শিরোনাম
◈ হাজারীবাগে ভয়াবহ আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৪ ইউনিট ◈ প্রশান্ত মহাসাগরের পথে যুক্তরাষ্ট্রের বি-২ স্টিলথ বোমারু: নিউইয়র্ক টাইমস ◈ ইসরায়েলকে থামাতে সম্মিলিত কূটনৈতিক পদক্ষেপ জরুরি: ওআইসি সম্মেলনে তৌহিদ হোসেন ◈ ইরানে ডজনখানেক সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে হামলার দাবি ইসরায়েলের ◈ সাংবিধানিক কাউন্সিল : কিছু প্রশ্ন ও বিএনপির আপত্তি ◈ সম্ভাব্য উত্তরসূরি হিসেবে তিনজনের নাম চূড়ান্ত করেছেন খামেনি ◈ সাবেক সিইসি-ইসিদের বিরুদ্ধে মামলা করবে বিএনপি: বিতর্কিত তিন নির্বাচন ◈ ‘বিস্মিত’ ইসরাইল, প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভেদ করে ইরানের ড্রোন হামলা ◈ নির্বাচনে জোর, আসনভিত্তিক জরিপ চালাচ্ছে বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ◈ কী কী অস্ত্র ব্যবহার হচ্ছে ইরান-ইসরাইল সংঘাতে?

প্রকাশিত : ২১ জুন, ২০২৫, ০৮:২৭ রাত
আপডেট : ২২ জুন, ২০২৫, ০৪:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

কী কী অস্ত্র ব্যবহার হচ্ছে ইরান-ইসরাইল সংঘাতে?

ইসরাইলে আয়রন ডোম ও ডেভিডস স্লিং-এর মতো আধুনিক প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ভেদ করে লক্ষ্যে পৌঁছাচ্ছে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র। এক্ষেত্রে দেশটি ব্যবহার করছে সিজ্জিল, হোভেইজেহসহ আধুনিক ক্রুজ মিসাইল। তেহরানের অন্যতম হাতিয়ার হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র। এর ব্যবহারে দিশেহারা হয়ে পড়েছে দখলদার বাহিনী। দুই দেশের এই যুদ্ধে কী কী অস্ত্র ব্যবহার হচ্ছে তা নিয়ে আলোচনা চলছে আন্তর্জাতিক মহলে।

পাল্টা-পাল্টি সংঘাতে উত্তপ্ত ইরান-ইসরাইল। যুদ্ধক্ষেত্রে শক্তিমত্তার জানান দিতে পিছ পা হচ্ছে না কেউই।

 অথচ সংঘাত শুরুর পর অনেকেই তাচ্ছিল্য করেছিলো ইরানকে, প্রশ্ন তুলেছিলো তাদের সক্ষমতা নিয়ে। কিন্তু সপ্তাহ পেরিয়ে দৃশ্যপটই পাল্টে দিয়েছে আয়াতুল্লাহ খামেনির ইরান। দেশটির এমন সাফল্যে কী কী অস্ত্র ব্যবহার হচ্ছে এবং ইসরাইলি আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আয়রন ডোমকে ভেদ করে কিভাবে তাদের লক্ষ্যে আঘাত হানছে এ নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ চলছে আন্তর্জাতিক মহলে।
 
 মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার মতে, ইরান মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে বড় ও বৈচিত্র্যময় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের ভান্ডার গড়ে তুলেছে। ইসরাইলের সঙ্গে চলমান সংঘাত শুরুর আগে ইরানের কাছে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের সংখ্যা ছিল প্রায় ৩ হাজার। এর মধ্যে রয়েছে স্বল্প, মধ্য ও দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র। এছাড়া হাইপারসনিক প্রযুক্তির ক্ষেপণাস্ত্রও রয়েছে বলেও জানায় তারা।
 
ইসরাইলের হামলার পর দেশটিতে অপারেশন ট্রু প্রমিজ-থ্রি তে প্রথমবারের মতো দূর পাল্লার অত্যাধুনিক সিজ্জিল ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের দাবি করে ইরান। সিজ্জিল ক্ষেপণাস্ত্রের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো এর কঠিন জ্বালানি ব্যবহার। এই প্রযুক্তির কারণে এটিকে খুব অল্প সময়ের মধ্যে উৎক্ষেপণ করা সম্ভব হয়। ফলে যুদ্ধ পরিস্থিতিতে এটি তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় সক্ষম।
 
এছাড়া ইরানের অস্ত্রভান্ডারে রয়েছে হোভেইজেহসহ বিভিন্ন ধরনের ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র। ইসরাইলের বিরুদ্ধে চলমান হামলায় এ ধরনের ক্ষেপণাস্ত্রও ব্যবহার করেছে দেশটি।
 
আল–জাজিরার বিশ্লেষক গ্যাটোপুলোস বলেন, ইরানের হাতে এখন হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে, যা ক্রমাগত উন্নত ও পরিণত ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষাব্যবস্থারই প্রত্যক্ষ ফলাফল।
 
 হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রগুলো র‌্যাডারে ধরা পড়লেও প্রতিহত করা কঠিন বলেও জানান তিনি। কিছু হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের সঙ্গে হাইপারসোনিক গ্লাইড ভেহিকল -এইচজিভি সংযুক্ত থাকে। এটি একটি যুদ্ধাস্ত্র, যা শব্দের চেয়ে পাঁচ গুণ দ্রুত গতিতে উড়তে ও দিক পরিবর্তন করতে সক্ষম।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়