মাদাগাস্কারের প্রেসিডেন্ট অ্যান্ড্রি রাজোয়েলিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর সৈন্যদের বিদ্রোহে নেতৃত্ব দেওয়া কর্মকর্তা কর্নেল মাইকেল র্যান্ড্রিয়ানিরিনা আগামী কয়েক দিনের মধ্যে দেশটির নতুন নেতা হিসেবে শপথ নেবেন। ইতোমধ্যে সাংবাধানিক আদালত তাকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিযুক্ত করেছে।
বুধবার (১৫ অক্টোবর) ব্যারাক থেকে এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ ঘোষণা দেন। এর আগে মঙ্গলবার র্যান্ড্রিয়ানিরিনা ঘোষণা দেন, সশস্ত্র বাহিনী মাদাগাস্কারে ক্ষমতা দখল করছে।
জেন-জি নেতৃত্বাধীন রক্তক্ষয়ী বিক্ষোভের মুখে প্রেসিডেন্ট পালিয়ে যাওয়ার পর দেশটি এখন অনেকটাই শান্ত। কিন্তু বর্তমানে নতুন রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার সৃষ্টি হয়েছে।
কর্নেল মাইকেল র্যান্ড্রিয়ানিরিনা দেশটির সেনাবাহিনীর বিশেষ ইউনিট ক্যাপস্যাটের প্রধান। তিনি জানান, বিদ্রোহের পর দেশ ছেড়ে পালানো রাজোয়েলিনার অনুপস্থিতিতে উচ্চ সাংবিধানিক আদালত তাকে রাষ্ট্রপ্রধানের ভূমিকা গ্রহণের জন্য আমন্ত্রণ জানালে তিনি এই ভূমিকা গ্রহণ করেন। পদের আনুষ্ঠানিকতার জন্য অবশ্যই শপথগ্রহণ করতে হবে।
গত শনিবার (১১ অক্টোবর) বিক্ষোভগুলো এক গুরুত্বপূর্ণ মোড় নেয়, যখন র্যান্ড্রিয়ানিরিনা এবং তার অভিজাত ক্যাপস্যাট ইউনিটের সৈন্যরা রাজোয়েলিনার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে। সেনারা পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভে যোগ দেয়। এক পর্যায়ে রাজোয়েলিনা পালিয়ে যেতে বাধ্য হন।
র্যান্ড্রিয়ানিরিনা বলেন, 'গতকাল আমাদের দায়িত্ব নিতে হয়েছিল, কারণ দেশে আর কিছুই অবশিষ্ট নেই। প্রেসিডেন্ট নেই...সরকার নেই।'
তিনি বলেন, 'নতুন সামরিক নেতৃত্ব দ্রুত একজন প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করবে, যিনি সরকার গঠন করবেন।' কিন্তু এটি কখন হবে, তার সঠিক সময়সীমা এখনো অনির্দিষ্ট।
১৯৬০ সালে ফ্রান্সের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভের পর থেকে মাদাগাস্কানরা তাদের দেশকে বেশ কয়েকটি অভ্যুত্থান এবং অভ্যুত্থানচেষ্টার মুখোমুখি হতে দেখেছে। দ্বীপরাষ্ট্রটি তখন থেকেই উচ্চমাত্রার দারিদ্র্যের সঙ্গে লড়াই করে আসছে।
প্রসঙ্গত, রাজোয়েলিনা ২০০৯ সালে সামরিক বাহিনীর নেতৃত্বে এক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে অন্তর্বর্তীকালীন নেতা হিসেবে ক্ষমতায় এসেছিলেন। সূত্র: দৈনিক ইত্তেফাক