পার্সটুডে- হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির জন্য বিশ্বব্যাপী প্রতিযোগিতা তীব্র হওয়ার একই সাথে ইরানও এই ক্ষেত্রে পিছিয়ে নেই এবং দেশটি তার ক্ষেপণাস্ত্র ক্ষমতাকে একটি নতুন স্তরে নিয়ে গেছে।
হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র হল এমন ক্ষেপণাস্ত্র যা শব্দের গতির চেয়ে পাঁচ গুণেরও বেশি গতিতে ছুটে যায় এবং এর উচ্চ গতির কারণে, প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার জন্য এগুলোকে আটকানো খুব কঠিন। পার্সটুডে জানিয়েছে, ইরান, উন্নত সামরিক প্রযুক্তি অর্জনের মাধ্যমে, সম্প্রতি এই ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্জনের কথা সবাইকে জানিয়েছে, যা ফাতাহ হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র নামে পরিচিত।
ফাতাহ'র পাল্লা ১,৪০০ কিলোমিটার এবং গতিবেগ ম্যাক ১৩ (ঘণ্টায় ১৬,০০০ কিলোমিটার) এর সমান।
ইরানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের গবেষণা ও উন্নয়ন প্রকল্পের অংশ হিসেবে ফাতাহ হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর উচ্চ গতি, লক্ষ্যবস্তুতে নির্ভুলভাবে আঘাত হানার সক্ষমতা এবং শত্রুপক্ষের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভেদ করার মতো বিশেষ ক্ষমতা রয়েছে।
এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলো সাধারণত উন্নত জ্বালানি ব্যবহার করে এবং অত্যন্ত নির্ভুল উড্ডয়ন নিয়ন্ত্রণ প্রযুক্তি ব্যবহার করে যা এগুলোকে উড্ডয়নের সময় গতিপথ পরিবর্তন করে দেয়। এই বৈশিষ্ট্যের কারণে শত্রু প্রতিরক্ষা লক্ষ্যবস্তুগুলোর পক্ষে সহজেই এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর গতিপথ অনুমান করা এবং তাদের ধ্বংস করার কাজ কঠিন করে তোলে।
অত্যাধুনিক ফাতাহ ক্ষেপণাস্ত্রের উন্মোচন আধুনিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা বিকাশ এবং এর ক্ষমতা ইরানের দৃঢ় সংকল্পের প্রমাণ। এই প্রযুক্তিগুলো শুধু যে যুদ্ধক্ষেত্রে ইরানকে একটি উচ্চতর অবস্থানে নিয়ে গেছে তাই নয় একইসাথে আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও দেশটিকে উচ্চতর স্থানে পৌঁছে দিয়েছে।
সংক্ষেপে, ফাতাহ হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ইরানের প্রতিরক্ষা শিল্পে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতির একটি উদাহরণ, যা দেশীয় জ্ঞান এবং আধুনিক বিশ্ব প্রযুক্তির উপর নির্ভর করে তৈরি হয়েছে।