এম খান: [২] ইরানের বিপক্ষে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা বিশ্ব নানা পদক্ষেপ নেবার পরও, ২০২৪ সালের প্রথম চার মাসে তাদের তেল রপ্তানি ছয় বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ মাত্রায় পৌঁছায়, ইরানের কাস্টম প্রধানের হিসেবে যার পরিমাণ ৩৫.৮ বিলিয়ন ইউএস ডলার। সূত্র: বিবিসি
[৩] উল্লেখ্য, ইরানের মোট তেল রপ্তানির ৮০ ভাগই যায় চীনে, ইউএস হাউস ফিনান্সিয়াল সার্ভিস কমিটির এক প্রতিবেদন অনুযায়ী প্রতিদিন ইরান প্রায় ১.৫ মিলিয়ন ব্যারেল তেল চীনে রপ্তানি করে থাকে।
[৪] ট্রেডার্স আর শিপট্র্যাকার্সের ডেটা নিয়ে রয়টার্স ২০২৩ সালের অক্টোবরে এক প্রতিবেদন প্রকাশ করে, যাতে বলা হয় ২০২৩ সালের প্রথম ৯ মাসে চীন কমপক্ষে ১০ বিলিয়ন ইউএস ডলার বাঁচিয়েছে ইরান, রাশিয়া আর ভেনেজুয়েলা থেকে তেল কিনে, এসব দেশের তেলই কমদামে বিক্রি করা হয়। কেননা পশ্চিমা বিশ্ব ওই তিন দেশের তেল রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রেখেছে।
[৫] ডেটা ও অ্যানালেটিক্স ফার্ম কেপিএলআরের সিনিয়র অ্যানালিস্ট হুমায়ুন ফালাকশাহী ধারণা দেন, ইরান তাদের ক্রুড তেল ব্যারেলপ্রতি ৫ ডলার কমে বিক্রি করছে। গত বছর ব্যারেলপ্রতি যেটার দাম সর্বোচ্চ ১৩ ইউএস ডলার পর্যন্ত কমিয়ে দেয়া হয়েছিল।
[৬] হুমায়ুন ফালাকশাহী বলেন, ইরানের অর্থনীতিকে সহায়তার মাধ্যমে, ‘চীন মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সামনে একটা ভূরাজনৈতিক ও সামরিক চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিচ্ছে, বিশেষ করে যখন ইসরায়েলের সাথে উত্তেজনা চলমান,’ যোগ করেন ফালাকশাহী।
আইকে/এনএইচ
আপনার মতামত লিখুন :