে নানা আলোচনা।
দল তিনটি সরকারের বিরুদ্ধে তাদের অভিযোগের ক্ষেত্রে প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক দলকে জড়িয়েছে, যদিও তাদের কেউই সরাসরি প্রতিপক্ষ দলের নাম উল্লেখ করেনি।
কিন্তু তারা প্রতিপক্ষ হিসেবে কে কার দিকে আঙুল তুলছে বা ইঙ্গিত করছে-তা বুঝতে কারও অসুবিধা হওয়ার কথা নয়।
বিএনপির ইঙ্গিত জামায়াতের দিকে, আর জামায়াত ও এনসিপি আঙুল তুলেছে বিএনপির দিকে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের অনেকে বলছেন, ভোটের আগে প্রশাসনে রদবদল বা নিয়োগ কোন দলের পক্ষে কতটা যাচ্ছে, সেটাই দলগুলোর কাছে এখন প্রধান বিবেচ্য বিষয়। আর এ বিষয়টিই তাদের গুরুতর সব অভিযোগ বা সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশের পেছনে অন্যতম কারণ।
এটি কিন্তু দলগুলোর নেতাদের ব্যাখ্যাতেও উঠে আসছে। এমন চিন্তা থেকে ওই দলগুলো সরকার ও প্রতিপক্ষের ওপর চাপ তৈরির কৌশল নিয়ে অভিযোগ তুলছে কি না, এ নিয়ে আলোচনায় রয়েছে।
পাল্টাপাল্টি অভিযোগের এমন পটভূমিতে অন্তর্বর্তী সরকার নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে পারবে কি না, এমন প্রশ্নও তুলছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা।
সরকারের নিরপেক্ষতা নিয়ে বিএনপির প্রশ্ন কেন
এবার বিএনপির নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির সভায় প্রশ্ন উঠেছে অন্তর্বর্তী সরকারের নিরপেক্ষতা নিয়ে।
গত সোমবার অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে বলা হয়েছে, সরকারের কয়েকজন উপদেষ্টার বক্তব্য, তৎপরতা ও প্রশাসনে রদবদল বা পদায়নে পক্ষপাতমূলক আচরণের ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে, যা সরকারের নিরপেক্ষতা ক্ষুণ্ন করছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সভায় এমন বক্তব্যও এসেছে যে, পাঁচই আগস্টের পর প্রশাসনে যেসব রদবদল বা নতুন পদায়ন হয়েছে, সেখানে একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিদের অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে।
মাঠপর্যায়ে ভোট গ্রহণ কর্মকর্তাদের তালিকা তৈরিতেও ওই দলের প্রভাব দেখছেন বিএনপি নেতারা। তারা বলছেন, নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসছে, সরকারের নিরপেক্ষতা নিয়ে বিতর্কও তত বাড়ছে।
দলটির নেতাদের সঙ্গে কথা বলে স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায় যে, জুলাই গণ অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগের অনুপস্থিতিতে এবং এখনকার সক্রিয় দলগুলোর মধ্যে জামায়াতে ইসলামীকেই তারা ভোটের রাজনীতিতে প্রতিপক্ষ হিসেবে দেখছেন।
ফলে বিশেষ একটি দল বলতে তাদের অভিযাগের তীর জামায়াতের দিকেই। বিএনপি নেতাদের অভিযোগ হচ্ছে, সরকারের কয়েকজন উপদেষ্টা বিশেষ ওই দলটির পক্ষে ভোটের আগে প্রশাসন সাজাচ্ছে।
সরকারের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তোলার পেছনে বিএনপির টার্গেট যে প্রশাসন, সেটিও দলটির নেতাদের কথায় প্রকাশ পাচ্ছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, কয়েকজন উপদেষ্টার বক্তব্য, তৎপরতা ও আচরণ তাদের মধ্যে সন্দেহ সৃষ্ট করেছে। সেকারণে সরকারের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
জামায়াতের 'ষড়যন্ত্র তত্ত্ব'
দলটির শীর্ষ পর্যায়ের একজন নেতা এই 'ষড়যন্ত্র তত্ত্ব' হাজির করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে। দুদিন আগে ঢাকায় এক মানববন্ধন কর্মসূচিতে জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের অভিযোগ করেন, অন্তর্বর্তী সরকারের কোনো কোনো উপদেষ্টা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। তাদের নাম ও কণ্ঠ রেকর্ড আছে বলেও দাবি করেন মি. তাহের।
তিনি বলেছেন, "প্রশাসনের যে অবস্থা এবং যে ষড়যন্ত্র চলছে, এটাকে বন্ধ করুন। আর যদি না হয়, কোন কোন উপদেষ্টা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত, আমাদের কাছে নাম আছে। তাদের কণ্ঠ রেকর্ড আছে। মিটিংয়ে তারা কী বক্তব্য দেন, এর খবর আছে।"
জামায়াতের এই নেতা সরকারকে হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন। তার বক্তব্য থেকে এটাও ধারণা করা যায়, উপদেষ্টাদের বৈঠকে কে কী বক্তব্য দেন, সেই রেকর্ডও তাদের কাছে আছে।
দলটির সিনিয়র একজন নেতার এ ধরনের বক্তব্য নানা আলোচনার জন্ম দিয়েছে। কারও কণ্ঠ রেকর্ড কেন তার কাছে থাকবে, কীভাবে তিনি তা পেলেন এবং এটি নৈতিক কি না-এসব প্রশ্নও উঠছে।
আব্দুল্লাহ মো. তাহের বিবিসি বাংলাকে বলেন, সরকারের দুই-একজন উপদেষ্টা একটি বিশেষ দলের জন্য পক্ষপাতিত্ব করছেন। সেজন্য তিনি এমন অভিযোগ তুলেছেন।
তবে সরকারের কিছু উপদেষ্টার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ জামায়াতের একজন মাত্র নেতা তুলেছেন এবং এটি মুখ ফসকে বলা বা বিচ্ছিন্ন কোনো ঘটনা হতে পারে-এমনটা মনে করেন না রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা।
কারণ মি. তাহেরের অভিযোগ নিয়ে নানা আলোচনার মধ্যেই গতকাল বৃহস্পতিবার জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার অভিযোগ করেছেন, কয়েকজন উপদেষ্টা একটি বিশেষ দলের সঙ্গে গোপন সম্পর্ক রেখে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন।
পর পর দুজন জামায়াত নেতা একই বক্তব্য দেওয়ার পর এটি ধারণা করা যায় যে দলে আলোচনা করেই তারা এসব অভিযোগ করছেন। দলটির সূত্রগুলো থেকেও সেই ইঙ্গিত পাওয়া গেছে।
জামায়াত নেতারা বলছেন, তারা প্রধান উপদষ্টো অধ্যাপক ইউনূসের সঙ্গে দেখা করে তাদের অভিযোগ ও বক্তব্য তুলে ধরবেন।
শুরু থেকেই অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে জামায়াতের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বা সখ্য রয়েছে বলে আলোচনা আছে। কিন্তু সেই দলটিই কেন ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলছে, এই প্রশ্ন আসাটা স্বাভাবিক।
জামায়াতও অভিযোগ করার ক্ষেত্রে কিছু উপদেষ্টার সঙ্গে একটি দলকে জড়িয়েছে। তারাও কোনো নাম না বলে বিশেষ একটি দলের কথা বলছে। আর এই বিশেষ দল বলতে তারা বিএনপির দিকেই আঙুল তুলছে, এতে বিশ্লেষকদের কোনো সন্দেহ নেই।
জামায়তের অভিযোগের পেছনেও বড় ইস্যু প্রশাসন। কারণ জনপ্রশাসনে আগের সচিবকে বাদ দিয়ে নতুন একজন সচিব নিয়োগ করা হয়েছে। এই নিয়োগ নিয়ে আপত্তি তুলেছে জামায়াত।
দলটির নেতারা বলছেন, ভোটের আগে ডিসি-এসপি রদবদল ও প্রশাসনে পদায়ন এই জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে হয়ে থাকে। সেখানে উচ্চ পর্যায়ে নিয়োগগুলো একটি দলের পক্ষে করা হচ্ছে বলে তারা মনে করেন। যদিও এমন অভিযোগ সঠিক নয় বলে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে।
ক্ষোভ থেকে সেফ এক্সিটের প্রশ্ন
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ছাত্র নেতাদের নিযোগকর্তা বলে উল্লেখ করেছিলেন অধ্যাপক ইউনূস। অন্তর্বর্তী সরকারে ছাত্র প্রতিনিধিও রয়েছেন।
সরকারের ওপর সেই ছাত্র নেতৃত্বের দল জাতীয় নাগরিক পার্টি বা এনসিপির বেশ প্রভাব ছিল। কিন্তু এনসিপির নেতারা যখন উপদেষ্টাদের সেফ এক্সিটের প্রশ্ন তোলেন, তখন সরকারের সঙ্গে তাদের সম্পর্কের টানাপোড়ন তৈরির বিষয়কেই সামনে আনে।
উপদেষ্টার পদ থেকে পদত্যাগ করে দলটির দায়িত্ব নেওয়া নাহিদ ইসলামই সম্প্রতি একটি টেলিভিশনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অভিযোগ করেছেন যে, "উপদেষ্টাদের অনেকেই বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে লিয়াজোঁ করে ফেলেছে, তারা নিজেদের সেফ এক্সিটের (নিরাপদ প্রস্থান) কথা ভাবতেছে"।
এনসিপির আরও কয়েকজন নেতাও একই ধরনের অভিযোগ করেছেন। দলটির সদস্য সচিব আখতার হোসেন বিবিসিকে বলেন, কয়েকজন উপদেষ্টা বিশেষ একটি দলের জন্য পক্ষপাতিত্ব করছেন, এমন একটা ধারণা তাদের তৈরি হয়েছে। সেজন্য সামগ্রিকভাবে তারা অভিযোগ করছেন।
এনসিপিরও ইঙ্গিত বিএনপির দিকে। জামায়াতের মতো এনসিপিও দলীয় ফোরামে আলোচনা করেই সরকারের বিরুদ্ধে এমন সব অভিযোগ তুলছে বলে বিশ্লেষকেরা মনে করেন।
তবে ভিন্ন কিছু কারণেও তারা সরকারের প্রতি ক্ষুব্ধ এবং নেতাদের বক্তব্যেও তার প্রকাশ দেখা যাচ্ছে। এনসিপির এখনও শাপলা প্রতীক বরাদ্দ না পাওয়ায় নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধনের বিষয়টি ঝুলে আছে। এ নিয়েও তারা ক্ষোভ প্রকাশ করছে।
সেফ এক্সিট নিয়ে এনসিপির নেতাদের বক্তব্যের প্রেক্ষাপটে সরকারের অন্তত পাঁচজন উপদেষ্টা প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন।সরকারের সঙ্গে তাদের সবচেয়ে ঘনিষ্ট দল এনসিপির সম্পর্কে তিক্ততা বাড়ছে বলে বিশ্লেষকেরা মনে করেন।
দলগুলো কি সরকারের মুখোমুখি অবস্থানে?
ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এর কয়েক মাস আগে সরকারের ওপর প্রভাবশালী দলগুলোর এ ধরনের অবস্থানের পটভূমিতে রাজনীতিতে নানা শঙ্কার কথা আলোচনায় আসছে।
তবে বিএনপি, জামায়াত, এনসিপি ও অন্য দলগুলোর নেতাদের সঙ্গে কথা বলে মনে হয়েছে, এখন সক্রিয় প্রতিটি দলই অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বাধীন এ সরকারের অধীনেই নির্বাচন করতে চায়।
এরপরও যারা ক্ষমতা বা ক্ষমতার কাছাকাছি যেতে চায়, সেই দলগুলো তাদের দলীয় স্বার্থে রাজনৈতিক চিন্তা থেকে সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ তুলছে। সেখানে কমন বিষয় হচ্ছে প্রশাসন।
বিশেষ করে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর টার্গেট প্রশাসন। তারা প্রশাসনের ওপর স্ব স্ব দলের নিয়ন্ত্রণ বা প্রভাব বাড়াতে চায়। কারণ নির্বাচনে প্রশাসনের ভূমিকা বেশ গুরুত্বপূর্ণ–– বাংলাদেশের রাজনীতিতে ও সাধারণ মানুষের মধ্যেও এই ধারণা রয়েছে।
লেখক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক মহিউদ্দিন আহমদ বিবিসি বাাংলাকে বলেন, নির্বাচনে ভূমিকা থাকে, প্রশাসনসহ এমন ক্ষেত্রগুলোতে নিজেদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে চাইছে ক্ষমতার লড়াইয়ে থাকা দলগুলো। ফলে তারা সরকার ও প্রতিপক্ষের ওপর চাপ তৈরির কৌশল থেকে নানা অভিযোগ তুলছে।
আরেকজন রাজনৈতিক বিশ্লেষক অধ্যাপক মাহবুব উল্লাহ পরিস্থিতিটাকে ব্যাখ্য করেন ভিন্নভাবে।
তিনি বলেন, "দেশের রাজনীতিতে ট্যাগিং করা বা কোনো ঘরানার হিসেবে চিহ্নিত করার যে পুরোনো সংস্কৃতি আছে, এখন নতুন রাজনীতির কথা বলা হলেও সেখান থেকে দলগুলো বের হতে পারেনি।"
নির্বাচন যত এগিয়ে আসবে, দলগুলোর অভিযোগ পাল্টা অভিযোগ আরও বাড়বে। সেই পরিস্থিতিতে নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করাটা খুব সহজ হবে না বলে মনে করেন অধ্যাপক মাহবুব উল্লাহ।
অন্তর্বর্তী সরকার কি নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে পারবে?
সক্রিয় বড় দলগুলোই সেই প্রশ্ন তুলেছে। সাধারণ মানুষের মাঝেও সন্দেহ তৈরি হয়েছে যে, এ সরকার নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে পারবে কি না?
তবে সরকারের উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান বিবিসি বাংলাকে বলেন, বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপি মানে সবাই যখন সরকারকে নিয়ে বিভিন্ন অভিযোগ করছে, ফলে সরকার নিরপেক্ষভাবে এগোচ্ছে এবং সঠিক পথেই আছে।
তিনি উল্লেখ করেন, রাজনৈতিক দলগুলো তাদের দলীয় স্বার্থে কথা বলছে। সরকার সবার স্বার্থ বিবেচনায় নিয়েই কাজ করছে।
এ সরকার নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে পারবে কি না- এই প্রশ্ন যে উঠছে, এ ব্যাপারে উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান বলেন, তারা পারবেন বলে বিশ্বাস করেন। সেজন্য তাদের চেষ্টা থাকবে।