শিরোনাম
◈ ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা, বাংলাদেশ সীমান্তে ভারতের কড়া নজরদারি: রিপোর্ট ◈ ইসলামপন্থি দলগুলো বিএনপি নাকি জামায়াত কোন দিকে ঝুঁকছে? ◈ ইসরায়েল ইতিহাসের ভয়াবহতম দাবানলে জ্বলছে, চাইলো আন্তর্জাতিক সহায়তা ◈ শ্রমিকদের আগের অবস্থায় রেখে নতুন বাংলাদেশ গড়া অসম্ভব: প্রধান উপদেষ্টা ◈ বজ্রসহ বৃষ্টির আভাস দেশজুড়ে, ১০টি পদক্ষেপ গ্রহণের পরামর্শ  আবহাওয়া অধিদপ্তরের  ◈ বাতিল হচ্ছে দেড়শ বছরের আইন: জুয়ার শাস্তি বাড়ছে ২ হাজার গুণ ◈ সৌদি আরবে ‘হুরুব’ আতঙ্কে প্রবাসী বাংলাদেশিরা ◈ চীন নারী ফুটবল দল পাঠাতে চায় বাংলা‌দে‌শে, পুরুষ ক্রিকেট দল‌কে চী‌নে আমন্ত্রণ ◈ জাপা‌নি ক্লা‌বের কা‌ছে হে‌রে  এএফ‌সি চ্যাম্পিয়নস লিগ থেকে রোনাল‌দোর আল নাস‌রের বিদায় ◈ ছাত্রীদের সঙ্গে প্রতারণামূলক প্রেম ও ধর্ষণের অভিযোগে চীনা অধ্যাপক বরখাস্ত

প্রকাশিত : ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ০১:২১ দুপুর
আপডেট : ০৪ এপ্রিল, ২০২৫, ০৮:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ইউনূস-মোদির বৈঠকের ভবিষ্যৎ কী ? সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদন

ইব্রাহিম অপু, : ছাত্র-জনতার তুমুল আন্দোলনের মুখের গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ক্ষমতাচ্যুত হন শেখ হাসিনা। এরপর সামরিক হেলিকপ্টারে করে সেইদিনেই ভারতে পালাতে বাধ্য হন। এরপর থেকে তিনি ভারতেই অবস্থান করছেন। বিশ্লেষকরা বলছেন, বর্তমানে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার সম্পর্ক তলানিতে।

এদিকে এরইমধ্যে জাতিসংঘের ৭৯তম সাধারণ অধিবেশন শুরু হয়েছে। এতে অংশ নেবেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সাধারণ অধিবেশনে যোগ দেবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। ওই সময় মোদির সঙ্গে সাইডলাইনে বৈঠক হতে পারে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের। তবে, তাতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী এতটা আগ্রহী নন বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকেরা। 

ওয়াশিংটনের উইলসন সেন্টারের সাউথ এশিয়া ইনস্টিটিউটের পরিচালক ও বিশ্লেষক মাইকেল কুগেলম্যান বলেন, ঢাকার সঙ্গে সম্পর্ক ভারতের জন্য অত্যন্ত সংবেদনশীল বিষয় হয়ে উঠেছে। যেকোনো উচ্চপর্যায়ের সাক্ষাতে অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে আলোচনা করার ক্ষেত্রে ভারতকে এমন বিষয়গুলো নিয়ে মনোযোগী হতে হবে, যা তারা বর্তমানে এড়িয়ে যেতে চায়।

কুগেলম্যান বলেন, প্রধান সমস্যা হলো ভারতে শেখ হাসিনার উপস্থিতি। অন্তর্বর্তী সরকার তাকে (হাসিনা) বাংলাদেশে প্রত্যর্পণের দাবি করলেও দিল্লি তাকে ছাড়তে চাচ্ছে না। কারণ, হাসিনার ভারতের অনেক নেতার সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে।

বিশ্লেষক মাইকেল কুগেলম্যান বলেন, যদি মোদি ইউনুসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন, তবে এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা এড়ানো অসম্ভব হবে। 

গত সপ্তাহে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ঢাকা থেকে আসা মোদি এবং ইউনুসের মধ্যে বৈঠকের অনুরোধ মানা হবে কিনা, তা দিল্লি এখনও নিশ্চিত করেনি। তবে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগ দেওয়ার জন্য এ মাসের শেষের দিকে দুজনেরই নিউ ইয়র্কে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

সম্প্রতি বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল জানিয়েছে, তারা ভারতের কাছ থেকে হাসিনার প্রত্যর্পণ নিশ্চিত করার জন্য পদক্ষেপ নিচ্ছে, যাতে আগস্টে গণবিক্ষোভ দমনে চালানো প্রাণঘাতী সহিংসতার মামলায় তার বিচার করা যায়। 

প্রাথমিকভাবে শেখ হাসিনার ভারতে অল্প কিছুদিন থাকার কথা ছিল। তবে প্রতিবেদন অনুযায়ী, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতে শেখ হাসিনার আশ্রয় প্রার্থনার চেষ্টা এখন পর্যন্ত সফল হয়নি।

এ নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক লাইলুফার ইয়াসমিন বলেন, মোদি-ইউনুস বৈঠক ভারতের জন্য অস্বস্তিকর হলেও, বৈঠকটি যত দ্রুত হবে, দিল্লির জন্য ততই ভালো হবে।

দিল্লিকে বাস্তবতাকে মেনে নিয়ে 'বাংলাদেশ ২.০' এর সঙ্গে জড়িত হওয়া শুরু করতে হবে, যা কখনোই ভারতের সমীকরণে ছিল না, উল্লেখ করেন এই অধ্যাপক। 

ইয়াসমিন আরও বলেন, ভারত হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগের ওপর বাজি ধরেছিল এবং বাংলাদেশিদের আকাঙ্ক্ষা বুঝতে চেষ্টা করেনি। ভারতের এটা বোঝার সময় এসেছে, দুই দেশের সম্পর্ক শুধু একটি রাজনৈতিক দলের মাধ্যমে পরিচালিত হতে পারে না।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়