রাজধানীর হাজারীবাগে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতা পরিচয় দেওয়া শাহাদাত রহমান রোহানের নামে কামরাঙ্গীরচর থানায় ধর্ষণের অভিযোগ করেছেন এক তরুণী। তবে রোহান এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, এটি বানোয়াট ও সাজানো। তিনি তরুণীকে চেনেন না।
ওই তরুণীর বাড়ি কেরানীগঞ্জে। তিনি মামাতো বোন ও বোনের স্বামীকে নিয়ে গতকাল রোববার দুপুরে কামরাঙ্গীরচর থানায় গিয়ে রোহানের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, আট বছর ধরে রোহানের সঙ্গে তাঁর প্রেমের সম্পর্ক। বিয়ের কথা বলে ২০১৪ সালের ১৬ জুলাই কামরাঙ্গীরচরের ঝাউলাহাটির একটি বাসায় নিয়ে তাঁকে ধর্ষণ করেন রোহান। এখন বিয়ের কথা বললে রোহান বিভিন্ন কাজের কথা বলে কৌশলে এড়িয়ে যান।
থানায় অবস্থানকালে ওই তরুণী আজকের পত্রিকাকে বলেন, আট বছর আগে রোহানের সঙ্গে বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে এক নারীর চায়ের টংদোকানে তাঁর পরিচয়। এনসিপির নেতা হওয়ার পর থেকে রোহান তাঁকে বিয়ে না করে এড়িয়ে চলছেন।
অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে রোহান বলেন, ‘ওই তরুণীকে আমি চিনি না। আট বছর প্রেম করলে তাঁর সঙ্গে অনেক ছবি থাকবে, আমার বাসাবাড়ি সব চিনবেন। কিন্তু তিনি তো আমার বিষয়ে কিছুই বলতে পারেন না। এগুলো সব বানোয়াট। কেউ ষড়যন্ত্র করে তাঁকে দিয়ে এসব করাচ্ছে। এ বিষয়ে আমার দলের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে বিস্তারিত জানাব।’
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হাজারীবাগে এনসিপির কোনো কমিটি নেই। এনসিপিতে রোহানের কোনো পদও নেই। তবে দলের বিভিন্ন কার্যক্রমে সামনের সারিতে থাকেন। সম্প্রতি হাজারীবাগ পার্কে জুলাই স্মৃতি মেলা ২০২৫ আয়োজন করেছেন এনসিপির হাজারীবাগের কর্মীরা। এর নেতৃত্বে রয়েছেন মোবাশ্বের আহমেদ জিসান ও রাইয়ান ইসলাম সা’দ। মেলার সামনের ফটকে টানানো ব্যানারে এই দুজন ছাড়া আরও সাতজনের নাম রয়েছে। সেখানে দ্বিতীয় নাম শাহাদাত হোসেন রোহানের। ব্যানারে সবার পরিচয় লেখা হয়েছে, ‘প্রতিনিধি, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), হাজারীবাগ থানা।’
জানতে চাইলে মোবাশ্বের আহমেদ জিসান বলেন, ‘ঢাকা মহানগরে এনসিপির কোনো কমিটি নেই। তাই হাজারীবাগেও নেই। আমরা সবাই কর্মী ও নেতা। রোহানের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ, তা বানোয়াট মনে হয়েছে। কারণ, আট বছর প্রেম করলে দুজনের হাত ধরা একটি ছবি অন্তত থাকবে; কিন্তু এমন ছবিও নেই। এটা এনসিপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। সত্য দ্রুতই বের হবে।’
এদিকে তরুণীর অভিযোগের তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। কামরাঙ্গীরচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম বলেন, তরুণীর অভিযোগ তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উৎস: আজকের পত্রিকা ও কালের কণ্ঠ।