শিরোনাম
◈ তেল আমদানি এখনো পুরনো দামে, যুদ্ধ দীর্ঘ হলে পরিস্থিতি পুনর্বিবেচনা হবে: সালেহউদ্দিন আহমেদ ◈ ট্রাম্পের আকস্মিক জি-সেভেন সম্মেলন ত্যাগ: ইরান-ইসরায়েল নয়, আরও বড় কিছু ঘটছে? ◈ জুলাই মাসের মধ্যে `জাতীয় সনদ' তৈরি করতে পারবো: আলী রীয়াজ ◈ ঐকমত্য কমিশনের সংলাপ বয়কট করল জামায়াতে ইসলামী ◈ নেতানিয়াহুর ঔদ্ধত্যে ইসরায়েলের সামরিক অহংকার চূর্ণ, ইতিহাসে ফিরছেন আহমদ চালাবির ছায়া:হামিদ মীর ◈ ইরান-ইসরায়েল সংঘাতে জি-৭ নেতাদের বিবৃতি: ইসরায়েলের পক্ষে অবস্থান, ইরানকে ‘সন্ত্রাসের উৎস’ আখ্যা ◈ ইরানে ইসরায়েলি হামলার নিন্দা জানাল ২১ মুসলিম দেশ ◈ ভয়াবহ যুদ্ধের ই‌ঙ্গিত দি‌য়ে  ইরা‌নের রাজধানী তেহরানের বাসিন্দাদের শহর ছাড়তে বললেন ডোনাল্ড ট্রাম্প ◈ ইসরায়েল ইরানে পরমাণু বোমা ফেললেই, পাকিস্তান পরমাণু হামলা চালাবে নেতানিয়াহুর দেশে, এবার কি তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ? ◈ দেখা হলে সাকিবকে  জিজ্ঞাসা করবো কেন আমার বিরু‌দ্ধে ভুল তথ্য দি‌য়ে‌ছি‌লেন : তা‌মিম ইকবাল

প্রকাশিত : ১৫ মে, ২০২৫, ০২:৪৯ রাত
আপডেট : ১৬ জুন, ২০২৫, ০৩:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

কাতারে গিয়ে এবার ২০০ বিলিয়ন ডলারের বোয়িং চুক্তি করলেন ট্রাম্প

কাতার এয়ারওয়েজের জন্য যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বিমান নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বোয়িং থেকে ১৬০টি বিমান কেনার একটি বড় ধরনের চুক্তি স্বাক্ষর করেছে কাতার। আজ বুধবার এই চুক্তি স্বাক্ষর করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল-থানি। বর্তমানে ট্রাম্প উপসাগরীয় আরব দেশগুলোতে সফরে রয়েছেন।

ট্রাম্প জানিয়েছেন, চুক্তির মোট মূল্য ২০০ বিলিয়ন ডলারের বেশি। এর মধ্যে ১৬০টি বিমান রয়েছে। তিনি বলেন, ‘এটি ২০০ বিলিয়নের বেশি; কিন্তু বিমান হিসেবে ১৬০টি, দারুণ ব্যাপার।’

এরপর তিনি বোয়িংয়ের সিইও কেলি অর্টবার্গের দিকে তাকিয়ে বলেন, ‘এটা তো রেকর্ড, কেলি—তাহলে বোয়িংকে অভিনন্দন।’

বোয়িংয়ের এই চুক্তি এমন এক সময়ে এসেছে, যখন প্রতিষ্ঠানটি নানা সংকট পাড়ি দিচ্ছে। ২০২৪ সালের শুরুতে আলাস্কা এয়ারলাইনসের একটি ৭৩৭ ম্যাক্স বিমানের দরজা খুলে গিয়েছিল। এর পর থেকে বোয়িং বিমানের অর্ডার কার্যত থেমে গিয়েছিল। বছরের শেষ দিকে কিছুটা ঘুরে দাঁড়ালেও ২০২৪ সালে বোয়িংয়ের মোট গ্রস অর্ডার ছিল মাত্র ৫৬৯টি; যা ২০২৩ সালের তুলনায় ৬০ শতাংশ কম।

এ ছাড়া গত শরতে প্রায় ৩৩ হাজার শ্রমিকের ধর্মঘটের মুখে পড়েছিল বোয়িং। গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বরের শুরু পর্যন্ত উৎপাদন বন্ধ ছিল। এর ফলে ২০২৪ সালে প্রতিষ্ঠানটি মাত্র ৩৪৮টি বিমান সরবরাহ করতে পেরেছে; যা ২০২৩ সালের তুলনায় ৩৪ শতাংশ কম।

এদিকে সম্প্রতি ট্রাম্পের শুল্কনীতিও বোয়িংয়ের ওপর চাপ সৃষ্টি করেছে। বিদেশি প্রতিশোধমূলক শুল্কের হুমকি থাকায় যুক্তরাষ্ট্রের সর্ববৃহৎ রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান বোয়িংয়ের বিমানের মূল্য কয়েক মিলিয়ন ডলার পর্যন্ত বেড়ে যেতে পারে। একই সঙ্গে ট্রাম্পের তথাকথিত ‘লিবারেশন ডে’ শুল্কের কারণে বিমানের যন্ত্রাংশ আমদানি ব্যয়ও বেড়ে যেতে পারে, যা বিমান নির্মাণকে আরও ব্যয়বহুল করে তুলবে।

এমন সংকটকালে ট্রাম্প প্রশাসন বাণিজ্য আলোচনার অংশ হিসেবে বোয়িংয়ের জন্য বড় অর্ডার সংগ্রহের চেষ্টা করছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। গত সপ্তাহে হোয়াইট হাউসে মার্কিন বাণিজ্যমন্ত্রী হাওয়ার্ড লুটনিক জানান, যুক্তরাজ্যের একটি এয়ারলাইন প্রায় ১০ বিলিয়ন ডলারের বোয়িং বিমান কেনার চুক্তি করেছে।

উল্লেখযোগ্য ঘটনা হলো, আজ বুধবার চুক্তির ঘোষণার খবর ছড়িয়ে পড়তেই বোয়িংয়ের শেয়ারের দাম ১.৭ শতাংশ বেড়ে গেছে। তবে বিনিয়োগকারীরা যেমন আশাবাদী, তেমনি সচেতনও। কারণ, এমন ঘোষণা দেওয়া অনেক অর্ডারই পরে বাতিল হয়ে যায়।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়