এল আর বাদল : ইতোপূর্বে চারজন অ্যামেরিকার প্রেসিডেন্ট শান্তির সবচেয়ে সম্মানজনক পুরস্কারটি জেতেন। এ প্রেসিডেন্টদের নোবেল পুরস্কার জয়ের সময় ও কারণ তুলে ধরেছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
এ বছর শান্তিতে নোবেল পুরস্কারজয়ীর নাম ঘোষণা করা হবে শুক্রবার। এ পুরস্কার পাওয়া উচিত বলে পরিষ্কার করে জানিয়ে দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প।
হোয়াইট হাউস বৃহস্পতিবার ট্রাম্পের একটি ছবি শেয়ার করে লিখে, ‘শান্তির প্রেসিডেন্ট।’ বিশ্বের সবচেয়ে সম্মানজনক শান্তির পুরস্কার পেতে এটি ছিল ট্রাম্পের পক্ষ থেকে সর্বশেষ প্রচার। সাতটি শান্তি চুক্তিতে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকায় থাকার দাবি করেন রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট। এ কারণে নোবেল শান্তি পুরস্কার পাওয়া উচিত বলে মনে করেন তিনি।
দুই মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময় কয়েকবার শান্তিতে নোবেলের জন্য মনোনয়ন পান ট্রাম্প।
চলতি বছর ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু, কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন মানেত, অ্যামেরিকার একাধিক আইনপ্রণেতা এবং পাকিস্তান সরকার ট্রাম্পকে নোবেল পুরস্কার পাওয়ার যোগ্য হিসেবে মনোনীত করে।
সত্যি সত্যি পেয়ে গেলে ট্রাম্প হবেন শান্তিতে নোবেলজয়ী অ্যামেরিকার পঞ্চম প্রেসিডেন্ট। ইতোপূর্বে চারজন অ্যামেরিকার প্রেসিডেন্ট শান্তির সবচেয়ে সম্মানজনক পুরস্কারটি জেতেন। এ প্রেসিডেন্টদের নোবেল পুরস্কার জয়ের সময় ও কারণ তুলে ধরেছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
থিওডর রুজভেল্ট (১৯০৬)
অ্যামেরিকার ২৬তম প্রেসিডেন্ট ছিলেন থিওডর রুজভেল্ট। পোর্টসমাউথ চুক্তির মাধ্যমে রাশিয়া-জাপান যুদ্ধ বন্ধে মধ্যস্থতার জন্য অ্যামেরিকার প্রথম কোনো প্রেসিডেন্ট হিসেবে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পান তিনি।
হোয়াইট হাউসের ওয়েস্ট উইংয়ের রুজভেল্ট রুমে এখনও ঝুলছে শান্তিতে তার নোবেলের মেডেলটি।
উড্রো উইলসন (১৯১৯)
প্রথম বিশ্বযুদ্ধ বন্ধ এবং শান্তি সুরক্ষায় বিশ্বের প্রথম আন্তসরকার সংস্থা লিগ অব নেশন্স প্রতিষ্ঠায় ভূমিকার জন্য শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পান অ্যামেরিকার ২৮তম প্রেসিডেন্ট উড্রো উইলসন।
জিমি কার্টার (২০০২)
দায়িত্ব ছাড়ার ২১ বছর পর শান্তিতে নোবেল পুরস্কার জেতেন অ্যামেরিকার ৩৯তম প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার।
আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংঘাতের শান্তিপূর্ণ সমাধান, গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের প্রসার এবং অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে নিরলস প্রচেষ্টার জন্য তাকে এ পুরস্কার দেওয়া হয়।
বারাক ওবামা (২০০৯)
দায়িত্ব নেওয়ার এক বছরেরও কম সময়ের মধ্যে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পান অ্যামেরিকার ৪৪তম প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা।
পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ ও জলবায়ুবিষয়ক তৎপরতাসহ আন্তর্জাতিক কূটনীতিকে জোরদার ও জনগণের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর প্রচেষ্টার জন্য তাকে এ পুরস্কার দেওয়া হয়।