শিরোনাম
◈ যুক্তরাষ্ট্রে পণ্যে ৩৫% পর্যন্ত শুল্ক ১ আগস্ট থেকে, ছাড় নয়: ট্রাম্প প্রশাসন ◈ বিদেশি ঋণ পরিশোধে নতুন রেকর্ড: ইতিহাসে প্রথমবার ৪ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম ◈ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাসিনার বিরুদ্ধে বিচার শুরু, সাক্ষ্য দেবেন যারা ◈ চীনের ভয়ঙ্কর 'অদৃশ্য মারণাস্ত্র' এইচপিএম: বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ, ভারত-যুক্তরাষ্ট্রেও চিন্তার ভাঁজ! (ভিডিও) ◈ দিল্লির গাজিয়াবাদে ‘ভুয়া রাষ্ট্রদূত’ ধরা পড়লেন: ৩০০ কোটি রুপি পাচার, জাল দূতাবাস চালিয়ে বিদেশ সফর ১৬২ বার! ◈ অস্ত্র যদি হ্যান্ডেলই করতে না পারেন তাহলে নিয়ে আসলেন কেন, বাবরকে নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর প্রশ্ন ◈ মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ: বিমান দুর্ঘটনায় আহতদের চিকিৎসা দেওয়ায় বিদেশি মেডিকেল টিমগুলোর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ ◈ অ্যাসাইলাম আবেদন করলেই পাসপোর্ট দিচ্ছে না বাংলাদেশ মিশন, বিপাকে অস্ট্রেলিয়ায় শত শত বাংলাদেশি! ◈ বাংলাভাষী মুসলিমদের আটক করা ‘অবৈধ’, বাংলাদেশে পুশইন নিয়ে আরও যা বললেন ওয়াইসি ◈ যিনি প্রধানমন্ত্রী হোন তিনি তার পকেটে ক্ষমতা নিয়ে থাকেন: জোনায়েদ সাকি

প্রকাশিত : ২৮ জুলাই, ২০২৫, ০২:৫৭ রাত
আপডেট : ২৮ জুলাই, ২০২৫, ০৭:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রে পণ্যে ৩৫% পর্যন্ত শুল্ক ১ আগস্ট থেকে, ছাড় নয়: ট্রাম্প প্রশাসন

যুক্তরাষ্ট্রে পণ্য প্রবেশে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ওপর অতি উচ্চহারে শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আগামী ১ আগস্ট থেকে বর্ধিত এ উচ্চহারের শুল্ক কার্যকর হওয়ার কথা। এই তারিখ থেকেই নতুন শুল্কহার কার্যকরের সিদ্ধান্তে এখন পর্যন্ত অটল আছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রে পণ্য রপ্তানিকারক দেশগুলোকে তিনি আর কোনো অতিরিক্ত সময় বা গ্রেস পিরিয়ড দিতে রাজি নন বলে জানিয়ে দিয়েছেন দেশটির বাণিজ্যমন্ত্রী হাওয়ার্ড লাটনিক।

রোববার (২৭ জুলাই) ‘ফক্স নিউজ সানডে’-তে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে লাটনিক স্পষ্ট ভাষায় বলেন, আর কোনো বর্ধিত সময় নয়, আর কোনো ছাড় নয়। ১ আগস্ট থেকে শুল্ক কার্যকর হবে। কাস্টমস অর্থ সংগ্রহ শুরু করবে এবং আমরা এগিয়ে যাব।

অবশ্য তিনি এও বলেছেন, এই শুল্ক কার্যকর হওয়ার পরও আলোচনার সুযোগ রাখতে আগ্রহী মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

ইউরোপীয় দেশগুলোর বিষয়ে লাটনিক বলেন, তারা চায় একটা চুক্তি হোক, তবে সিদ্ধান্ত নেবেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। তিনিই এই আলোচনার নেতৃত্ব দিচ্ছেন। আমরা কেবল আলোচনার মঞ্চ প্রস্তুত করেছি।

এ পর্যন্ত পাঁচটি দেশ মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে চুক্তিতে পৌঁছেছে। এই দেশগুলো হলো যুক্তরাজ্য, ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন ও জাপান। এই দেশগুলোর ক্ষেত্রে যে শুল্ক আরোপ হয়েছে, তা বেশিরভাগ দেশের জন্য এপ্রিল থেকে প্রযোজ্য ১০ শতাংশ হার থেকেও বেশি। তবে, এগুলো ট্রাম্প প্রশাসনের প্রস্তাবিত কঠোর শুল্ক হারের চেয়ে অনেক কম, যা কোনো চুক্তি না হলে কার্যকর হতো।

এই শুল্ক কার্যক্রমের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র বৈশ্বিক মুক্ত বাণিজ্য ব্যবস্থাকে নতুন করে গঠন করতে চায় এবং যেসব দেশ অন্যায্য বাণিজ্য চর্চায় যুক্ত, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিতে চায়।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশি পণ্যের ওপর শুল্ক কমাতে আলোচনার তৃতীয় দফা বৈঠকে অংশ নিতে সোমবার (২৮ জুলাই) দেশ ত্যাগ করছে চার সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল। বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীনের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলে থাকছেন নিরাপত্তা উপদেষ্টা, বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমানসহ সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরের কর্মকর্তা।

প্রসঙ্গত, যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশের পণ্যের ওপর আগে থেকে কার্যকর ১০ শতাংশ শুল্কের বাইরে অতিরিক্ত ৩৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।  

 

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়