এল আর বাদল : বিএনপি যাদের সন্দেহের চোখে দেখছে সেই উপদেষ্টাদের নাম প্রকাশ করছে না। তবে প্রশাসনে রদবদল, বদলি বা পদায়নের জন্য একটি মন্ত্রিসভা কমিটি গঠন করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। জনপ্রশাসন বিষয়ক এই মন্ত্রিসভা কমিটি নিয়েই আপত্তি আছে বিএনপির। দলটির নেতারা মনে করেন, এ ধরনের কমিটি গঠন সংশ্লিষ্ট বিধির পরিপন্থী।
ওই কমিটিতে সরকারের চারজন উপদেষ্টা রয়েছেন, তারা হলেন, সালেহউদ্দিন আহমেদ, মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান ও মাহফুজ আলম। এছাড়া রয়েছেন মন্ত্রী পরিষদ বিভাগ ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিবরা। -- বিবিসি বাংলা
বিএনপির নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের একাধিক নেতা বলেছেন, মন্ত্রিসভায় থাকা চারজন উপদেষ্টার মধ্যে দুজন উপদেষ্টা পক্ষপাতিত্বমূলক আচরণ করছে বলে তাদের দলের নেতৃত্বের কাছে তথ্য রয়েছে।
বিএনপি নেতারা সেই দুজনেরও নাম প্রকাশ করতে রাজি নন। কিন্তু তারা বলছেন ওই উপদেষ্টাদের বক্তব্য ও তৎপরতাতেই পক্ষপাতিত্বের বিষয়টি দৃশ্যমান হচ্ছে।
একইসঙ্গে দলটির নেতারা এ-ও ইঙ্গিত দিচ্ছেন যে, উপদেষ্টাদের কেউ কেউ বিভিন্ন সময় রাজনীতিকদের সমালোচনা করে বক্তব্য দিয়েছেন, যা সন্দেহের জন্ম দিয়েছে।
যদিও অন্তর্বর্তী সরকারের শুরু থেকেই সহযোগিতা করার কথা বলে আসছেন বিএনপি নেতারা। কিন্তু সংস্কার আগে, নাকি নির্বাচন আগে–– এই প্রশ্নে সরকারের সঙ্গে বিএনপির সম্পর্কের টানাপোড়েন দেখা দেয়।
দলটি এ বছরের ডিসম্বরে নির্বাচনের দাবি করেছিল। শেষ পর্যন্ত গত জুন মাসে লন্ডন সফরের সময় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে বৈঠক করেন।
সেই লন্ডন বৈঠক থেকে আগামী বছরের ফেব্রয়ারিতে নির্বাচনের কথা বলা হয়। এমন প্রেক্ষাপটে সরকারের সঙ্গে বিএনপির সম্পর্কের টানাপোড়েন দূর হয়েছে–– এ ধরনের একটা ধারণা তৈরি হয়েছিল রাজনীতিতে।
তবে এখন বিএনপির নীতিনির্ধারণী ফোরাম থেকে সরকারের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হলো। এখানে ভোটকে কেন্দ্র করে দলীয় স্বার্থ বড় বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা মনে করেন।