ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস জানিয়েছে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর হত্যাচেষ্টার মধ্যেও তারা গাজায় আটক বন্দিদের জীবন রক্ষার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছে।
আজ (সোমবার) প্রকাশিত এক বিবৃতিতে হামাস ঘোষণা করেছে যে, গাজায় যুদ্ধ বন্ধের লক্ষ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তির প্রথম ধাপ বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে শাখা আল-কাসসাম ব্রিগেডসের নেতৃত্বে তারা ২০ জন জীবিত ইসরায়েলি বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় সম্পাদিত যুদ্ধবিরতি চুক্তির আওতায় হামাস ২০ জন জীবিত ইসরায়েলি বন্দিকে আন্তর্জাতিক রেডক্রসের মাধ্যমে মুক্তি দিয়েছে এবং আরও ২৮ জনের মৃতদেহ হস্তান্তর করবে।অন্যদিকে ইসরায়েল অবৈধভাবে আটক প্রায় ২,০০০ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেবে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “যুদ্ধাপরাধী [ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী] নেতানিয়াহু এবং তার সন্ত্রাসী সেনাবাহিনীর লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করা ও হত্যার প্রচেষ্টার মধ্যেও প্রতিরোধ বাহিনী- বন্দিদের জীবন রক্ষায় সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছে।”
হামাস আরও জানায়, ইসরায়েলি বন্দিদের মুক্তি ঘটছে এমন এক সময়ে, যখন দখলদার কারাগারে আমাদের বন্দিরা নির্যাতন, নিপীড়ন, হত্যাসহ সব ধরনের অমানবিক আচরণের শিকার হচ্ছে।”
সংগঠনটি মধ্যস্থতাকারীদের চলমান ভূমিকার গুরুত্ব তুলে ধরে বলেছে, তারা “জায়নবাদী শত্রুকে চুক্তির অধীনে তার দায়বদ্ধতা বাস্তবায়নে বাধ্য করতে” অপরিহার্য ভূমিকা রাখছে।
বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, "দুই বছর ধরে অব্যাহত বোমাবর্ষণ, ধ্বংসযজ্ঞ ও গণহত্যার পরও ইসরায়েল তাদের বন্দিদের শক্তি প্রয়োগ করে উদ্ধার করতে ব্যর্থ হয়েছে এবং শেষ পর্যন্ত প্রতিরোধ আন্দোলনের শর্ত মেনে নিতে বাধ্য হয়েছে। এই ফলাফল আবারও প্রমাণ করে যে, ইসরায়েলি সেনাদের ফেরত আনার একমাত্র উপায় হলো বন্দি বিনিময় চুক্তি এবং যুদ্ধের অবসান।"
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, “ফিলিস্তিনি জনগণ বিশ্রাম নেবে না যতক্ষণ না শেষ বন্দিটি নতুন নাৎসিদের কারাগার থেকে মুক্ত হয় এবং আমাদের ভূমি ও পবিত্র স্থানগুলো থেকে দখলদারদের সরিয়ে দেওয়া হয়।”
সোমবার গাজায় ইসরায়েলি বন্দিদের হস্তান্তর প্রক্রিয়া শুরু হয়, যা ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস ও ইসরায়েলি শাসনের মধ্যে সম্পাদিত যুদ্ধবিরতি চুক্তির অংশ। হামাস মুক্তিপ্রাপ্ত জীবিত বন্দিদের একটি তালিকা প্রকাশ করেছে, যারা ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের গণহত্যামূলক যুদ্ধ শুরুর পর থেকে গাজায় আটক ছিলেন।