শিরোনাম
◈ বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগের সব কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন ◈ রংপুরের হাসপাতাল নেপাল ও ভুটানের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে: প্রধান উপদেষ্টা ◈ ড. ইউনূসের কোনো ব্যক্তিগত সম্পত্তি নেই: প্রেস সচিব ◈ আন্দোলনকারীদের উদ্দেশে ডিএমপির বার্তা ◈ আ. লীগের নিবন্ধন বাতিল ইস্যুতে বৈঠক শেষে যা বলছে ইসি (ভিডিও) ◈ প্রবাসী আয়ে সর্বকালের রেকর্ড গড়লো বাংলাদেশ! ◈ জুলাই-আগস্টের সকল হত্যাকাণ্ডের দায় শেখ হাসিনার: চিফ প্রসিকিউটর ◈ স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়নে প্রয়োজন সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা : প্রধান উপদেষ্টা ◈ চোখ বেঁধে গুজরাট থেকে উড়োজাহাজ-লঞ্চে করে আনা হয়েছে, জানালেন ভুক্তভোগীরা ◈ টেস্ট থেকে অবসরে কোহলি

প্রকাশিত : ১২ মে, ২০২৫, ১১:২৩ দুপুর
আপডেট : ১২ মে, ২০২৫, ০৫:০০ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

পাকিস্তানের চেয়ে ২১ গুণ বেশি ক্ষতি ভারতের!

দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনাল: এই যুদ্ধ শুধু আকাশেই ছিল না। এটি শেয়ারবাজার কাঁপিয়ে দিয়েছে। অর্থনীতি ভেঙে দিয়েছে। পরাশক্তির অবিনাশ ভাবমূর্তিও ভেঙে পড়েছে। প্রতি ঘণ্টায় এক বিলিয়ন ডলারের ক্ষতি হয়েছে।

গত ৭ মে রাত ১টা ৫ মিনিটে ভারতীয় বিমান বাহিনী ‘অপারেশন সিঁদুর’ শুরু করে। এই অভিযানে তারা পাকিস্তানের ভেতরে নয়টি বেসামরিক স্থানে হামলা চালায়। হামলাটি ২৩ মিনিট ধরে চলে। এতে ব্যবহৃত হয় ফরাসি যুদ্ধবিমান রাফাল। রাফাল বিমান থেকে ছোড়া হয় দূরপাল্লার ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ও নির্ভুল গ্লাইড বোমা।

এরপর ৭ থেকে ১০ মে পর্যন্ত ভারত বিভিন্ন ড্রোন ব্যবহার করে। এসব ড্রোন পাকিস্তানের বিমান প্রতিরক্ষা খুঁটিয়ে দেখে। ভারতীয় ড্রোনগুলো ছিল ইসরাইলি ও ভারতীয় প্রযুক্তির। এগুলো শুধু লক্ষ্যবস্তুতে আঘাতই করেনি। রাডার এবং ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিক্রিয়াও বিশ্লেষণ করেছে। এর মাধ্যমে পাকিস্তানের দুর্বলতা খোঁজা হয়।

এ সময় পাকিস্তান পাল্টা সামরিক জবাব দেয়। তাদের বিমান বাহিনী, সেনাবাহিনী ও ক্ষেপণাস্ত্র ইউনিট একযোগে কাজ করে। তারা তাদের প্রধান যুদ্ধবিমান হিসেবে চীনের তৈরি জে-১০ বিমান ব্যবহার করে। এই বিমানে সংযুক্ত ছিল আধুনিক মিসাইল ও ইলেকট্রনিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা।

৭ মে রাত ১টা ৫ মিনিট থেকে ১টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত একটি বড় ঘটনা ঘটে। পাকিস্তান প্রথমবারের মতো তিনটি রাফাল যুদ্ধবিমান ধ্বংস করে। এটি রাফাল বিমানের ইতিহাসে প্রথম যুদ্ধক্ষতি। একইসাথে পাকিস্তান দাবি করে, তারা ১২টি ভারতীয় ড্রোন ভূপাতিত করেছে। এসব ড্রোন ভেঙে ফেলা হয় ক্ষেপণাস্ত্র, কামান ও ইলেকট্রনিক ব্যবস্থা দিয়ে।

এই ৮৭ ঘণ্টায় ভারতের শেয়ারবাজারে বড় ধস নামে। নিফটি ও সেনসেক্স মিলিয়ে ৮২ বিলিয়ন ডলার কমে যায়। উত্তর ভারতের আকাশসীমা বন্ধ থাকায় প্রতিদিন আট মিলিয়ন ডলারের ক্ষতি হয়। ক্রিকেট লিগ বন্ধ হওয়ায় আরো পঞ্চাশ মিলিয়ন ডলার ক্ষতি হয়। যুদ্ধ পরিচালনায় খরচ হয় ১০০ মিলিয়ন ডলার। যুদ্ধবিমান হারিয়ে ক্ষতি হয় ৪০০ মিলিয়ন ডলার। কার্গো ও পণ্য পরিবহন ব্যাহত হয়ে ক্ষতি হয় দুই বিলিয়ন ডলার। সব মিলিয়ে ভারতের ক্ষতি দাঁড়ায় ৮৩ বিলিয়ন ডলার।

এই সময়ে পাকিস্তানের প্রধান শেয়ার সূচক ৪ দশমিক ১ শতাংশ কমে যায়। বাজার মূলধন কমে যায় দুই দশমিক পাঁচ বিলিয়ন ডলার। ক্রিকেট লিগ বন্ধ হয়ে ১০ মিলিয়ন ডলারের ক্ষতি হয়। আকাশসীমা বন্ধ থাকায় বিমান চলাচলে ক্ষতি হয় ২০ মিলিয়ন ডলার।

সামরিক খরচ ছিল প্রতিদিন ২৫ মিলিয়ন ডলার। ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র অভিযানেই খরচ হয় ৩০ কোটি ডলার। বিনিয়োগকারীদের আস্থা কমে যায়। বিদেশী বিনিয়োগে প্রভাব পড়ে। পাকিস্তানের মোট ক্ষতি দাঁড়ায় প্রায় ৪ বিলিয়ন ডলার।

এই যুদ্ধ শুধু আকাশেই ছিল না। এটি শেয়ারবাজার কাঁপিয়ে দিয়েছে। অর্থনীতি ভেঙে দিয়েছে। পরাশক্তির অবিনাশ ভাবমূর্তিও ভেঙে পড়েছে। প্রতি ঘণ্টায় এক বিলিয়ন ডলারের ক্ষতি হয়েছে। যুদ্ধ দেখিয়ে দিয়েছে যে আজকের দিনে যুদ্ধের খরচ শুধু বিমান, ক্ষেপণাস্ত্র আর ড্রোনে সীমাবদ্ধ নয়। এটি শেয়ারবাজার, মুদ্রার মান, পণ্য সরবরাহ, বাণিজ্যিক উড়ান ও বিদেশী বিনিয়োগেও প্রভাব ফেলে।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়