শিরোনাম
◈ ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা, বাংলাদেশ সীমান্তে ভারতের কড়া নজরদারি: রিপোর্ট ◈ ইসলামপন্থি দলগুলো বিএনপি নাকি জামায়াত কোন দিকে ঝুঁকছে? ◈ ইসরায়েল ইতিহাসের ভয়াবহতম দাবানলে জ্বলছে, চাইলো আন্তর্জাতিক সহায়তা ◈ শ্রমিকদের আগের অবস্থায় রেখে নতুন বাংলাদেশ গড়া অসম্ভব: প্রধান উপদেষ্টা ◈ বজ্রসহ বৃষ্টির আভাস দেশজুড়ে, ১০টি পদক্ষেপ গ্রহণের পরামর্শ  আবহাওয়া অধিদপ্তরের  ◈ বাতিল হচ্ছে দেড়শ বছরের আইন: জুয়ার শাস্তি বাড়ছে ২ হাজার গুণ ◈ সৌদি আরবে ‘হুরুব’ আতঙ্কে প্রবাসী বাংলাদেশিরা ◈ চীন নারী ফুটবল দল পাঠাতে চায় বাংলা‌দে‌শে, পুরুষ ক্রিকেট দল‌কে চী‌নে আমন্ত্রণ ◈ জাপা‌নি ক্লা‌বের কা‌ছে হে‌রে  এএফ‌সি চ্যাম্পিয়নস লিগ থেকে রোনাল‌দোর আল নাস‌রের বিদায় ◈ ছাত্রীদের সঙ্গে প্রতারণামূলক প্রেম ও ধর্ষণের অভিযোগে চীনা অধ্যাপক বরখাস্ত

প্রকাশিত : ১৯ ডিসেম্বর, ২০২৪, ০১:১১ রাত
আপডেট : ১৪ এপ্রিল, ২০২৫, ০১:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

রবীন্দ্র ঘোষের ছেলে ভারতের নাগরিক!

চিন্ময় দাসের আইনজীবী চিকিৎসার নামে ভারত গিয়ে চালাচ্ছেন অপপ্রচার (ভিডিও)

ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) একটি প্রতিনিধিদল গতকাল মঙ্গলবার সাবেক ইসকন নেতা চিন্ময় দাসের বাংলাদেশি আইনজীবী রবীন্দ্র ঘোষের (৭৫) সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। বিজেপির প্রতিনিধিদল রবীন্দ্র ঘোষের প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন। রবীন্দ্র ঘোষ বর্তমানে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উত্তর-২৪ পরগনা জেলার ব্যারাকপুরে অবস্থান করছেন তাঁর ছেলের বাসায় অবস্থান করছেন। তিনি মূলত চিকিৎসার জন্য ভারতে এসেছেন। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দুর প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

মঙ্গলবার দুপুরে বাংলাদেশের একটি টেলিভিশনের প্রতিনিধিকে বেশ কিছু ব্যক্তিগত প্রশ্নের সম্মুখীন হলে তিনি সেগুলোর সন্তোষজনক উত্তর দিতে ব্যর্থ হন।

রবীন্দ্র ঘোষের দাবি, ১৯৯০-এর দশকে আওয়ামী লীগের শাসনামলে রাজনৈতিক নিপীড়নের কারণে তিনি তার দুই সন্তানকে ভারতে রেখে যান। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে, জন্মসূত্রে বাংলাদেশি হওয়া সত্ত্বেও কীভাবে তার ছেলেরা ভারতে নাগরিকত্ব পেলেন। বর্তমানে তারা দুজনই বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত এবং তাদের নামে পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলায় বাড়িও রয়েছে।

রবীন্দ্র ঘোষ দাবি করেছেন, তিনি কলকাতায় কোমরের হাড় ভাঙার চিকিৎসা করাতে এসেছেন। ঢাকার ভারতীয় দূতাবাস থেকে পাওয়া পাঁচ বছরের মেডিকেল ভিসা ব্যবহার করেই তিনি ভারতে অবস্থান করছেন। তবে অভিযোগ উঠেছে, চিকিৎসার আড়ালে তিনি রাজনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।

ভারতের বেশ কিছু হিন্দু সংগঠন এবং বিজেপি নেতার সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন বলেও তিনি স্বীকার করেছেন। মঙ্গলবার তিনি সাবেক বিজেপি সংসদ সদস্য অর্জুন সিং এবং সনাতনী ধর্মগুরু কার্তিক মহারাজের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।

রবীন্দ্র ঘোষ আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে, ভারতীয় গণমাধ্যমে মুখ খোলার কারণে দেশে ফিরলে তিনি গ্রেফতার হতে পারেন।

বাংলাদেশ হাইকমিশন বা সরকারের পক্ষ থেকে এখনও এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি। তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রবীন্দ্র ঘোষ ভারত সফরের সময় বিতর্কিত বক্তব্য দিয়ে ভিসানীতি লঙ্ঘন করেছেন।

রবীন্দ্র ঘোষের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে ব্যারাকপুরের সাবেক সংসদ অর্জুন সিং বলেন, ‘বাংলাদেশে হিন্দু সংখ্যালঘুদের জন্য ন্যায়বিচারের লড়াইয়ে রবীন্দ্র ঘোষের সাহসকে আমরা প্রশংসা করি। জীবনের হুমকি সত্ত্বেও তাঁর অবিচল প্রচেষ্টা আমাদের অনুপ্রাণিত করে।’ কার্তিক মহারাজও ন্যায়বিচারের প্রতি রবীন্দ্র ঘোষের দৃঢ় অঙ্গীকারের প্রশংসা করে বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গের জনগণ তাঁকে পূর্ণ সমর্থন দিচ্ছে।’ সূত্র : যমুনা টেলিভিশন, চ্যানেল২৪

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়